গ্রেফতার ৩।
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী ঃ নরসিংদীতে অজ্ঞান করে লুট করে নেওয়া একটি এম্বয়ড্রারী ফ্যাক্টরীর প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনপার সাথে জড়িত ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেননে জানানো হয়, গত ১১ জুন নরসিংদীর সদর উপজেলার ভাটপাড়ার হানিফ এ্যামব্রয়ডারী ফ্যাক্টরির মালিক ও শ্রমিকদের অজ্ঞান করে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়। ফ্যাক্টরিতে ছদœনামে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেওয়া
আরিফ এই ঘটনা ঘটান। কারখানার ২য় শীফটে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা এসে অজ্ঞান মালিক ও শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মালিক আবু হানিফ সুস্থ হয়ে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দ্রুত তদন্ত করার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর মোবাইল ট্র্যাকিং ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে গত বুধবার গাইবান্ধা হতে তদন্ত কমৃকর্তা আব্দুল গাফফার ঘটনার মূলহোতা ঝিনুক ওরফে আরিফ(২৭) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে ফুলছড়ি থানার চন্দিয়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়নগজ্ঞ ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও ২ জন কে। তারা হলো, গাজীপুরের সখিপুর উপজেলার হাদী সরদারকান্দি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে আল-আমিন(২৫), নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার আদর্শনগর এলাকার আবুল কাশেম এর ছেলে আল-আমিন(২৮)। তাদের কাছে রাখা লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে এ্যামব্রয়ডারী মেশিনের যন্ত্রাংশ, শাড়ি. থ্রি পিস, উড়না,মোবাইল সহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম অরাও জানান, গ্রেফতারকৃত ঝিনুক ছদœনাম নিয়ে নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এ্যাম্বয়ড্রারী ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন সময় আরিফ/মামুন/মুছা/রিয়াদ/হামিদ সহ বিভিন্ন নাম ব্যবহার ব্যবহার করে চাকরী নেয়। চাকরী নেয়ার ৩/৪ দিন পর অনুরুপ ভাবে ঘুমের ঔষুধের মাধ্যমে অজ্ঞান করে লুটপাট করতো। এবং আল-আমিনদের সহযোগীতায় এই গুলি বিক্রি করতো। এই ঘটনার সাথেজড়িত এক ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ধারী দেওয়া শমাহ-আলম নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
৩০/৬/১৬ইং
No comments:
Post a Comment