Tuesday, November 29, 2016

নরসিংদীতে বরফ কল শ্রমিক আইয়ুব হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদন্ড

নরসিংদীতে বরফ কল শ্রমিক আইয়ুব হত্যা মামলায়
ছয়জনের মৃত্যুদন্ড

 তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী :- নরসিংদীর বরফ কল শ্রমিক আইয়ুব হত্যা মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন এ আদেশ দেন। অপরদিকে লাশ গুম করার অপরাধে ২০১ ধারায় প্রত্যেক আসামীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদ-ের আদেশও করেন আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার রামনাথপুর দক্ষিণ পাড়ার লাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে সুজন ওরফে বাঘা সুজন, নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়া শীতল চন্দ্র দাসে ছেলে সোহাগ চন্দ্র দাস, চাদপুর জেলার মতলব থানার আমাকান্দা গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে এরশাদ, নরসিংদীর বৌয়াকুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাদ্দাম, একই এলাকার সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে সমীর চন্দ্র দাস ও বাড়ীঘর বিহীন ভাসমান অবস্থায় বৌয়াকুরের কালাচানের ছেলে বিমল। আসামিরা সবাই পলাতক।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী শহরের বৌয়াকুড়স্থ মোসলেহ উদ্দিন সুপার মার্কেটের একটি বরফ কলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ময়মনসিংহের সুজন ওরফে বাঘা সুজন। কাজে ফাঁকি দেওয়ায় তার চাকরি চলে গেলে সুজনের কর্মস্থলে নতুন শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পান শহরের বৌয়াকুড় মহল্লার আইয়ুব। এ নিয়ে আইয়ুবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় চাকরিচ্যুত সুজন। এরই জের ধরে ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট সুজন মোবাইলে ফোন করে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বরফ কল শ্রমিক আইয়ুবকে নিয়ে যান। পরে পরিবারে
র লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আইয়ুবের সন্ধান পাননি। তিনদিন পর ১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ধামেরভাওলা এলাকায় মেঘনা নদীতে আইয়ুবের মাথাবিহীন গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ শনাক্তের পর নিহত আইয়ুবের বাবা আব্দুল হেকিম সরকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় সুজনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশটি দাখিল করে। এপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জন আসামীর স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি ও ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে বর্ণিত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে রায় প্রদান করেন। সেই সাথে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ দ-েও দন্ডিত  করেন।
অপরদিকে প্রত্যেককে লাশ গুম করার অপরাধে ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা আদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মো.অলি উল্লাহ।


#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী।
তাং ২৯/১১/১৬ইং

No comments:

Post a Comment