নরসিংদীর বেলাব তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে
উপেক্ষিত স্থানীয় সংসদ সদস্য হুমায়ন
তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর বেলাবতে স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপস্থিত থাকায় জেলা জুড়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামা্ল আজ রবিবার দুপুরে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দেওয়ানেরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত আরব আলী একাডেমিক ভবন এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক আলোকচিত্র গ্যালারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সাবেক আইজপি একেএম শহিদুল হক। উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারজানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ তবে সে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন কে। উক্ত অনুষ্ঠানের ব্যানার পেষ্টারেও তার নাম দেখা যায়নি। এমন কি জেলা অওয়ামীলীগের সভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রি লে.কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীর প্রতিক কেও উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে মনোয়ন প্রত্যাশী এ.এইচ আসলাম সানী আয়োজিত এই অনুষ্ঠান কেন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে তার হিসেব কষছেন সংশ্লিষ্টরা। দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্য কে অতিথি না করে বিদ্যালয়ের ঝাকজমকপুর্ন অনুষ্ঠান করে আয়োজক ভিন্ন কোন বার্তা দিতে চেয়েছিল বলেই মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এই বিষয়ে মুঠেুফোনে কথা হয় মনোহরদী-বেলাব আসনের সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন এর সাথে। তিনি জানান,
স্বরাষ্টমন্ত্রী কোন জেলায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলে সে জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একজন প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতিক। আমি এই আসনের আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অথচ এই অনুষ্ঠানে আমাদের কাওকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে শিষ্টারবর্হিভূত কাজ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সম্মানিত ব্যাক্তি। যারা এই্ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন তারা স্বরাষ্টমন্ত্রীর সম্মানে আঘাত করেছেন। বিএনপি জামায়াতের উপর ভর করে যারা দলের ভিতর বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় তারাই এই দুঃসাহস দেখিয়েছে। দলে বিভাজন তৈরী না করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ যারা অমান্য করেছেন তারা দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অনুষ্ঠানে জেলার গর্ব, যিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রাখায় বীর প্রতিক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলের স্বার্থের চেয়ে তারা ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে কেন সংসদ সদস্যকে অামন্ত্রণ জানানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সভাপতি এ.এইচ আসলাম সানী জানান, এটি একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। আর্কাইব-৭১ ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাননীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধা্ন অতিথি হিসেব উপস্থিত হয়েছেন। আমরা আমাদের পরিসরে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। অধিক সংখ্যাক অতিথির উপস্থিতি থাকতে হবে এমন কোন কারন আছে বলে আমার জানা নেই। যদি দলীয় অনুষ্ঠান হতো তাহলে নিয়ম অনুযায়ী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। এছাড়া বেলাব উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ নেতা কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রার্থী তা্ই নিজেরে জন্য আলাদা বলয় তৈরী করছি তা মিথ্যা। আমি আমার রাজনৈতিক যোগ্যতা দিয়েই সংসদ নির্বনিাচনে দলের প্রার্থী হতে চাই। আজকের অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক আলোকচত্রী গ্যালরী উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। এখানে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর লোক উপস্থিত হয়েছে। এখানে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থা্কার কোন কারন নেই।
#
নরসিংদী
২১/১০/১৮ইং
এই বিষয়ে মুঠেুফোনে কথা হয় মনোহরদী-বেলাব আসনের সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন এর সাথে। তিনি জানান,
স্বরাষ্টমন্ত্রী কোন জেলায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলে সে জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একজন প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতিক। আমি এই আসনের আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অথচ এই অনুষ্ঠানে আমাদের কাওকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে শিষ্টারবর্হিভূত কাজ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সম্মানিত ব্যাক্তি। যারা এই্ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন তারা স্বরাষ্টমন্ত্রীর সম্মানে আঘাত করেছেন। বিএনপি জামায়াতের উপর ভর করে যারা দলের ভিতর বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় তারাই এই দুঃসাহস দেখিয়েছে। দলে বিভাজন তৈরী না করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ যারা অমান্য করেছেন তারা দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অনুষ্ঠানে জেলার গর্ব, যিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রাখায় বীর প্রতিক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলের স্বার্থের চেয়ে তারা ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে কেন সংসদ সদস্যকে অামন্ত্রণ জানানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সভাপতি এ.এইচ আসলাম সানী জানান, এটি একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। আর্কাইব-৭১ ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাননীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধা্ন অতিথি হিসেব উপস্থিত হয়েছেন। আমরা আমাদের পরিসরে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। অধিক সংখ্যাক অতিথির উপস্থিতি থাকতে হবে এমন কোন কারন আছে বলে আমার জানা নেই। যদি দলীয় অনুষ্ঠান হতো তাহলে নিয়ম অনুযায়ী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। এছাড়া বেলাব উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ নেতা কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রার্থী তা্ই নিজেরে জন্য আলাদা বলয় তৈরী করছি তা মিথ্যা। আমি আমার রাজনৈতিক যোগ্যতা দিয়েই সংসদ নির্বনিাচনে দলের প্রার্থী হতে চাই। আজকের অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক আলোকচত্রী গ্যালরী উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। এখানে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর লোক উপস্থিত হয়েছে। এখানে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থা্কার কোন কারন নেই।
#
নরসিংদী
২১/১০/১৮ইং
No comments:
Post a Comment