নরসিংদী সরকারী কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি
দায় স্বীকার করলেন অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম

এই ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। এই ঘুষের টাকা কলেজের বিভিন্ন খাতের টাকা থেকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি, সেমিষ্টার ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমানসহ ছাত্ররা অধ্যক্ষ কে জানালেও সেসব অভিযোগের বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি অধ্যক্ষ। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে তিনি সঠিক জবাব দিতে পারেন নি। পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা সঠিক তদন্তের স্বার্থে অধ্যক্ষ কে কলেজ ছাড়ার জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএস শামীম নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্ররা আন্দোলন করে আসছে। নরসিংদী সরকারী কলেজ আমাদের গর্ব ও ঐতিহ্য। এই কলেজের ইতিহাসে কোন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলন হয়নি। এই বিষয়টি আমাদের খুব ব্যাথিত করে তুলেছে। নরসিংদী সরকারী কলেজ থেকেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস ও ভিপি নির্বাচিত হয়ে সঠিকভাবে দয়িত্ব পালন করেছি। কলেজের সাবকে ছাত্র ও ছাত্র নেতা হিসেবে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আমার কাছে তাদের দুঃখ ও কষ্টগুলি শেয়ার করে। ছাত্ররা বিভিন্ন অনিয়ম হাতেনাতে ধওে মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছ। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ও চলমান আন্দোলন আমাদের বিব্রত করেছে। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষের বরাদ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় যে কতিপয় ছাত্র নেতাদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার কারনে তিনি দূর্নীতি করেছেন। সাবেক ছাত্র নেতা হিসেবে বিষয়টিকে খুব গুরুত্বেও সাথে নিয়েছি আমি। সর্বশেষ কলেজ সংসদ এর নির্বাচিত ভিপি আমি। আমার সময় আমাদের সংসদ কলেজের উন্নয়নে সফল ভূমিকা পালন করেছে। আমারা এখন কলেজে নেই। কোন ছাত্র নেতা অধ্যক্ষকে দূর্নীতি করতে বাধ্য করেছে এমন তথ্যও আমাদের কাছে নেই। এছাড়া অধ্যক্ষের দূর্নীতি ঢাকতে অডিট কমিটিকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ব্যাখ্যা জানতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও সাংবাদিকদরে সামনে অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হয়। ছাত্র নেতারা দূর্নীতির সাথে জড়িত এমন কোন তথ্য তিনি দিতে পারেন নি। অডিটি কমিটিকে ১০ লক্ষ ঘুষ প্রদানের বিষয়টিও তিনি সবার সামনে ও সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন। ছাত্রদের আন্দোলন সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক হওয়ায় আমি তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেছি। তদন্ত চলাকালীন তিনি যেন কোন প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সেজন্য অধ্যক্ষ কে কলেজ ছেড়ে দেবার জন্য ৩ দিনের সময় দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রিরা।
#
নরসিংদী
২০/৯/১৮ইং
No comments:
Post a Comment