Thursday, November 23, 2017

নরসিংদীতে ভুয়া নারী পুলিশ গ্রেফতার

নরসিংদীতে ভুয়া নারী পুলিশ গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর বেলাব থেকে এক ভুয়া নারী পুলিশ কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলাব উপজেলার হোসেন নগর মধ্যপাড়া হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে পুলিশের পোশাক ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। ভুয়া নারী পুলিশের নাম বিলকিস আক্তার ওরফে রিয়া (৩০)। সে বেলাব থানার হোসেন নগর মধ্যপাড়া এলাকার নান্নু মিয়ার মেয়ে। 
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বিলকিস তার এলাকায় পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিত। সে বিভিন্ন মানুষকে পুলিশে চাকরী দেওয়ার কথা বলে অর্থ আতœসাৎ করতো। পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক আছে বলে প্রচার করে আসছিল। এর ফলে অনেকেই বিশ্বাস করে তাকে চাকুরীর জন্য টাকা দিত। নারায়নগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এক ব্যাক্তিকে পুলিশে চাকুরী দিবে বলে টাকা দাবী করে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। তাকে আটক করার পর সে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ঢাকা কেরানীগঞাজ থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কন্সটেবল বলে পরিচয় দেয়। এসময় তার দেয়া আইডি কার্ডে ভুল থাকায় তাকে ভুয়া পুলিশ হিসেবে সনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর সে পুলিশের পোষাক পরিহিত ছবি দেখিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কর্মস্থল সমন্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে তার সুদুত্তর দিতে ব্যার্থ হয়। তার বসত বাড়ি থেকে পুলিশের পোষাক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার বাদী হয়ে বেলাব থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

#
২৪/১১/১৭ইং 

Saturday, November 18, 2017

মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন কে

মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন কে

তৌহিদুর রহমান: মোটর সাইকেল ছিনতাই করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয় ডিপ্লোমী প্রকোশলী আল আমিন কে। আদালতে এমনভাবেই আল আমিন তে হত্যার কথা স্বীকার করেছে খুনি নুরুল আমিন। গত শুক্রবার নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। আল আমিন হত্যার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১৬ আগষ্ট রাতে নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকায় নির্জন স্থানে আল আমিন কে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বেলাব থানা থেকে মমলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়ন্দা পুশিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার কে। মামলা তদন্ত কর্মকতা জানান, আল আমিন হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্তে এই খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দিকে তদন্ত করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর তাদের গতিবিধি ও পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করে ডাকাত নুরুল আমিন গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে কিছু প্রমান দেখানো হয়। এরপর সে নিজেকে খুনের দায় থেকে বাচতে পারবেনা বুজে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অপর খুনি কাউছার কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বেলাব থানার মরিচাকান্দি এলাকার আঃ করিমের ছেলে নুরুল আমিন (২১) ও একই এলাকার মৃত আলকাছ মিয়ার ছেলে কাউছার (২২)।

খুনি নুরুল আমিন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলে, মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্য নুরুল আমিন, কাউছার সহ অন্যন্যরা ঘটনাস্থল বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার একটি নির্জন রাস্তার কালভার্ট এ অবস্থান নেয়। রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে আল আমিন মোটর সাইকেল নিয়ে উক্ত কালভার্টে আসলে তার চোখে টর্চের আলো ফেলে আটকানো হয়। এসময় খুনি দল তাকে ঝাপটে ধরে। এসময় আল আমিন জোড় করলে তার পায়ে ছুড়ি দিয়ে ঘা মেরে জোড় করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তা থেকে নিচের জমিতে নামায়। এসময় আল আমিন ডাক চিৎকার করলে

খুনি দল তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপাইয়া হত্যা করে। আল আমিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার মরদেহ পাশ্ববর্তী ধইঞ্চা খেতে ফেলে রাখে। এরপর মোটর সাইকেল নিয়ে খুনিরা ভৈরব চলে যায়। এসময় তারা আল আমিনের মোবইলে একজন কে জানায় তারা তাকে মেরে রেখে এসেছে। ভৈরব হাজী আসমত কলেজে বসে তারা ডাকাতির টাকা বন্টন করে এবং আল আমিনের মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আল আমিনের মোটর সাইকেল খুনি রুহুল আমিন রেখে দেয়।  
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম বলেন, বেলাব থানায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিজস্ব কৌশল ও গুপ্তচড়তায় খুনিরা সনাক্ত হয়েছে। শুধু মাত্র মোটর সাইকেল ছিনতাইর এর উদ্দেশ্য থাকলেও আল আমিন বাধা দেয়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ৮ জন মোটর সাইকেল ছিনকাতর উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। এ মধ্যে ২ জন কে গ্রেফতা করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আল আমিনের লুটকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। 

#
১৮/১১/১৭ইং




Wednesday, November 1, 2017

প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে কিশোরী আজিজা নিজেই দোকান থেকে কিনে কেরোসিন

নরসিংদীর কিশোরী আজিজার মুত্যু নিয়ে পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে কিশোরী আজিজা
নিজেই দোকান থেকে কিনে কেরোসিন 


তৌহিদুর রহমান: কিশোরী আজিজা, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে চেষ্টা করায় নিজ বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিল প্রেমিকের কাছে। সে প্রেমিক কৌশলে তাকে শ্লীলতাহানি করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। তারপর তার পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা দাবী করে এবং আজিজার কাছে থেকে নগট টাকা ও মোবাইল রেখে দেয়। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে মনের কষ্টে দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিল কিশোরী আজিজা। তারপর তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। কিশোরী আজিজা হত্যা মামলার তদন্তে বের হয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজিজার সে প্রতারক প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কিশোরী আজিজা আতœহত্যা করেছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আতœহত্যা তা নিশ্চিত করা হয়নি। আজ সকালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আমেনা বেগম। কিশোরী আজিজা, তার প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইলের কল রেকর্ড অবস্থান, তার প্রেমিক ও সহযোগীদের কল রেকর্ড এর সুস্পষ্ট প্রমান রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ি থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, চাচী বিউটি বেগমের মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আজিজা। বাড়ি থেকে বের হয়ে নরসিংদী শহরে প্রেমিক রোমানের সাথে দেখা করার জন্য যায়। সেখানে প্রেমিক রোমান ও তার বন্ধু সুজনের সাথে