আদালতে জড়িত সোবহানের জবানবন্দি
নরসিংদী সিটি সেন্টারের ছাদে নির্মমভাবে পিটিয়ে
হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা সৈকত কে
তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী পৌরসভা সংলগ্ন সিটি সেন্টারের ১৬ তলা ছাদে দড়ি দিয়ে বেধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শীলমান্দীর যুবলীগ নেতা সৈকত কে। এই খুনের সাথে জড়িত সোবহান আদালতে এই খুনের ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর খাস কামরায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জড়িত সোবহান (৩০) নরসিংদী শহরের পশিচম দত্তপাড়া এলাকার রহিম মুন্সির ছেলে। সোবহানসহ এই ঘটনায় আরও ৯ জন জড়িত ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে সৈকতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ও সহযোগীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়। এই রোষানলে নরসিংদী পৌরসভা সংলগ্ন সিটি সেন্টারের ১৩ তলা ছাদে ২৬ মার্চ সোমবার দুপরে শুরু হয় তার উপর নির্মম নির্যাতন। এভাবে রাত পর্যন্ত চলে নির্মম পিটুনি। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সৈকত। পড়ে তার মরদেহ শিবপুরের পুড়ান্দিয়া এলাকায় ফেলে রেখে আসে তারা। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এর খাসকামরায় এ নির্মম ঘটনার লোমহর্ষক বর্ননা দেয় সোবহান।
রুপন কুমার সরকার জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দোষীদের চিহ্নিত করে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সোবহান কে। গতকাল রোববার বিকেলে নরসিংদী সিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রেখে সকল তথ্য প্রমাণ তার সামনে উপস্থাপিত করলে সে ঘটনার সব খুলে বলে। এরপর সে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে শুরু থেকেই কাজ করছি আমরা। উপযুক্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে খুনের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সোবহান আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এই মূহুর্তে মামলার তদন্তের স্বার্থে সোবহানের জবানবন্দী ও আমাদেও কাছে থাকা তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে পারলেই এ খুনের সব জানা যেতে পারে।
#
২/৪/১৮ইং
No comments:
Post a Comment