Monday, December 25, 2017

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ১ টি বিদেশী পিস্তল সহ সন্ত্রাসী ফালু মিয়া কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে রায়পুরা থানার মরজাল হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়ন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ফালু মিয়া (৩২) রায়পুরা থানার বটিয়ারা গ্রামের তায়েব আলীর ছেলে। উপ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রায়পুরার রাজবাড়ীর আয়েত আলীর পারিবারিক কবরস্থানে এক সন্ত্রাসী অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী ফালু পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া করে বেলাবগামী রাস্তা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে একটি বিদেশী পিস্তল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করার জন্যই অস্ত্র বহন করছিল। তার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। সে ঠিক কি উদ্দেশ্যে অস্ত্র বহন করছিল তা জানার জন্য আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৫/১২/১৭ইং

Sunday, December 24, 2017

১১ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ আটক ১

১১ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ আটক ১


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ১১ লক্ষ টাকার ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকার হাসান সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে ইয়াবাসহ লিটন মিয়া ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ী  লিটন মিয়া (২৯) নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ধানার দাউদপুর এলাকার আলাউদ্দিন এর ছেলে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযান চালায়। 
উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা সমমূল্যের সাড়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ইয়াবার চালান টি মৌলভী বাজার থেকে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে আনা হয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী

Thursday, December 14, 2017

নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সজিব গ্রেফতার

নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন
মামলার অন্যতম আসামী সজিব গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সজিব কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভেলানগর এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম সজিব (২৬) নরসিংদী শহরের ভেলানগর মহল্লার সোহরাব খন্দকারের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকতা নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানান। 
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর রাতে সজিব, রাজিব, মাহবুব, শাকিল, শামীম ওই তরুণীকে জোড় করে মাহবুবদের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে সজিব, শাকিল, শামীম ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এসময় তরুনীর ডাক চিৎকার করলে তাকে মারধর করে ধর্ষকরা। তরুনীর ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসতে থাকলে তারা পালিয়ে যায়। রাত গভীর হওয়ায় নির্যাতনের স্বীকার তরুণী একটি বাড়ির সামনে বসে থাকে। ভোর বেলা তরুনী তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে রাজিব ও মাহবুব তাকে মারতে মারতে নির্জন কলাবাগানে নিয়ে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুনী নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যলায়ে নারী সহায়তা কেন্দ্রের সহযোগীতায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই আসামীরা পলাতক ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকতা নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সজিব কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। 

#
১৫/১২/১৭ইং 

Monday, December 11, 2017

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত 
আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার
এক জনের আদালতে স্বীকারোক্তি

 


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত আরও ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বেলাব থানার ভাটেরচর গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে হৃদয় (২০) একই থানার দুলালকান্দি গ্রামের সোলমান মিয়ার ছেলে রাকিবুল হাসান শুভ (১৯) ও আওয়াল মিয়ার ছেলে মাহিন (১৯)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হৃদয় আদালতে খুনের সাথ জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মোটর সাইকেল ডাকাতির সময় ২ ডাকাত কে আল আমিন চিনে ফেলায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। গত রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে হৃদয় কে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার। রাকিবুল হাসান শুভ ও মাহিন কে গত সোমবার তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আল আমিন হত্যায় সরাসরি জড়িত। এর আগে ওই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও আদালতে স্বীকারোক্তির সূত্র ধরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আল আমিন হত্যায় তারা ৯ জন জড়িত। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই রায়পুরা ও বেলাব থানায় ডাকাতি করতো। গত ৬ মাসে তারা প্রায় ১৭ টি ডাকাতি করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ডাকাত হৃদয়। এর আগে গ্রেফতার ডাকাত কাওছারের ব্যাবহৃত এনড্রয়েড মোবাইলটিও ডাকাতির বলে জানায় সে। হৃদয়ের জবানবিন্দ রেকর্ডের পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত। অপর দুই ডাকাত শুভ ও মাহিন কে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকতা। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।  




#
১১/১২/১৭ইং




Friday, December 8, 2017

নরসিংদীতে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

নরসিংদীতে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার



তৌহিদুর রহমান:  নরসিংদীর শীলমান্দী থেকে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলার মধ্য শীলমান্দি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী সদর উপজেলার পাচদোনা এলাকার ফজল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), সদর উপজেলার মাধবদী থানার টাটাপাড়া এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে রক্সি (২৭) ও গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বালিগাও এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে মাহাদী হাসান মামুন (২৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ টি তাজা ককটেল বোমা ও ৪ টি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে। 
উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ হয়ে কোথাও বড় ধরনের ডাকাতি করতে পারে। সে সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে মধ্য শীলমান্দি এলাকায় তাদের আটক করা হয়। ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করতে পারলেও আরও ২ ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে তাদের তল্লাশী করে পিস্তল, গুলি, বোমা ও ধারালো অস্ত্র পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতরা দুধূর্ষ ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।
নরসিংদীর সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতার ডাকাতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র বহন, বিস্ফোরক ও ডাকাতি প্রস্তুতির পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
৮/১২/১৭ইং   

Wednesday, December 6, 2017

রায়পুরায় গরু চুরি করতে গিয়ে বকুল নামের এক যুবক কে খুনের ঘটনায় খুনি ছানাউল্লাহর আদালতে স্বীকারোক্তি

রায়পুরায় গরু চুরি করতে গিয়ে খুন
খুনি ছানাউল্লাহর আদালতে স্বীকারোক্তি



তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী রায়পুরার বাটখোলা গ্রামে গরু চোরের হাতে নিহত হন বকুল নামের এক ব্যাক্তি।  জনতার ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বকুল বাধা দিলে তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে ছানাউল্লাহ। সে আঘাতেই মৃত্যু হয় বকুলের। এভাবেই আদালতে খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয় খুনি ছানাউল্লাহ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপণ কুমার সরকার এই মামলায় জেল হাজতে থাকা ছানাউল্লাহ রিমান্ড আবেদন করেন। ৪ ডিসেম্বর আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিামান্ডে খুনের সাথে জড়িত মর্মে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয় সে। গত মঙ্গলবার নরসিংদী সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ায়েজ আল করণীর খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। খুনি ছানাউল্লাহ (৩৭) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাটখোলা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। 
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগষ্ট রাতে রায়পুরা বাটখোলা গ্রামে গরু চুরি করতে যায় ছানাইল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এসময় আশেপাশের লোকজন চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। ছানাইল্লাহ যে পথ দিয়ে পালাচ্ছিল সে পথে তাকে বকুল আটক করতে চেষ্টা করে। বকুলের কাছ থেকে ছাড়া পেতে ছানাউল্লাহ তার কোমরে থাকা চাকু দিয়ে বকুলের বুকে ঘাই মেরে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বকুল হত্যা মামলায় রায়পুরা থানা পুলিশ গত ২৬ নভেম্বর ছানাউল্লাহ কে গ্রেফতার করে। সে মামলায় সে জেল হাজতে ছিল। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর বিভিন্ন কৌশলে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলে থাকা ছানাউল্লাহ জড়িত থাকার মতো তথ্য উপাত্ত পাওয়ার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ডে সে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। তার সাথে জড়িত অন্যন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। 

#
৬/১২/১৭ইং