Friday, August 25, 2017

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করতে কুড়িগ্রামে নরসিংদী জেলা যুবলীগ

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করতে
কুড়িগ্রামে নরসিংদী জেলা যুবলীগ



তৌহিদুর রহমান: উত্তরাঞ্চলে বন্যায় আক্রান্ত অসহায় বানবাসীদের পাশে দাড়াতে ত্রাণ নিয়ে কুড়িগ্রামে গেল নরসিংদী জেলা যুবলীগ। শুক্রবার বাদ জুম্মা নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম হতে ২ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ নিয়ে জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কুিড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ও পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপাতি লে. (অব) কর্ণেল নজরুল ইসলাম এর নির্দেশনায় জেলা যুবলীগ এই ত্রাণ কার্যক্রম করছে। প্রায় ১৮ শত মানুষ কে চাল, চিড়া,  আলু, গুড়, পেয়াজ, শুকনো মরিচ, খাবার স্যালাইন, দেশলাই, মোমবাতি দেয়া হবে ও ৫ শত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সাহায্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী ও সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজের নেতৃত্বে জেলা ও শহর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কুড়িগ্রাম পৌছেছেন। 
জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজ জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা অসহায় বানবাসীদের সাহয্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। সে আহবানে সাড়া দিয়ে পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে.কর্নেল(অব.) নজরুল ইসলাম হীরু ভাইয়ে নির্দেশনায় জেলা যুবলীগ ত্রান সামগ্রী বিতরন করবে। এ ত্রান কার্যক্রমে নরসিংদী জেলা, শহর যুবলীগ ও জেলা শহর ছাত্রলীগ অংশগ্রহন করছে। জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ যার যার সামর্থ নিয়ে বানবাসীদের পাশে দাড়িয়েছে। জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে ১৫ শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্র্থ বিতরণ করা হবে। এ ত্রাণ বহরে নরসিংদী প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেন এর অনুরাগী সংগঠন জনবন্ধু কল্যান সঙ্গ ৫ শত পরিবারের জন্য ত্রান সামগ্রী দিয়েছে। কুড়িগ্রাম যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পানি বন্দি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান রাজনৈতিক ও  সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবতার সেবায় নরসিংদী জেলা যুবলীগ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। 
নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার্তরা কষ্টে রয়েছেন। তাদের পাশে দাড়াতে প্রধান মন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কে বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে বলেছেন। সে লক্ষে  পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে.কর্নেল(অব.) নজরুল ইসলাম হীরু ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা কুিড়গ্রামে ত্রান বিতরন করতে যাচ্ছি। এই ত্রান কার্যক্রম নরসিংদী জেলার ইতিহাসে একটি মাইলফলত হয়ে থাকবে। এতো ত্রান নিয়ে অন্য কোন জেলায় এর আগে নরসিংদীর কোন সংগঠন বা ব্যাক্তি করেনি। জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ খুব আন্তরিক ভাবে এই মহতি উদ্যেগে অংশগ্রহন করায় তাদের কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

#
২৫/৮/১৭ইং

Saturday, August 19, 2017

নরসিংদীর চিনিশপুরে সুজন হত্যা !! চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিক তামজীদ

নরসিংদীর চিনিশপুরে সুজন হত্যা
চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিক তামজীদ

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর চিনিশপুরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার মুল হোতা ধরা পড়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার এক দিনের মাথায় স্ত্রী অদ্বিতার প্রেমিক তামজীদ কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত খূনি তামজীদ (১৮) রাজাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তারা নরসিংদী শহরের ভেলানগর মহল্লায় বাসিন্দা। গ্রেফতারের পর তামজীদ নিজেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতী, রক্তমাখা গেঞ্জী ও মুখ বাধার কাছে ব্যবহৃত কাপড় লুকানো স্থান হতে বের করে গোয়েন্দা পুলিশ কে দেয়। ক্ষোভের বশে স্ত্রীর প্রেমিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আজ বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। এর আগে নিহতের ভাই বাদী হয়ে স্ত্রী অদ্বিতি, তার ভাই ও মাকে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সে মামলায় অদ্বিতি বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।   

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান,  ১৬ তারিখ বুধবার রাত ১১ টার দিকে নরসিংদী চিনিশপুর এলাকায় স্ত্রী সহ শ্বশুড়বাড়ী  যাবার পথে সুজন সাহা কে কুিপয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই পুলিশ সুপার এর নির্দশে ও ওসি ডি বির  নেতৃত্বে ও পরামর্শে ছায়া তদন্ত শুরু কওে গোয়েন্দা পুলিশ । রাজার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা অদ্বিতার একজন মুসলমান প্রেমিকের তথ্য দেয়। এরপর অদ্বিতির মোবাইল কল ও একটি এসএমএস এর সূত্র ধরে তদন্ত চলতে থাকে। সেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও প্রেম এর বিষয়টি জানার পর তামজীদের মোবাইল ফোন রেকর্ড নেয়া হয়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে তার মোবাইলে উপস্থিতি পাওয়া যায়। তারপরই শুক্রবার দিবাগত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুন করার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। তারপর সে নিজে গোয়েন্দা পুলিশ কে ঘটনাস্থলে নিয়ে কিভাবে খুন করেছে তা দেখায়। তারপর সে দগরীয়া এলাকার একটি বাড়ির ঝোপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, রক্তমাখা গেঞ্জী ও মুখ বাধার কাজে ব্যবহৃত কাপড় বের করে দেয়।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, নিহত সুজনের স্ত্রী  ও তামজীদেও সহপাঠী অদ্বিতী সাহার সাথে বিগত প্রায় ৫ বছর যাবৎ তামজিদের প্রেম এর সম্পর্ক ছিল। তারা হিন্দু- মুসলমান হওয়ায় তাদের প্রেম পরিবার মেনে নেয় নি।  মেয়ের অভিভাবক জোড়র্পূবক অদ্বিতি কে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও তামজীদের সাথে যোগাযোগ রাখে অদ্বিতি। নরসিংদী আসলে তামজীদের সাথে দেখা করতো সে। অদ্বিতি শ্বশুড়বাড়ীতে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলে তামজীদের সাথে কথা বলতো।  এক পর্যায়ে কথার্বাতার বিষয়টি ধরা পড়ে এবং সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু সে প্রেমালাপ বন্ধ থাকেনি। একদিন স্বামী সুজন সাহা তামজীদের মোবাইল কল ধরে ফেলে ও তাকে গালি-গালাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় তামজীদ। মেয়েটি তামজদিকে বলে তার ঐ সংসার আর ভালো লাগে না, পারলে কিছু একটা করতে। কিছু একটা করার প্লান করে তামজীদ। নরসিংদীতে বাবার বাড়ীতে মনসা পূজায় অংশগ্রহন করার জন্য স্বামীকে নিয়ে আসবে বলে জানায় অদ্বিতি। এ সুযোগ কাজে লাগায় সে।  ঘটনার দিন মেয়েটি স্বামী সুজন কে নিয়ে আসবে আর তামজদিকে মোবাইলে অবগত করবে। ট্রেন থেকে নামার পর তামজীদের মোবাইলে তাদের আসার বিষয়টি এসএমএস করে জানায় অদ্বিতি। তামজীদ তার বাসা থেকে সাদা গেঞ্জী মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে একটি ঝোপের আড়ালে ওৎ পেতে থাকে। রিকশা ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথেই তামজীদ রিকশার গতি রোধ করে সুজনকে কোপাতে থাকে। ঘাড়ের উপর মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলে পালিয়ে যায় সে। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট মনিষা রায়ের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তামজীদ।  
সুজন হত্যার সাথে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধারের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম, জেলা গোয়েন্দা পুশিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তৎপড়তা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুব দ্রুত এই হত্যার খুনিকে গ্রেফতার ও কারন উদঘাটন করা হয়েছে। প্রেমিকের প্রতি দূর্বলতা ও তার স্বামীর গালি-গালাজে সৃষ্ট ক্ষোভের ফলেই এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। অতি শীঘ্রই এ হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হবে।

#
তৌহিদুর রহমান
১৯/৮/১৭ইং  


Friday, August 18, 2017

জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান আটক নরসিংদীতে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যে ইয়াবা আটক করেছে ডি বি পুলিশ

জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান আটক
নরসিংদীতে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যে ইয়াবা
 আটক করেছে ডি বি পুলিশ

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী মূল্যের ইয়াবার চালান আটক করছে নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশ। একটি নম্বরবীহিন পিকআপ ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ হাজার পিস নিষিদ্ধ মাদক মরণঘাতী ইয়াবা ট্যাবলেট। যার মূল্য প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির সামনে থেকে এই ইয়াবার চালান আটক করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল এই অভিযান চালায়। 
উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, নরসিংদীতে বড় ধরনের ইয়বার চালান আসতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা তৎপড়তা চালানো হয়।  বৃহস্পতিবার রাতে শিবপুর উপজেলার ঢাকা সিলেট মাহসড়কের ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির সামনে অবস্থান নেয় আমরা। রাত ১০ টার দিকে একটি নম্বরবীহিন পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপ ভ্যান টি তল্লাশী চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় গাড়ির চালক আঃ গফুর কে আটক করা হয়। আটককৃত গাড়ির চালক কক্সবাজারর জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকার বাসিন্দা। 
ইয়াবার চালান টি টেকনাফ থেকে নরসিংদীতে সরবারহ করার জন্য আনা হয়। গাড়ি ও ইয়াবার মূল চালানের  মালিক এনাম  অভিযানের কিছ পূর্বে গাড়ি থেকে নেমে যায় বলে জানায় চালক। 
প্রায় ৯০ লক্ষা টাকা মূল্যের ইয়াবা চালান আটকের ঘটনা জেলা ইতিহাসে প্রথম। এর আগের প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ হাজার পিস ইয়াবার চালানও আটক করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের এই উপ-পরিদর্শক। 
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, নরসিংদীতে ইয়াবার ব্যবহার বন্ধ করতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিশেষ  ভাবে কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় জেলার সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে জেলায় ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি। এ জন্য উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের কে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইয়াবা  ও গাড়ি  আটকের ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
১৮/৮/১৭  

Thursday, August 10, 2017

নরসিংদী ডি বি পুলিশের কাছে ধরা খেল ভুয়া মেজর

ভুয়া মেজর নরসিংদী ডি বি পুলিশের হাতে গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান: ভুয়া মেজর পরিচয়ধারী জুয়েল নামের এক প্রতারক কে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী  জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নরসিংদী শহরের কাউরিয়া পাড়া মহল্লা থেকে গ্রেফতার করা। উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কৌশলে তাকে অাটক করে। তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে প্রতারনামূলক কাগজপত্র পাওয়া যায়।

উপ-পরিদর্শকক আব্দুল গাফফার জানান,  জুয়েল নিজেকে মেজর বলে পরিচয় দিত। এছাড়া বিভিন্ন পরিচয়ে নিত্যনতুন প্রতারনা করে আসছিল। মেজর, নৌ বাহীনির কমিশন্ড অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ইত্যাদি পরিচয়ে, বিভিন্ন বাহীনিতে চাকুরি দেয়া, ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর নাম করে টাকা পয়সা নিত। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও  চাকুরী প্রার্থি সেজে কৌশলে তাকে আটক করা হয়। তার ঘর তল্লাশী করে অসংখ্য ভুয়া আইডি, কার্ড ইউনিফরম পাওয়া যায় । বিভিন্ন ধরনের সনদ, নিয়োগপত্র সহ নরসিংদী জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সই সিল সংবলিত নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়া যায় তার কাছে। তার যাতায়ত আছে এমন সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ বাড়ীর পাশ্ববর্তী সীমানার লোকজন ও তাকে একজন মেজর হিসেবেই জানে, এই পরিচয়ে বিয়ে করেছে বলে তার স্ত্রী জানায়।
ভুয়া মেজর পরিচয়, প্রতারনা, সরকারী কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করার ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Saturday, August 5, 2017

নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যা বটি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে প্রিতম

নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যা
বটি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে প্রিতম



তৌহিদুর রহমান:  নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রানি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরীক্ষা খারাপ দেওয়ায় ছেলে প্রিতম কে গালাগাল করে মা। সে কারনে ক্ষুব্দ হয়ে ধারালো বটি দিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করে ছেলে। হত্যাকান্ড সংগঠতি হওয়ার প্রায় ২৬ দিনের মাথায় এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের বিশষে নির্দেশনায় মামলাটির ছায়াতদন্ত করতে গিয়ে মূল ঘটনার উন্মোচন করেন তিনি। গত শুক্রবার মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্র প্রীতম ভৌমিক। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

জবানবন্দি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের ৮ তারিখ বৃহস্পতিবার নরসিংদী শহরের দেশ প্রিয় রোডে দিন দুপুরে গলা কেটে হত্যা করা হয় গৃহবধূ দীপা রাণী ভৌমিক। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় নরসিংদীসহ সারা দেশে। ঘটনার ইতিবৃত্ত জানতে ও খুনিকে ধরতে ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ডাকাতি, চুরি, শত্রুতা বিভিন্ন বিষয়কে মাথায় রেখে তদন্তে নামে পুলিশ। তবে কোন ধরনের মোটিভেই এই হত্যার রহস্য ধরতে পারা যাচ্ছিলনা। নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার এই হত্যা মামলার ছায়া তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা গোয়েন্দা শাখাকে। এরপর জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ছেলে প্রীতম কে জ্ঞিাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। 
 জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, ছেলে প্রীতম কে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রথমে তার মার রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখানো হয়। এই ছবি দেখে সে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পড়ে কৌশল প্রয়োগ করে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন মাকে হত্যা করেছে। এতে সে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। প্রথমে সে অস্বীকার করলেও একটা সময় সে সব স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। তারপর তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ছেলে প্রীতম বিভিন্ন ধরনের নেশা করতো। যার ফলে সে উগ্র মন-মানসিকতার হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। 
জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ছেলে মাকে হত্যা করতে পারে বিষয়টি অভাবনীয়। আমরা অন্যান্য মোটিভ নিয়ে তদন্ত করছিলাম। পরিচিত কিংবা পরিবারের লোকদের দ্বারা এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে প্রতিয়মান হচ্ছিল। সে কারনে আমরা পরিবারের সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলাম। বিভিন্নভাবে তদন্তের এক পর্যায়ে তার ছেলে কে সন্দেহ করি আমরা। তারপর কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। আদালতে সে জবানবন্দি দিয়েছে। 
নরসিংদীতে ঘটে যাওয়া আভাবনীয় এই হত্যাকান্ড যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের সমাজের পারিবারিক অশান্তির ভয়াবহ রুপ দেখিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মনে করেন, পারিবারিক সুদৃড় বন্ধন এর অভাব ও মাদকের প্রভাবের ফলেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেছেন। 


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৫/৮/১৭ইং



Wednesday, August 2, 2017

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ২৫২ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেফতার


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে
২৫২ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুই অভিযানে ২৫২ পিন এয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলার নরসিংদী শহরের বিলাসদী ও বেলাব উপজেলা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার হুসেন মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া(৩০), সাহেপ্রতাপ এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে সজিব মিয়া( ২২), কান্দাপাড়া মহল্লার সোলাইমান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২২) ও বেলাব উপজেলার ইব্রাহীমপুর এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মিজান মিয়া (২১)। 
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের নিয়মিত অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক আব্দুল সালাম তালুকদার নরসিংদী শহরের বিলাসদী হতে নাইম, সজিব ও সুমন কে ১৭৭ পিস ইয়াবাসহ করেন। পৃথক অভিযানে উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া আলম বেলাব হতে মিজান মিয়াকে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। তাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানা ও বেলাব থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২/৮/১৭ইং