Wednesday, October 11, 2017

গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাসায় চুরি অভিনব এই মহিলা চোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার

গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাসায় চুরি
অভিনব এই মহিলা চোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার 

তৌহিদুর রহমান: প্রথমে অসহায় পরিচয় দিয়ে মানুষের বাসায় বুয়ার কাজ নেয়। তারপর সুযোগ বুজে ওই বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে চম্পট। এমনই এক অভিনব মহিলা চোরকে গ্রেফতার করছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম হালিমা (২০)। গত ৬ অক্টোবর নরসিংদী শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা পল্লি বিদ্যুৎ এ কর্মরত এক ভদ্র মহিলার বাসা থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে নানা কৌশল প্রয়োগ করে ওই অভিনব মহিলা চোর কে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সে মনোহরদী থানার নোয়ানগর এলাকার ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তাকে গ্রেফতারে পর চুরির ৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত মহিলাটি একটি সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। সে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে চুরি করে। সে কোথাও ছদ্মনাম 'রীমা','মিসু','রেশমী' ব্যবহার করে। সে এক এলাকায় দুইবার প্রবেশ করে না। আবাসিক এলাকায় এতিম বেশে কান্নাকাটি করে এতে দরদী হয়ে মালিকগন অসহায় মেয়েটিকে বাসায় একটি কাজ দেয় এবং মেয়েটি বাসায় কাজে নিয়োজিত
থেকে কৌশলে সবকিছু নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সে শুধু স্বর্ণালংকার চুরি করে এবং তার বিশ্বস্থ কয়েকটি স্বর্ণের দোকানে সস্তায় বিক্রি করে। ভুক্তভোগী মহিলা ডিবি অফিসে এসে বিস্তারিত ঘটনার বর্ননা দিলে অফিসার ইনচার্জ মহোদয় ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রীমা নামের ছদ্মনামধারী মহিলা "হালিমা"কে গ্রেফতার করি। এসময় তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, একটি আংটি, নগদ ৪০০০ টাকা পাওয়া যায়। তার দেয়া তথ্যমতে চালাকচর ও কটিয়াদি হতে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার এর অধিকাংশ উদ্ধার হয়। এ চক্রের সাথে জড়িত দুই স্বর্ণকার কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী হালিমা উক্ত স্বর্ণকারদের কাছে আরো স্বর্ণ চুরি করে বিক্রয় করেছে, তারাই তার পরিচিত স্বর্ণের দোকানদার। তারাও হালিমাকে ব্লেকমেইল করে বলে কম মূল্যে স্বর্ণ ক্রয় করে মোটা অংকের লাভ করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় এ অভিনব চোর চক্র কে ধরা সম্ভব হয়েছে। মানুষের অসচেতনতা কে পুজি করে তারা এ ধরনরে অপরাধ করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১১/১০/১৭ইং

No comments:

Post a Comment