Monday, February 26, 2018

নরসিংদী সরকারী কলেজ থেকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নরসিংদী সরকারী কলেজ থেকে 
 বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী সরকারী কলেজ থেকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসী কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের দক্ষিন কান্দাপাড়া এলাকার মহল্লার মো: শওকাত মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২০), র্পর্ব ব্রাহ্মন্দী মহল্লার মো: কাজল মিয়পার ছেলে ইব্রাহীম খলিল কনক (২০) ও ইফসুফ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম আহমেদ বাইজিদ (২০)। 
উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, কয়েকজন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নরসিংদী সরকারী কলেজে অবস্থান করছে এমন তথ্য আমাদের কাছে আসে। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ সন্ত্রাসীকে বিদেশী পিস্তল ও গুলি সহ আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সরকারী কলেজ থেকে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকে ঘটনায় বেশ সারা পড়েছে নরসিংদীতে। কলেজ এর ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কয়েকজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান একমির সাথে চলাফেরা করে এই সন্ত্রাসীরা। এছাড়া ও জেলা ছাত্রলীগের বড় পদের অধিকারী নেতারও কাছের লোক তারা। তাদের কে গ্রেফতার করে গোয়ন্দা পুলিশের গাড়িতে তোলা হলে সেখানে তারা বেশ ঘুড়াঘুড়ি করে ও গোয়েন্দা পুলিশের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর নরসিংদী শহর যুবলীগের নেতা রৌসদি তাদের নিজের ছোট ভাই বলে কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতাকে ফোন করে জানায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতরা অস্ত্র ও গুলি সহ ধরা পড়েছে। তাদের যে কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকুক না কেন পুলিশের কাছে তাদেও পরিচয় শুধুই অস্ত্রধারী অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয় হবে। 

 #
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৬/২/১৮ইং

Saturday, February 24, 2018

নরসিংদী জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল

নরসিংদী জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল


তৌহিদুর রহমান: এক দিনেই নরসিংদী জেলা পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম এর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান কে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান কে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কালাম আজাদ কে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান কে লাইন.ও.আর ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ কে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম জানান, জেলা পুলিশের রুটিন কাজের অংশ হিসেবে এই রদবদল হয়েছে। উনারা দীর্ঘ দিন ধরে জেলায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুলিশ কমকর্তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা জেলা আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে আরও ব্যাপকভাবে প্রয়োগের জন্যই এই রদবদল।


#
২৪/২/১৮ইং

Thursday, February 22, 2018

নরসিংদীর বাসাইলে দুটি হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

নরসিংদীর বাসাইলে দুটি হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ সরঞ্জাম ধ্বংস

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী বাসাইলে অবস্থিত ন্যাশনাল জেনারেল এন্ড শিশু হাসপাতাল ও মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে হাসাপাতাল দুটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ আপারেশন সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী সদর এই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন। ভ্রাম্যমান আদালতে আরও অংশগ্রহণ করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহরুখ খান, অরাফাত মো: নোমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা: মুন্নি দাস।  
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহ আলম মিয়া জানান, মেডিকেল ল্যাবরেটরিজ ও ভোক্তা অধিকার আইনে হাাসপাতাল দুটি থেকে কে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল কে অস্বাস্থকর পরিবেশ ও ন্যামনাল জেনারেল হাসপাতালে মেয়াদোত্তির্ণ আপারেশন সরঞ্জামের জন্য জরিমানা আদায় করা হয় ও সে গুলি জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। 

#
২২/২/১৮ইং


Tuesday, February 20, 2018

চাদাবাজীর মামলায় নরসিংদীতে দুই ভুয়া সাংবাদিক গ্রেফতার

চাদাবাজীর মামলায় নরসিংদীতে দুই ভুয়া সাংবাদিক গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: এক ব্যবসায়ীর কাছে চাদা আদায়ের প্রাক্কালে দুই সাংবাদিক কে এনএসআই এর সহযোগীতায় আটক করা হয়েছে। এরপর ওই ব্যবসায়ীর করা চাদাবাজি মামলায় তাদের গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভুয়া সাংবাদিকরা হলো, নরসিংদী শহরের বানিয়াছল মহল্লার মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে মোঃ মানিক মিয়া (৩৫), রায়পুরা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া (৩৮)। 
ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারী নরসিংদীর রায়পুরার মরজালস্থ  নবগঙ্গা এগ্রো ফ্যাক্টরির পরিচালক  শহিদুল ইসলামের নিকট সাংবাদিক পরিচয়ে ২ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে মানিক ও ইদ্রিস। তা না হলে পত্রিকায় মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের হুমকী দেয়। ওইদিন নরসিংদী শহরের ভেলানগরের ফুটওভারব্রিজের নিচে ওই সাংবাদিকদের তিনি ১০ হাজার টাকা দেন এবং বাকী টাকা পরে দিবেন বলে জানান। ওই দুই ভুয়া সাংবাদিকরা টাকার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছিল। এতে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বেশ সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের কে টাকা দিবে বলে কৌশলে নরসিংদী শহরের কাউড়িয়াপাড়াস্থ এনএসআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এনএসআই এর সহযোগীতায় তাদের কে আটক করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। তারপর ব্যবসায়ী শহিদুল মিয়া বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় তাদের কে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহিদুল আলম জানান, চাদাবাজী মামলায় দুই ভুয়া সাংবাদিকের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


#
২০/২/১৮ইং 

Friday, February 16, 2018

প্রেমের ফাদে ফেলে কিশোরগঞ্জের যুবক অপহরণ গোয়েন্দা পুলিশ এর তৎপড়তায় নরসিংদীতে উদ্ধার আটক ৪

প্রেমের ফাদে ফেলে কিশোরগঞ্জের যুবক অপহরণ
গোয়েন্দা পুলিশ এর তৎপড়তায় নরসিংদীতে উদ্ধার আটক ৪


তৌহিদুর রহমান: মোবাইল ফোনের কথোকোপনে প্রেম, অতপর ভালবাসা দিবসে নরসিংদীর আসার জন্য আহবান। সে আহবানে সাড়া দিয়ে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে নরসিংদীতে আসে কিশোরগঞ্জের যুবক সাগর। প্রেমিকার ভাড়া করা অটো রিকশায় করে ঘুড়তে গিয়ে অপহরণ চক্রের হাতে জিম্মি হয় সে। তারপর সাগরের পরিবারের কাছে লাখ টাকা মুক্তপণ দাবী অন্যথায় জীবন নাশ। এমনই পরিস্থিতি থেকে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎপড়তায় সে যুবক কে জীবিত উদ্ধার করা হয়, সেই সাথে আটক করা হয় প্রতারক প্রেমিকা ও ৩ সহযোগীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বন্ধায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মাঝেরচর হতে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া আলম এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার আগরপুর (দাসপাড়া) এলাকার নুর আহাম্মদ এর ছেলে শামীম মিয়া (২৪), একই এলাকার মৃত ছেনু মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া (১৮), নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মাঝেরচর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলের ছেলে জুলহাস মিয়া (২১) ও কথিত প্রেমিকা আফরোজা আক্তার রুনা (২২)। অপহৃত যুবক হলো কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার আজবপুর এলাকার মৃত রতন ফকিরের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ সাগর (১৮)। 
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া আলম জানান, ভিকটিমের বড় ভাই নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগীতা চায়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভিকটিম রুবেল কে অক্ষত উদ্ধার করা হয়। এই অপহরণ চক্রের ৪ জন কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সে মামলায় গ্রেফতারকৃতদের ও  ভিকটিম কে আজ শুক্রবার  আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিম আদালতে অপহরণের ঘটনার জবানবিন্দ দিয়েছে। 

#
১৬/২/১৮ইং       

Thursday, February 15, 2018

নরসিংদীর নিখোজ ছাত্রদল নেতা নাহিদ টাঙ্গাইলে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের দাবী র‌্যাবের

নরসিংদীর নিখোজ ছাত্রদল নেতা নাহিদ টাঙ্গাইলে
অস্ত্রসহ গ্রেফতারের দাবী র‌্যাবের


তৌহিদুর রহমান: নিখোজ হবার ৮ মাস পর সন্ধান পাওয়া গেছে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও তার দুই খালাত ভাই লাল ও নীলের। আজ  র‌্যাব -১২ বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার দেখিয়ে টাঙ্গাইল থানায় সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার রবিউল ইসলাম প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোডবাড়ী গ্রামের মোতালেবের বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিমের ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানের ভেতরে অভিযান চালিয়ে তাদের অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদেও কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন এবং ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রসহ আটকের পর র‌্যাব বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। গ্সংরেফতারকৃতরা ্বএখন টাঙ্গাইল থানার হাজতে রয়েছে। সম্মেলনে আরও জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- তারা দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী ও আশপাশ জেলায় এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনার মাধ্যমে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও লোকজনকে ভয়-ভীতি, হুমকিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করে থাকে। 
ছাত্রদল নেতা নাহিদ ও তার দুই খালাত ভাই গত ৮ মাস ধরে নিখোজ ছিল। তাদের পরিবার দাবী করে আসছিল সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কে গভীর রাতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তার সন্ধান পেতে মানববন্ধন, সভা-সেমিনারসহ বহু কর্মসূচি পালিত হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারন ডায়েরী ও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোন ভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয় সরকার পরিকল্পিতভাবে তাকে গুম করে রেখেছে। নিখোজের এতদিন পর তাদের কে র‌্যাব হেফাজতে পাওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নাহিদ ও তার দুই খালাত ভাইয়ের মুখের বড় বড় দাড়ি আরও রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এই ৩ জন তে পৃথক দিনে বাড়ি থেকে গভীর রাতে তুলে নেওয়া হয়। এতদিন পর তাদের ৩ জন কে একসাথে টাঙ্গাইল হতে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে র‌্যাব-১২’র টাঙ্গাইল ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তিনি ছুটিতে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
   
#
১৫/২/১৮ইং

Wednesday, February 7, 2018

ভয়ংকর খুনি দল, মানুষ মারা যাদের কাছে পানি ভাত

ভয়ংকর খুনি দল, মানুষ মারা যাদের কাছে পানি ভাত 
বেলাব অটো চালক হত্যা মামলায় খুনিদের আদালতে স্বীকারোক্তি

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর বেলাব বীরবাঘবের এলাকার অটো রিকশা চালক জিল্লুর রহমানের খুনিদের সনাক্ত করতে গিয়ে ভয়ংকর এক খুনি দলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যারা অটো রিকশা ছিনতাই করতে গিয়ে অটোচালক কে খুন করতে দ্বিধাবোধ করেনা। এ যেন তাদের কাছে পানি ভাতের মতো ব্যাপার। এদের মধ্যে সুমন নামের একজন সামান্য নেশার টাকার জন্য বেশ কয়েকটি খুন করেছে বলে জানায়। গত মঙ্গলবার নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই খুনি চক্রের ৩ জন জিল্লুর হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত শনিবার গাজীপুর জেলার মীরেরবাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অটোচালক জিল্লু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকতা উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার এই খুনি চক্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়া আসামীরা হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার চরকামালপুর এলাকার আমিনুল মিয়ার ছেলে সোহেল (৩৬), একই এলাকার মুক্তার মিয়ার ছেলে সুলতান (২২) ও নরসিংদীর বেলাব থানার চরবাঘবের এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে ফারুক (২৪)। এ মামলায় আরও গ্রেফতার হয়েছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার মধ্যম সালুয়া এলাকার মৃত জাহিদ হোসেন এর ছেলে সুমন (২৭) ও ছিনতাইয়ের অটো রিকশার খরিদদার কথিত খালা কুলিয়ারচর গাইলকাটা এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম। সুরাইয়া বেগম এই খুনি দলের কাছ থেকে অল্প টাকায় অটো রিকশা কিনে অন্য জায়গায় বেশী দামে বিক্রি করতো। 
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ও আরো দুজন ঘটনার দিন ডাকাতি করতে বের হয়। বেলাব বীর বাঘবের এরাকার নির্জন রাস্তায় তারা কলাগাছ কেটে ফেলে রাখে। সেখানে জিল্লুর তার অটো রিকশা নিয়ে এসে কলাগাছ দেখে থেমে পড়ে। এসময় ডাকাত সুমন, সোহেল, ও আরো দুজন জিল্লুর কে অটো রিকশা থেকে জোড়পূর্বক নামিয়ে ফেলে ও গামছা দিয়ে তার মুখ বেধে ফেলে। এরপর সুলতান ও পারুক ওই অটো রিকশা নিয়ে কুরিয়ারচরের দিকে চলে যায়। এদিকে সুমন সোহেল ও আরও দুজন জিল্লুর কে মারপিট করে ও গলায় গামছা পেচিয়ে খুন করে লাশ নার্সারীতে ফেলে চলে যায়। ছিনতাইকৃত অটো রিকশাটি খালা সুরাইয়ার কাছে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রির টাকা তারা সবাই মিলে বাগ বাটোয়ারা করে। বেটে সুমন জানায় নেশার টাকা দিলে সে যে কোন ধরনের কাজ করতে পারে। নেশার টাকার জন্য সে ও তার দল বহু মানুষ কে খুন করেছে। 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, এরা একটি ভয়ংকর ডাকাত ও খুনির দল। এ ধরনের অপরাধ করতে করতে তারা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। উক্ত আসামীরা কুলিয়ারচর তথা কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ খুন করে অটো রিকশা ছিনতাই করে তাদের কথিত খালার কাছে বিক্রয় করতো। এসব এলাকায় আটো রিকশার চালক হত্যার সাথে তারা জড়িত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ সহযোগীতা করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় অটো রিকশা চালক হত্যা মামলায় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয় যাচাই বাছাই করা যেতে পারে।

#
৭/২/১৮ইং 

Tuesday, February 6, 2018

পরকিয়ার প্রেমের অন্তরঙ্গ ভিডিও হৃদয়ের মোবাইলে থাকায় পরিকল্পনা করে তাকে খুন করে দুই বন্ধু

আদালতে খুনি বাদল ও রুবেলের স্বীকারোক্তি
পরকিয়ার প্রেমের অন্তরঙ্গ ভিডিও হৃদয়ের মোবাইলে
থাকায় পরিকল্পনা করে তাকে খুন করে দুই বন্ধু


তৌহিদুর রহমান: হৃদয়, বাদল ও রুবেল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরকিয়া প্রেমিকার সাথে কাটানো বাদলের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও তার অগোচরে নিজের মোবাইলে নেয় হৃদয়। এই ভিডিও দেখিয়ে কথিত সেই বিবাহতা মহিলার কাছ থেকে ব্ল্যাক মেইল করে টাকা আদায় করে হৃদয়। আর তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ও রুবেল পরিকল্পিত ভাবে এক নির্জন গোরস্থানে হত্যা করে হৃদয় কে। আদালতে এ ভাবেই খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে দুই খুনি বাদল ও রুবেল। গত সোমবার নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ায়েজ আল করণীর খাস কামরায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারী নিখোজ হয় নরসিংদী হাজিপুরের গোপাল চন্দ্র সাহার ছেলে হৃদয় সাহা (২৫)। এর দুই দিন পর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার এক নির্জন গোরস্থানে তার লাশ পাওয়া যায়। এর ২ দিন পর এলাকাবাসী ওই গোরস্থানে একটি মরদেহ দেখে পুলিশ কে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বাদলের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে রায়পুরা থানা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এই দুই খুনিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। জবানবন্দি দেয়া আসামীরা হলো,  নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকার হারাধন দাসের ছেলে বাদল দাস (২৫) ও একই এলাকার গোপাল চন্দ্র সাহার ছেলে হৃদয় সাহা (২৫)। তারা হৃদয় হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। 
মামলার তদন্ত কর্মকতা জানান, জেলা পুলিশ সুপার এর নির্দেশে গত ১ ফেব্রয়ারী মামলার তদন্তভার পাই। খুনিরা খুব পরিকল্পিতভাতে হত্যাকান্ড টি ঘটায়। অনেক আক্রোশের কারনেই এই হত্যার ঘটনা ঘটে। হৃদয়ের মরদেহের পাশে পাওয়া ২ টি মোবাইলের সূত্র ধরেই খুনিদের চিহ্নিত করা হয়। যার একটি হলো হৃদয়ের ও অপরটি তার বন্ধু বাদলের। সেই সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় বাদল কে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার আংশিক বর্ণনা দেয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় রুবেল কে। তাদের দুই জন কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হৃদয় কে হত্যার বর্ণনা ও কারন জানায়। তারপর তাদের কে আদালতে প্রেরণ করলে, তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দি সূত্রে জানা যায়, বাদলের সাথে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ের অন্য লোকের সাথে বিয়ে হলেও বাদলের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। তারা বিভিন্ন সময় অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশা করতো। এসব অন্তরঙ্গ দৃশ্য বাদল তার মোবাইলে ভিডিও করে রাখতো। হৃদয় কৌশলে বাদলের মোবাইল থেকে ভিডিও গুলি তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। এরপর সে এই ভিডিও দেখিয়ে ওই মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতো সে। এ ঘটনা জানার পর ক্ষিপ্ত হয় বাদল। তার অপর বন্ধু রুবেলের সাথে পরিকল্পনা করে হৃদয় কে খুন করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ জানুয়ারী রায়পুরা আমিরগঞ্জ ব্রীজ এলাকায় গিয়ে ৩ বন্ধু মাদক সেবন করেন।  রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাঁজা সেবনের উদ্যেশে মির্জানগর বাহেরচর এলাকার নির্জন একটি কবরস্থানে যায়। সেখানে উপুর্যপুড়ি গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবন কালে হৃদয়কে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে রুবেল হৃদয়ের গোপনাঙ্গে নৃশংসভাবে আঘাত করে। 
জবানবন্দি শেষে আদালত দুই খুনি কে কারাগারে প্রেরণ করেন। 


#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী।
৬.১.১৮ইং

Saturday, February 3, 2018

খালোদা জিয়ার রায় কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত কে কোন তান্ডব করতে দেয়া হবে না


খালোদা জিয়ার রায় কেন্দ্র করে
বিএনপি জামায়াত কে কোন তান্ডব করতে দেয়া হবে না
                                         -পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম (বীর প্রতিক)



তৌহিদুর রহমান: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) নজরুল ইসলাম (বীর প্রতিক) বলেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মামলার রায় কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত কে কোন ধরনের তান্ডব করতে দেয়া হবে না। নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করতে সর্বদা সজাগ থাকবে। তাদের কে কোথাও পা ফেলতে দেয়া হবে না। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী পৌর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত শহর আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী। সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী শহর যুবলীগের আহবায়ক দিদারুল হক বিপ্লব। প্রতিমন্ত্রী  বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে উজ্জল আলোকময় সময়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি জামায়াত দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হবেনা। এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার মামলায় বিএনপির নেত্রীর রায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী দেয়া হবে। আদালত কি রায় দিবে সেটা কেউ জানে না। অথচ বিএনপির লোকজন সেদিন নানা ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছে। দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখতে আওয়ামী লীগ কখনই তা হতে দিবেনা। তিনি আরও বলেন ভাল কাজের যারা বিরোধিতা করে তারা হল শয়তান। বিএনপি হলো শয়তানের প্রেতাতœা। তারা সব সময় দেশ কে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালাদেশ যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিদী জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিবপুরের সংসদ, সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন ভুইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, ফজলুল হক আতিক, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামন কামরুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফর আলি ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি এম তালেব, নরসিংদী শহর আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু  প্রমুখ। সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসহাক খলিল বাবু।  


#
৩/২/১৮ইং

Thursday, February 1, 2018

গ্রেফতার ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও গাড়িচালকের ৩ দিন অন্যান্যদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ডিবি পরিচয়ে ছিনতা
গ্রেফতার ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও গাড়িচালকের ৩ দিন 
অন্যান্যদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর



তৌহিদুর রহমান: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার দুই পুলিশ কর্মকতা ও অন্যান্যদের পৃথক মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার আদালতে প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় রিমান্ড শুনানী শেষে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা আক্তার দুই পুলিশ কর্মকতা সাখাওয়াত হোসেন, আজহারুল ইসলাম ও গাড়ির চালক নুরুজ্জামান মোল্লার ৩ দিন ও কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম এবং সহযোগী নূর মোহাম্মদ ও সাদেক মিয়ার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আসামীদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপণ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি রাতে নরসিংদীর রায়পুরার হাইরমারা এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল মিয়ার কাছ থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নাম করে দু’টি স্বর্ণের বার, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় গ্রেফতারকৃতরা। নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাগহাটা এলাকার এ ই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের মামলার প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

#
১/২/১৮ইং