Thursday, November 22, 2018

নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের ছুড়ির আঘাতে মেধাবী ছাত্র তানভীর নিহত


নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের ছুড়ির আঘাতে মেধাবী ছাত্র তানভীর নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীর অদূরে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত তানভির আহাম্মেদ খান বীরপুর এলাকার নাসির উদ্দি খানের ছেলে। সে এবার নটরডেম কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, নিহত কলেজ ছাত্র তানভির আহাম্মেদ বই-পত্র আনার জন্য সকাল ৬টার দিকে ট্রেন যোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সন্তানের খোঁজ নেয়ার জন্য সকাল ১০টায় তার মা তাকে ফোন দেয়। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বীরপুর স্কুলের পাশে একটি দোকানের পিছন থেকে বুকে ছুরিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও নিহতের বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
অপর একটি সূত্রে জানাযায়, বীরপুর ও শিক্ষা চত্তর এলাকার বাবু ওরফে সানি, রাব্বি সহ ৪/৫ জনের একটি চক্র ছিনতাই সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। চক্রটি বিভিন্ন সময় নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়। স্থানীয়দের ধারনা, নিহত তানবির সকালে ঢাকায় যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তার গতিরোধ করা হয়। এসময় নিহত তানভিরের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাৎক্ষনিক তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দেয় চক্রটি।
রেলওয়ে ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ শাহ আলম জানায়, ধারনা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। হত্যার পর দুর্বৃত্বরা তাকে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

#
নরসিংদী
২২/১১/১৮ইং

Wednesday, November 21, 2018

নরসিংদী মাধবদীর এ প্লাস ড্যান্স ক্লাব হতে ৬০ ক্যান বিয়ারসহ আটক ১

নরসিংদী মাধবদীর এ প্লাস ড্যান্স ক্লাব হতে
৬০ ক্যান বিয়ারসহ আটক ১

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী মাধবদী হতে একটি ড্যান্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৬০ ক্যান বিয়ারসহ এক ব্যাক্তি কে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে মাধবদী থানার পৌলানপুর অবস্থিত এ প্লাস ড্যান্স ক্লাব এস এস গ্রুপ
অভিযান চালিয়ে এ মাদক উদ্ধার করা হয়। এসময় সৈকত নামের এক যুবক কে আটক করা হয়। আটককৃত সৈকত (৩২) মাধবদীর পৌলানপুর এলাকার সরাফত আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মাধবদী এ প্লাস ড্যান্স ক্লাবে মাদক বিক্রি হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ কার্টুনে ৬০ পিস বিয়ারের ক্যান উদ্ধার করা হয়। উক্ত ড্যান্স ক্লাবে শুধু মাদক নয় দেহ ব্যবসারও যথেস্ট আলামত পাওয়া গেছে। ড্যান্স ক্লাবের আড়ালে তারা মাদক ও দেহ ব্যবসা করে আসছিল। বিয়ার উদ্ধার ও আটকের ঘটনায় মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


#
নরসিংদী
২১/১১/১৮ইং

Saturday, November 17, 2018

নরসিংদীতে ৩৬৫ পিস ইয়াবা সহ দুই নারী আটক


নরসিংদীতে ৩৫০ পিস ইয়াবা সহ দুই নারী আটক


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী শহরের বাসাইল হতে ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ দু্ই নারী কে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। আজ শনিবার স্বন্ধায় বাসাইল মহল্লার গলি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত মাদক বহনকারীরা হলো,  পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে ইতি আক্তার(২৫) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার আকাশ মিয়ার স্ত্রী কাজল আক্তার (২৬)। নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা বিনিময় করা কালীন তাদের আটক করা হয়।তাদের দেয়া স্বীকার মতে ইতির আক্তার এর কাছ থেকে ২ শত পিস ও কাজল আক্তারের কাছ থেকে ১৫০ পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
নরসিংদী
১৭/১১/১৮ইং

বাশগাড়ী নীলক্ষার সংঘর্ষ নিয়ে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন


আওয়ামী লীগ দলীয় নয় স্থানীয় বিরোধের ফলেই বারবার সংঘর্ষ দাবী জেলা সভাপতির


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষা ও বাশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হবার ঘটনা সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলন করেছে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রীফ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী লে.কর্ণেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীর প্রতিক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন এর পরিবেশ নষ্ট করতে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে অংশ হিসেবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কোন কোন্দলের কারনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। নীলক্ষা ও বাশগাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছে। দেশের অন্যান্য চরাঞ্চলের মতো নরসিংদীর চরাঞ্চল গুলিতেও  বহুকাল ধরে টেটা যুদ্ধ চলে আসছে। এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারনে এই ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বাশগাড়ী তে সিরাজুল হক ও সাহেদ সরকারের সমর্থকদের মধ্যে ও নীলক্ষায় তাজুল ইসলাম ও হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই এই  সংঘর্ষ, টেটাযুদ্ধ গুলি হয়। তারা সেখানকার স্থানীয় প্রভাবশালী তাদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এটি। এখানে আওয়ামী লীগের নাম আসা দু:খজনক। রায়পুরা উপজেলায় আওয়ামী লীগের একছত্র উপস্থিতি ও আধিপত্য রয়েছে। যুগ যুগ ধরে রায়পুরায় আওয়ামী লীগের আধিপত্য থাকার ফলে বেশীরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বড় নেতা রয়েছেন। এখন তারা যদি নিজেদের মধ্যে মারামারি করে সেটা তো আওয়ামী লীগের দলীয় কোন ব্যাপার নয়। তিনি আরও জানান অনুসন্ধানে দেখা গেছে উভয় পক্ষের মারামারিতে আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে। এমন কি বিএনপির লোকজনও রয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারী হলেও তারা কোন ব্যাক্তি বা গোষ্টির সমর্থক হয়ে কাজ করে। যখন মারামারি শুরু হয় তখন তারা দল নয় ব্যাক্তি বা গোষ্টির সমর্থনে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। যা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন বিষয় কে ঘিড়ে সৃষ্টি হয় না। যখন নরসিংদীতে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছি তখন এসব মারামারি ষড়যন্ত্রমূল বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন বাশগাড়ী ও নীলক্ষার সংঘর্ষ কে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হিসেবে প্রচার না করার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুইয়া, রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও রায়পুরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই বাশগাড়ীর সিরাজুল হক চেয়ারম্যান ও সাহেদ সরকারের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। একই নির্বাচন কে কেন্দ্র করে নীলক্ষাতেও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই থেকে তাদের সমর্থকরা বেশ কয়েকবার মারামারিতে জড়িয়ে পরে। সেসব যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক। মূলত দলীয় প্রতিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোয়ন বঞ্চিত হবার কারনেই এই বিরোধের তৈরী হয়। এই বিরোধের মধ্যেই বাশগাড়ির সাহেদ সরকার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর কিছুদিন পর চেয়ারম্যান সিরাজুল হক কে গুলি করে হত্যা কওে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় সেখানে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও নরসিংদীর পুলিশ সুপার বদলীর সময়ে বাশগাড়িতে আবার শুরু হয় সংঘর্ষ। গুলিতে নিহত হয় এক স্কুল ছাত্র। বাশগাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করে এই গ্রæপ আবার হামলা করে নীলক্ষায়। সেখানে দুই পক্ষের যুদ্ধে নিহত হয় ৩ জন। এ নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাপড় তখন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জানান নরসিংদীর চরাঞ্চলের সংঘর্ষ ও নিহত হবার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। এর পরই প্রথমবারের মতো চরাঞ্চলের টেটা যুদ্ধ ও সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলো নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ। 

#
নরসিংদী
১৭/১১/১৮ইং  


ঢাকা রেঞ্জ এর অতিরিক্ত ডিআইজির সংবাদ সম্মেলন


রায়পুরা বাশগাড়ি ও নীলক্ষার মারামারির সাথে জড়িত
১৩ জন কে আটক ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ি ও নীলক্ষায় গতকাল শুক্রবার আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মারামারির সাথে জড়িত ১৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে তাদের দখল হতে ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র ৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (সদ্য ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) আবু কালাম সিদ্দিকী। এসময় নরসিংদীর নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শুক্রবার বাশগাড়ি ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এর অনুসারী কবির সরকার ও পরাজিত চেয়ারম্যান সাহেদ সরকারের অনুসারী জাকির হোসেন নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার এর উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক ব্যাক্তি প্রস্তুতি নেয়। এই দুই পক্ষ বাশগাড়ী পিয়ারাকান্দি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সে সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তোফায়েল রানা (১৮) মারা যায়। এই সংঘর্ষ শুরু হলে আশেপাশের মির্জাচর ও নীলক্ষায় থাকা সাহেদ সরকার ও সিরাজুল হক সরকারের সমর্থকরা বাশগাড়ীর বটতলীকান্দি সোবহানপুওে ঝগড়ার প্রস্তুতি নেয়। এখানে যা পুলিশ তৎপড় থাকায় তারা পিছু হটে। 
বাশগাড়ীর মতো নিল¶া ইউনিয়নেও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের সমর্থকরা চুক্তিবদ্ধ হয়ে অর্থের বিনিময়ে বাঁশগাড়ি এলাকায় বিভিন্ন প¶কে সমর্থন দিয়ে সংঘর্ষে অংশ নিয়ে থাকে। এরমধ্যে নিল¶া এলাকার তাজুল ইসলামের সমর্থকরা বাঁশগাড়ী এলাকার সিরাজুল হকের সমর্থক এবং আবদুল হকের লোকজন শাহেদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থক লাঠিয়াল সর্দার ও টেটা যুদ্ধের নেতা ছমেদ আলী নীলক্ষায় তার আধিপত্য বিস্তার করতে দলবল নিয়ে গোপীবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। ছমেদ আলীর প্রবেশ ঠেকাতে সাবেক চেয়ারম্যান হক সরকারের সমর্থক সাবেক মেম্বার সহির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘষে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষটি দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ইউনিয়নের বীরগাঁও, গোপীনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক টেটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এই সংঘর্ষে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব হোসেন ও পরে আবদুল হক সরকারের সমর্থক ¯^পন মিয়া নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরমধ্যে সোহরাব নিল¶ার বীরগাঁও এলাকার উসমান মিয়ার ছেলে এবং ¯^পন মিয়া গোপীনাথপুর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে। 
সংঘর্ষেও পর থেকেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বাতœক চেষ্টা করে। পুলিশের অভিযানে ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ ১৩ জন কে আটক করা হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিউল করিম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকৃতরা হলো, বটতলী কান্দি এলাকার হাজী সিরাজ মিয়ার ছেলে ডা. আমিনুল ইসলাম লিটন (৩৬), লুৎফর রহমানের ছেলে মঙ্গল মিয়া (১৯), মৃত হোরা ডিলারের ছেলে সালাউদ্দিন (২৬), বালুয়াকান্দি এলাকার মৃত মহরম আলীর ছেলে মাইনুদ্দিন (৩২), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (১৯), মৃত গফুর মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (১৯), নূর হাসানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৭),  সালাউদ্দিনের ছেলে সফর উদ্দিন (২৪), হাবিবুর রহমানের ছেলে জিয়া (২৭), মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মো. গয়েছ আলী (৩২) , চরমধুয়া এলাকার মৃত জনাব আলীর ছেলে মো. কামাল (২৭), কেরামত আলীর ছেলে মো. দানা মিয়া (১৯), আবুল হোসেন শিকদারের ছেলে মো. খাজ আলী শিকদার(২৬)।
৩ জন নিহতের ঘটনায় মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

#
নরসিংদী
১৭/১১/১৮ইং



Tuesday, November 13, 2018

ঢাকা বিভাগের সেরা পুলিশ কর্মকর্তার পুরুষ্কার পেলেন নরসিংদী ডিবির এস আই রুপণ ও গাফফার

ঢাকা বিভাগের সেরা পুলিশ কর্মকর্তার পুরুষ্কার
পেলেন নরসিংদী ডিবির এস আই রুপণ ও গাফফার



তৌহিদুর রহমান: ঢাকা রেঞ্জের সেরা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার পুরুস্কার পেলেন নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার কুমার সরকার ও আব্দুল গাফফার। এ বছরে রেঞ্জ পর্যায়ে ৫ম বারের সতো সেরা পুরষ্কার অর্জন করলেন আব্দুল গাফফার ও ৩য় বারের মতো অর্জন করলেন রুপণ কুমার সরকার। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যলায়ে মাসিক অপরাধ সভায় এই পুরুষ্কার তুলে দেন ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি ও নরসিংদীর বিদায়ী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন (বিপিএম,পিপিএম), নরসিংদীর নতুন পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সহ ঢাকা রেঞ্জের সকল পুলিশ সুপারগন।
নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর মেয়র লোকমান হত্যা মামলার

নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বদলী নতুন পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ


নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বদলী
নতুন পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন নাটোরে বদলী হয়েছেন। অপরদিকে নরসিংদীর নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিচ্ছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। গত ৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়লে উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সাইফল্লাহ আল মামুন (বিপিএম,পিপিএম) কে নাটোরের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলী ও ৮ নভেম্বর জারী হওয়া প্রজ্ঞাপনে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ কে নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বিসিএস ক্যাডারের ২০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০০১ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। বিদায়ী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের বিসিএস ক্যাডারের ২০ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি এ বছরের ১৫ মার্চ নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। আগামী ১৪ নভেম্বর বুধবার নতুন পুলিশ সুপার নরসিংদীতে যোগ দিবেন বলে পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।


#
নরসিংদী
১৩/১১/১৮ইং


Saturday, November 10, 2018

নরসিংদী চৌয়ালা পিতা হত্যা ঘটনায় ঘাতক পুত্র মামুন ও মাসুম গ্রেফতার

নরসিংদী চৌয়ালা পিতা হত্যা ঘটনায়
ঘাতক পুত্র মামুন ও মাসুম গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী শহরের চৌয়ালা পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘাতক পুত্র মামুন ও মাসুম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে পিতা হত্যাকারী মামুন কে চৌয়ালা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামুন এলাকায় এসে ঘোরা ফেরা করতে থাকলে এলাকার লোকজন তাকে ঘিরে রেখে পুলিশ কে খবর দেয়। পওে পুলিশ তাকে গ্রেফতার কওে থানায় নিয়ে আসে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান মামুনই তার বাবাকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনার পর পরই থেকে সে পালিয়ে ছিল। বড় ভাই মাসুম ঘটনার সাথে সাথেই আটক হয়েছিল। হত্যার মূল রহস্য

Wednesday, November 7, 2018

নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সহ ১৫ নেতা-কর্মী আটক


নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সহ ১৫ নেতা-কর্মী আটক


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার, শিবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আপেল মাহমুদ সুমন সহ ১৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে নরসিংদী থানা পুলিশ। আজ সন্ধায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সৈয়দুজ্জামান জানান, আসন্ন নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতা কর্মীরা সরকার বিরোধী কার্যকালাপ ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

#
নরসিংদী

৭/১১/১৮ ইং

Friday, November 2, 2018

লোকমান হত্যা মামলার আসামী মোবা অস্ত্র মামলায় ফের দুই দিনের রিমান্ডে

লোকমান হত্যা মামলার আসামী মোবা
অস্ত্র মামলায় ফের দুই দিনের রিমান্ডে


তৌহিদুর রহমান: জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হত্যার অন্যতম পরিক্ল্পনাকারী ও আসমী মোবারকে হোসেন মোবা কে অস্ত্র মামলায় ফের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরির্শক জাকারিয়া আলমের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অনামিকা রায় ২ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মোবারক হোসেন মোবার কাছে সন্ত্রাসী কার্কালাপের বহু রয়েছে। সেসব বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদের জন্য তার আরও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। লোকমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মোবা গত মঙ্গলবার
বনানাী ডিও্তএ্কইচ এস হতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মোবার দেওয়া তথ্যমতে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। সে ঘটনায় উপ-পরির্শক রুপণ কুমার সরকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় তাকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।









#
নরসিংদী
২/১১/১৮ইং