Thursday, January 25, 2018

ফ্রীজের মাছ মাংস ফেলে দিচ্ছে পুলিশ এমন গুজবে আতংকময় নরসিংদী

জেলার কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি
ফ্রীজের মাছ মাংস ফেলে দিচ্ছে পুলিশ
এমন গুজবে আতংকময় নরসিংদী


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রীজে রক্ষিত গরুর মাংস, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ পাওয়া গেলে তা ফেলে দেওয়া ও ফ্রীজ ভাঙ্গচুর করছে পুলিশ এমন গুজবে আতংক ছড়িয়ে পড়ে নরসিংদী জেলা জুড়ে। কোথাও এই ধরনরে কোন ঘটনার হদিস পাওয়া না গেলেও শুধু মাত্র মানুষের মুখে মুখে ছড়ানো গুজব আলোচিত হয়েছে সর্বত্র। ভয়ে অনেক মহিলারাই ফ্রীজের গরুর মাংস ও মাছ সরিয়ে ফেলেন। পাশের গ্রামে, পাশের এলাকায় পুলিশ ফ্রীজ ভেঙ্গেছে এমন কথাই উচ্চারিত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষের মুখে। আর এমন গুজবে ফলে বেশ বিব্রতও হয়েছে জেলা পুলিশ। নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম জানান, ইহা সম্পূর্ন গুজব। মানুষের মুখে মুখে এ গুজবের বিস্তৃতি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। জেলার কোথাও পুলিশ এ ধরনের কোন পদক্ষপ নেয়নি। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি  সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতেও খানা জরিপের কাজ চলছে। খানা জরিপে প্রতিটি বাড়ির সদস্যদের তথ্য ও আর্থিক অবস্থা নির্নয় করা হচ্ছে। একটি দেশের সার্বিক উনœিতর মাপকাঠি এই খানা জরীপ। এই জরিপ যারা করছেন তারা বাড়িতে কি কি রয়েছে তা লিপিবদ্ধ করছেন। এই বিষয় কে পুজি করে এমন গুজব ছড়াতে পারে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি প্রকল্পের আওতায় গোটা বাংলাদেশে খানা শুমারির কাজ চলছে। এখানে খানা অর্থ বাড়ি অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকদেও জীবন- জীবিকা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র বাস্তবে কেমন তা এই শুমারীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এর ফলে প্রতিটি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং ব্যবহার্য পণ্য সামগ্রীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের পরিবার থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। 
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হাউসহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচডি) এর আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে নরসিংদীতে। এ নিয়ে এখনো সাধারন মানুষ তেমন অবগত নয়। জরীপ কারীদের বাড়ি বাড়ি তথ্য নিতে গিয়ে বেশ কাঠখড় পোহাতে হচ্ছে। খানা জরীপের  বিষয়ে জেলায় তেমন ধরনের প্রচার প্রচারনা চোখে পড়েনি।

#
২৫/১/১৮ইং

No comments:

Post a Comment