Tuesday, July 18, 2017

নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার করায় ২ জন কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের

নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার
২ জন কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের 

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার করার সাথে জড়িত ২ যুবক কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ভুক্তভোগী মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আজ মঙ্গলবার সকালে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার আখলাকুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান তুষার(২০) ও নরসিংদী শহরের খাটেহারা মহল্লার সায়েদ সরকারের ছেলে জুনায়েদ(১৯)।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে ভুয়া আইডি দিয়ে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন জনৈকা ছাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। পুলিশ সুপার আমেনা বেগম(বিপিএম)বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে অভিযোগের তদন্তভার দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযানে নামে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার শহরের বাসাইল হতে প্রধান অভিযুক্ত তুষার ও পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপর আসামী জুনায়েদ কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বয়সে বড় ওই মেয়েটিকে ২ বছর  আগে প্রেম প্রস্তাব দেয় তুষার। প্রেম প্রস্তাবে ব্যার্থ হয়ে নানা উপায়ে মেয়েটিকে রাজী করানোর চেষ্টা করে তুষার। এ নিয়ে তার অভিভাবকরা তাকে বেশ কয়েকবার শাসনও করে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। এক পর্যায়ে মেয়ের মোবাইল থেকে কৌশলে কিছু আপত্তিকবর ছবি তুষার নিয়ে নেয়। তারপর ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ওই ছবি প্রচার করে সে। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেয়েটি। নিরুপায় হয়ে সে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার মূল হোতা তুষার ও তার সহযোগী জুনায়েদ কে গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটি নরসিংদী সদর মডেল থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় তাদের ৭ দিন রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব ঘটনা জানা যাবে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৯/৭/১৭ইং 

Friday, July 14, 2017

নরসিংদীর শিবপুরে ২ বিদেশী পিস্তল ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার সহ এক মহিলা গ্রেফতার


নরসিংদীর শিবপুরে ২ বিদেশী পিস্তল ও ৫০০ গ্রাম
গান পাউডার সহ এক মহিলা গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার সহ সুফিয়া নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে শিবুপর উপজেলা ভরতেরকান্দী এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুফিয়া (২৮) শিবপুর উপজেলার ভরতেরকান্দি এলাকার কামরুল মিয়ার স্ত্রী। সুফিয়ার স্বামী কামরুল বিভিন্ন ধরনরে অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভরতেরকান্দি গ্রামের কামরুলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কামরুলের ঘর তল্লাশী করে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, ৬৫০ গ্রাম পারদ, ৩ টি খালি ম্যাগজিন, ২টি পিস্তলে কভার, ১ টি গুলির বক্স, ১ টি পিস্তলের বক্স, পিস্তলে ব্যবহৃত স্টিলের চেইন পাওয়া যায়। এসময় তার স্ত্রী সুফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,  সুফিয়ার স্বামী তাকে পিস্তল ও গান পাউডার গুলো রাখতে দিয়েছিল। সুফিয়াকে পিস্তল সহ গ্রেফতারের পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর, মনোহরদী সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদ বলেন, বিদেশী পিস্তল ও গান পাউডার বড় ধরনের অপরাধী চক্ররা ব্যবহার করে থাকে। নাশকতা, জঙ্গিবাদ, ডাকাতি কিংবা তারা এসবের ব্যবসাও করতে পারে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি। এখন পর্যন্ত সুফিয়ার স্বামী কামরুল ও তার বন্ধু আল-আমিন ওরফে হাবির সংশ্লিষ্টতা জানতে পেরেছি। সুফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।  এ ঘটনায় শিবপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৪/৭/১৭ইং    

Monday, July 10, 2017

নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর ৪ মাদ্রাসা ছাত্র কে উদ্ধার করলো পুলিশ


নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর
৪ মাদ্রাসা ছাত্র কে উদ্ধার করলো পুলিশ



তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী:  নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধায় শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা থেকে উদ্ধার করে শিবপুর থানা পুলিশ। তারা মনোহরদী উপজেলার চালাকচরের বাঘবের জামিয়া ইসলামিয়া নুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র। উদ্ধারকৃতরা হলো রিদওয়ান রবিন (১৩), মোঃ আশরাফু ইসলাম (১২), জুয়েল (১২), রাকিব (১১)। তারা গত ৭ জুলাই থেকে নিখোজ ছিল। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর, মনোহরদী সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই চালাকচরের বাঘবের জামিয়া ইসলাময়িা নুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৪ ছাত্র মাদ্রাসার কাউকে কিছু না বলে বেলা ১১ টার দিকে বের হয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের আর কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ গত ৯ জুলাই  মনোহরদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। তারপর তাদের খোজে নামে পুলিশ। ৩ দিনের চেষ্টায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ইটাখোলা থেতে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর তাদের কে মনোহরদী থানায় হস্তান্তর করনা সেখান থেকে তাদের কে অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ জানান, চার মাদ্রাসা ছাত্রের নিখোজের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। তাদের কে খুজে বের করার জন্য নানা জায়গায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে শিবপুরের ইটাখোলা থেকে তাদের কে উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসার কঠিন পড়াশোনার চাপেই তারা বের হয়ে যায় বলে জানা গেছে। তাদের কে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।  


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১১/৭/১৭ইং

নরসিংদী আড়াইহাজার সীমান্তের পুরিন্দা এলাকা থেকে বন্টন হচ্ছে ইয়াবার চালান


সক্রিয় ৪ ডিলার 
নরসিংদী আড়াইহাজার সীমান্তের
পুরিন্দা এলাকা থেকে বন্টন হচ্ছে ইয়াবার চালান


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীতে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের চোখ এড়াতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। নরসিংদী ও আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা ও সাতগ্রাম এলাকা কে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ইয়াবার চালান লেনদেন করার জন্য। এজন্য সেখানে সক্রিয় রয়েছে ৪ ডিলার ও তাদের অধিনস্থ প্রায় ৩০ জনের উপর খুচরা বিক্রেতা। ইয়াবা চালানের জন্য নরসিংদী জেলার পূর্বের প্রসিদ্ব স্থানসমূহ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ও প্রতিপক্ষের চোখ ফাকি দিয়ে নির্বিঘেœ ইয়াবার ব্যবসা করার জন্যই তারা ওই এলাকা কে বেছে নিয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে ও পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানকার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নরসিংদীর চিহ্নিত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এমদাদুল হক ওরফে এমদা। যাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেব এক নামে চিনে নরসিংদীর মানুষ। যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বহু মাদকের মামলা রয়েছে। সে আগে পলাশ উপজেলার চর্ণগরদী ও সদর উপজেলা চিনিশপুর কে কেন্দ্র করে তার মাদকের ব্যবসা করতো। এইসব এলাকায় বারবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন সে তার স্থান পরিবর্তন করে পুরিন্দা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তার ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে রাতুল আহম্মেদ সুমন নামের আরও এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের কে মূল ইয়াবার চালান দেয় ইয়াবার ডিলার জিন্নত আলী। সে টেকনাফ কেন্দ্রীক ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইয়াবার বড় চালান তার হাত ধরেই আসে এমদা, জি›ন্নত আলী, ও সুমনের কাছে। জিন্নত আলী খুব বুদ্ধিমত্তার সাথেই পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে করছে এই ব্যবসা। কেতাদুরুস্ত পোশাক আর ভারী চাল চলনে নিজেকে আড়াল করে রাখে সে। দামী প্রাইভেটকারে করে সে ইয়াবারন চালান সরবারহ কর থাকে। তাকে এই কাজে সহযোগীতা করে নরসিংদীর অজ্ঞাত এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। জিন্নত আলী নারায়নগঞ্জ, আড়াইহাজার ও

Sunday, July 9, 2017

নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে ফ্যাশন বাজারের যাত্রা শুরু

নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে
ফ্যাশন বাজারের যাত্রা শুরু


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে নরসিংদীর বৌয়াকুড়ে যাত্র শুরু করলো ফ্যাশন বাজার। গতকাল শনিবার এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ, শহর যুবলীগের আহবায়ক দিদারুল ইসলাম বিপ্লব, যুগ্ম আহবায়ক রায়হান আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুন, যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক খলিল বাবু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব সরকার, তেজাগাও পলিটেকনিক এর ছাত্র নেতা আহমেদম মামুন সহ ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর সবাই কে মিষ্টি মুখ করান ফ্যাশন বাজারের স্বত্বাধিকারী মো: হারুন অর রশিদ। 
গ্রাহকদের চাহিদামত ফ্যাশন, মান ও গুনের বিষয়টি মাথায় রেখে এই পোশাকের দোকানের যাত্র শুরু বলে জানিয়েছেন স্বত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ। ছোট থেকে বড় সব বয়সীদের জন্য পছন্দমতো পোশাক পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৯/৭/১৭ইং 

Wednesday, July 5, 2017

গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত


গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত


তৌহিদুর রহমান: গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত কুমার।  কেরালার পেরুম্বভাবোর জুব্লী পেন্ডেল মিনি স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত ঈদ কনসার্টে গান পারফর্ম করেন তিনি। সান নিসাদ কেরালার আয়োজনে ইদের ২য় দিন এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এবার নিয়ে কেরালা রাজ্যে ২য়বারের মতো পারফর্ম করলেন প্রমিত। ঈদের ২য় দিন রাতে কনসার্টে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন টুনির মা খ্যাত প্রমিত। 
প্রমিত কুমার জানান, টুনির মা গানের পর বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার শ্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাই। পশ্চিম বাংলায় নিয়মিত পারফর্ম করা হচ্ছে। এবার ঈদের কেরালায় শো করার জন্য প্রস্তাব পাই। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যভান মনে করি। এবার নিয়ে দুই বার আমি কেরালায় পারফর্ম করলাম। সেখানে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। কেরালার বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থা সান নিসাদ এর প্রয়োজনায় বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিও বাজারে আসবে। এতে আমার সাথে জুটিবদ্ধ হবেন কেরালার ফিল্মস্টার সিগমা। আগামী সপ্তাহে এর কাজ শুরু করতে কেরালায় যাব। ভক্তদের আশীর্বাদের এতদুর আসতে পেরেছি, আগামীতেও তারা আমার সাথে থাকবে এই প্রত্যাশা করি। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৫/৭/১৭ইং

Tuesday, July 4, 2017

নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের প্রধান ইন্ধনদাতা শাহেদ সরকার গ্রেফতার


নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের
প্রধান ইন্ধনদাতা শাহেদ সরকার গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের প্রধান ইন্ধন দাতা  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার হাফিজুর রহমান ওরফে শাহেদ সরকার কে গ্রেফতার করেছ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচর এলাকার নিজ বাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত শাহেদ সরকার রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চল বাশগাড়ির রক্তক্ষয়ী টেটাযুদ্ধের প্রধান ইন্ধনদাতা। নিজের আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার ঈশারায় দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে টেটাযুদ্ধ চলে আসছে। এই টেটা যুদ্ধের ফলে ৭ জন ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ সহ আহত হয়েছে বহু মানুষ। তাকে গ্রেফতারের পর কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বাশগাড়িসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
পুলিশ ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বাশগাড়িতে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি শাহেদ সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক এর মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর ফলে এই দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাধ্যে টেটা যুদ্ধ শুরু হয়। নির্বাচনের সময় এই দুই গ্রুপের টেটাযুদ্ধে ১ ব্যাক্তি নিহত হয়। এ্ ঘটনার পর এলাকা থেকে দুরে সরে আসে শাহেদ সরকারের সমর্থকরা। 
গত এপ্রিলে বাশিগাড়িতে অবস্থান নেয়ার জন্য ব্যাপক রণ প্রস্তুতি  নিয়ে সিরাজুল হকের সমর্থকদের সাথে যুদ্ধে নামে। এরপর কয়েক দফা সংঘর্ষে নিহত হয় ৬ জন। এত প্রানহানির পরও ক্ষান্ত হয়নি ক্ষমতালিপ্সুরা। অব্যাহত সংঘর্ষে আতংকের জনপদে পরিণত হয় বাশগাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায় সেখানে। কিন্তু এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি পুলিশ। সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় রায়পুরা থানায় প্রায় ৪১ টি মামলা হয়। পুলিশ এসব মামলার আসামিদের ধরতে গেলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।  এসব মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য রায়পুরা থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালদের হাতে সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ সাহেদ সরকারের লাঠিয়াল সর্দার রূপ মিয়া মেম্বার, আজিজুল, জাকির ও হাবিবুর সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করার পর সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালরা পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। পুলিশ আসামীদেরকে নিয়ে বাঁশগাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালরা সেখানে হামলা চালিয়ে কয়েকজন আসামী ও ৩ পুলিশ সদস্যকে অস্ত্রসহ অপহরন করে। পরে গভীর রাতে জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু শালিস বৈঠক করে শাহেদ সরকারকে ৭ লাখ এবং চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে আপোষ মিমাংসা করে দেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মিাংসা হওয়া পরেও শাহেদ সরকার তার আগ্রাসী অবস্থান ধরে রাখে। যার ফলে আবারও সেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে যখন পুরো জেলা জুড়ে আলোচনা শুরু হয়, তখনই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে টেটা যুদ্ধের খলনায়ক শাহেদ সরকার কে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সাইদুর রহমান জানান. জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশনায় বহু মামলার আসামী সরকার হাফিজুর রহমান ওরফে শাহেদ সরকার কে নরসিংদীর বাদুয়ারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে রায়পুরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম জানান, বাশগাড়ির বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হত্যা, বোমাবাজি, লুট, পুলিশের উপর হামলাসহ বহু মামলার আসামী শাহেদ সরকার। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
সোমবার দুপুওে তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৪/৭/১৭ইং


Sunday, July 2, 2017

নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের ব্লক রেইড

নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের ব্লক রেইড

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরের পুটিয়া এলাকায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের অনুসন্ধানে ব্লক রেইড দিয়ে তল্লাশী চালিয়েছে শিবপুর থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শিবপুর সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক পুলিশের একটি দল এই অভিযান চালায়। বেলা ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত টানা অভিযান চলে। এসময় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন  বাড়িতে তল্লাশী চালায় ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের বিষয়ে খোজ খবর নেন। 
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ জানান, গ্রাম এলাকায় অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা আত্বগোপনে
থেকে অপরাধ করে। এছাড়া জঙ্গিবাদের সাথে জড়িতরা অনেক সময় শহরের আশেপাশের গ্রাম গুলিতে  অবস্থান নিয়ে থাকে। বিভিন্ন বিষয় কে সামনে রেখে আজ আমরা পুটিয়া এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে তল্লাশী চালিয়েছি। অভিযান চলাকালে কাউকে আটক করা হয়নি।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২/৭/১৭ইং
মোবাইল ০১৯১৫-১৬৪৬৪৭

Saturday, July 1, 2017

নরসিংদীতে অভিনব উপায়ে ৭ মাসের শিশু অপহরণ পুলিশের ঐকান্তিক চেষ্টায় জীবিত উদ্ধার

নরসিংদীতে অভিনব উপায়ে ৭ মাসের শিশু অপহরণ
পুলিশের ঐকান্তিক চেষ্টায় জীবিত উদ্ধার

তৌহিদুর রহমান: মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষে অভিনব উপায়ে অপহরণ করা হয়েছিল ৭ মাসের শিশু তোহাকে। পরে নরসিংদী সদর থানা ও পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশের ঐকান্তিক চেষ্টায় টানা ২ দিনের অভিযান শেষে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে শিশু সাবিকুন নাহার তোহা কে। এ ঘটনায় নারী অপহরণকারী ছাবিনা(২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উদ্ধারকৃত শিশু তার মা ও গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী নারীকে উপস্থিত করা হয়। অপহৃত শিশু সাবিকুন নাহার তোহা নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে। আর গ্রেপ্তারকৃত ছাবিনা আক্তার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের রাকিবুল হাসান রানার স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার আলমগীর হোসেন এর বাড়িতে ভাড়া থাকতো রাকিবুল হাসান রানা ও তার স্ত্রী। রাকিবুল  স্থানীয় একটি পাওয়াললুমে কাজ করতো। গত ২৮ তারিখ বাড়িওয়ালার স্ত্রীর কাছ থেকে কোলে নিয়ে ঘুড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হবার পর স্বামী স্ত্রী কেউ বাসায় ফেরেনি। এসময় উদ্বিগ্ন বাবা মা রাকিবুলে ঘরে তল্লাশী চালায়। এসময় রাকিবুলের বিছানার বালিশের নিচ হতে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যার মধ্যে শিশুটিকে অপহরণের কথা বলা হয় ও ৯ সংখ্যার একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। বাকি দুই সংখ্যা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা শিশুটির বাবার কাছে মোবাইলে ফোন করে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাকে ফেরত পেতে হলে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে বলে জানায়। বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা পাঠানো হয়, কিন্তু শিশুটিকে ফেরত দিতে অপরাগতা দেখায় অপহরণকারীরা। পরে শিশুটির পরিবার রাকিবুল হাসান রানা ও তাঁর স্ত্রী মোসা. ছাবিনা আক্তারকে আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম কে অবহিত করা হয়। উনার বিশেষ নির্দেশে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর মোজাফফর হোসেন ও উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া হোসেন পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ ইউনিটের সহযোগীতায় টানা ২ দিন অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় মোবাইল কল ও বিকাশ একাউন্ট এর অবস্থান নির্ণয় করে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বোর্ডবাজার ডেকেরচালা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অপহৃত শিশু তোহাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় এজাহারভুক্ত অপহরণকারী ছাবিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) বলেন, ঈদের ব্যাস্তার মধ্যে খুব সুকৌশলে অপহরণের ঘটনা ঘটায় চক্রটি। শিশুটির জীবনের কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ চেষ্টা নিয়ে কাজ করে পুলিশ। টানা অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এ অভিযানে বিশেষ সহযোগীতা করেছে পুলিশ সদর দপ্তরের বিশেষ ইউনিট। সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম(বিপিএম) ও রাকিবুল হাসান কে ধন্যবাদ জানান তিনি। উদ্ধারকৃত শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিউর রহমান, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।