আদালতে খুনি বাদল ও রুবেলের স্বীকারোক্তি
পরকিয়ার প্রেমের অন্তরঙ্গ ভিডিও হৃদয়ের মোবাইলে
থাকায় পরিকল্পনা করে তাকে খুন করে দুই বন্ধু

মামলার তদন্ত কর্মকতা জানান, জেলা পুলিশ সুপার এর নির্দেশে গত ১ ফেব্রয়ারী মামলার তদন্তভার পাই। খুনিরা খুব পরিকল্পিতভাতে হত্যাকান্ড টি ঘটায়। অনেক আক্রোশের কারনেই এই হত্যার ঘটনা ঘটে। হৃদয়ের মরদেহের পাশে পাওয়া ২ টি মোবাইলের সূত্র ধরেই খুনিদের চিহ্নিত করা হয়। যার একটি হলো হৃদয়ের ও অপরটি তার বন্ধু বাদলের। সেই সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় বাদল কে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার আংশিক বর্ণনা দেয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় রুবেল কে। তাদের দুই জন কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হৃদয় কে হত্যার বর্ণনা ও কারন জানায়। তারপর তাদের কে আদালতে প্রেরণ করলে, তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দি সূত্রে জানা যায়, বাদলের সাথে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ের অন্য লোকের সাথে বিয়ে হলেও বাদলের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। তারা বিভিন্ন সময় অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশা করতো। এসব অন্তরঙ্গ দৃশ্য বাদল তার মোবাইলে ভিডিও করে রাখতো। হৃদয় কৌশলে বাদলের মোবাইল থেকে ভিডিও গুলি তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। এরপর সে এই ভিডিও দেখিয়ে ওই মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতো সে। এ ঘটনা জানার পর ক্ষিপ্ত হয় বাদল। তার অপর বন্ধু রুবেলের সাথে পরিকল্পনা করে হৃদয় কে খুন করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ জানুয়ারী রায়পুরা আমিরগঞ্জ ব্রীজ এলাকায় গিয়ে ৩ বন্ধু মাদক সেবন করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাঁজা সেবনের উদ্যেশে মির্জানগর বাহেরচর এলাকার নির্জন একটি কবরস্থানে যায়। সেখানে উপুর্যপুড়ি গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবন কালে হৃদয়কে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে রুবেল হৃদয়ের গোপনাঙ্গে নৃশংসভাবে আঘাত করে।
জবানবন্দি শেষে আদালত দুই খুনি কে কারাগারে প্রেরণ করেন।
#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী।
৬.১.১৮ইং
No comments:
Post a Comment