রায়পুরায় গরু চুরি করতে গিয়ে খুন
খুনি ছানাউল্লাহর আদালতে স্বীকারোক্তি
তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী রায়পুরার বাটখোলা গ্রামে গরু চোরের হাতে নিহত হন বকুল নামের এক ব্যাক্তি। জনতার ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বকুল বাধা দিলে তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে ছানাউল্লাহ। সে আঘাতেই মৃত্যু হয় বকুলের। এভাবেই আদালতে খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয় খুনি ছানাউল্লাহ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপণ কুমার সরকার এই মামলায় জেল হাজতে থাকা ছানাউল্লাহ রিমান্ড আবেদন করেন। ৪ ডিসেম্বর আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিামান্ডে খুনের সাথে জড়িত মর্মে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয় সে। গত মঙ্গলবার নরসিংদী সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ায়েজ আল করণীর খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। খুনি ছানাউল্লাহ (৩৭) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাটখোলা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগষ্ট রাতে রায়পুরা বাটখোলা গ্রামে গরু চুরি করতে যায় ছানাইল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এসময় আশেপাশের লোকজন চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। ছানাইল্লাহ যে পথ দিয়ে পালাচ্ছিল সে পথে তাকে বকুল আটক করতে চেষ্টা করে। বকুলের কাছ থেকে ছাড়া পেতে ছানাউল্লাহ তার কোমরে থাকা চাকু দিয়ে বকুলের বুকে ঘাই মেরে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বকুল হত্যা মামলায় রায়পুরা থানা পুলিশ গত ২৬ নভেম্বর ছানাউল্লাহ কে গ্রেফতার করে। সে মামলায় সে জেল হাজতে ছিল। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর বিভিন্ন কৌশলে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলে থাকা ছানাউল্লাহ জড়িত থাকার মতো তথ্য উপাত্ত পাওয়ার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ডে সে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। তার সাথে জড়িত অন্যন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
#
৬/১২/১৭ইং
No comments:
Post a Comment