সরকারী অনুমোদনের পূর্বেই
শিবপুর জাল্লারা বাজারে স্থায়ী দোকানপাট নির্মান

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জালারা বাজারে প্রায় শতাধিক দোকান নির্মান করে টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ দিচ্ছে। গড়প্রতি দোকান থেকে ১ লক্ষ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এ দোকানগুলি বরাদ্দ দিয়ে চেয়ারম্যান নাদিম সরকারসহ বেশ কয়েক ব্যাক্তি মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করে নেয়।
এ ব্যাপানে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম সরকার বলেন, বাজারটিকে আধুনিকরূপে ফিরিয়ে আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নকশা তৈরী করা হয়। সে নকশা অনুসারে ভিট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তিরা আবেদন করেছেন। সে আবেদন এখন জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের অপক্ষোয়। ব্যাবসায়ীরা তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দোকান নির্মাণ করেছেন। এখন জেলা প্রশাসন অনুমোদন দেন বা না দেন সেটা তাদের ব্যাপার। যদি স্থাপনা অবৈধ হয় তবে প্রশাসন তা উচ্ছেদ করুক। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব বলেন, আামার আসার পূর্বেই বাজারে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা ভ’মি কর্মকর্তার কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। উর্ধত্বন কর্তপক্ষ আমাকে যে নির্দেশনা দিবে আমি তা কার্যকর করব।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাজারের আধুনিকতা আনয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যানের উদ্যোগে নকশা প্রণোয়ন করা হয়। বিট বরাদ্দ দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনকারীদের আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দের আগে পাকা স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবেদ পাঠিয়েছেন উপজেলা সহকারী ভ’মি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস শিলু রায় বলেন, পূর্ববতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বাজার আধুনিক সম্প্রাসরণ এর জন্য নকশা তৈরী করে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক সে নকশা অনুমোদন করেন। নকশায় থাকা দোকান এর বরাদ্দ পেতে স্থানীয় ব্যাক্তিগণ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তা অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীণ। সরকারীভাবে ভিট বরাদ্দ দেয়া না হলেও সেখানে স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন সে কারনে এখনই কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যদি অনুমোদিত না হয় তবে তা নিয়ম-মাফিক উচ্ছেদ করা হবে।
#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
No comments:
Post a Comment