মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন কে
তৌহিদুর রহমান: মোটর সাইকেল ছিনতাই করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয় ডিপ্লোমী প্রকোশলী আল আমিন কে। আদালতে এমনভাবেই আল আমিন তে হত্যার কথা স্বীকার করেছে খুনি নুরুল আমিন। গত শুক্রবার নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। আল আমিন হত্যার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১৬ আগষ্ট রাতে নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকায় নির্জন স্থানে আল আমিন কে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বেলাব থানা থেকে মমলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়ন্দা পুশিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার কে। মামলা তদন্ত কর্মকতা জানান, আল আমিন হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্তে এই খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দিকে তদন্ত করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর তাদের গতিবিধি ও পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করে ডাকাত নুরুল আমিন গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে কিছু প্রমান দেখানো হয়। এরপর সে নিজেকে খুনের দায় থেকে বাচতে পারবেনা বুজে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অপর খুনি কাউছার কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বেলাব থানার মরিচাকান্দি এলাকার আঃ করিমের ছেলে নুরুল আমিন (২১) ও একই এলাকার মৃত আলকাছ মিয়ার ছেলে কাউছার (২২)।
খুনি নুরুল আমিন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলে, মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্য নুরুল আমিন, কাউছার সহ অন্যন্যরা ঘটনাস্থল বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার একটি নির্জন রাস্তার কালভার্ট এ অবস্থান নেয়। রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে আল আমিন মোটর সাইকেল নিয়ে উক্ত কালভার্টে আসলে তার চোখে টর্চের আলো ফেলে আটকানো হয়। এসময় খুনি দল তাকে ঝাপটে ধরে। এসময় আল আমিন জোড় করলে তার পায়ে ছুড়ি দিয়ে ঘা মেরে জোড় করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তা থেকে নিচের জমিতে নামায়। এসময় আল আমিন ডাক চিৎকার করলে
খুনি দল তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপাইয়া হত্যা করে। আল আমিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার মরদেহ পাশ্ববর্তী ধইঞ্চা খেতে ফেলে রাখে। এরপর মোটর সাইকেল নিয়ে খুনিরা ভৈরব চলে যায়। এসময় তারা আল আমিনের মোবইলে একজন কে জানায় তারা তাকে মেরে রেখে এসেছে। ভৈরব হাজী আসমত কলেজে বসে তারা ডাকাতির টাকা বন্টন করে এবং আল আমিনের মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আল আমিনের মোটর সাইকেল খুনি রুহুল আমিন রেখে দেয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম বলেন, বেলাব থানায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিজস্ব কৌশল ও গুপ্তচড়তায় খুনিরা সনাক্ত হয়েছে। শুধু মাত্র মোটর সাইকেল ছিনতাইর এর উদ্দেশ্য থাকলেও আল আমিন বাধা দেয়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ৮ জন মোটর সাইকেল ছিনকাতর উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। এ মধ্যে ২ জন কে গ্রেফতা করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আল আমিনের লুটকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
#
১৮/১১/১৭ইং
No comments:
Post a Comment