নরসিংদীর শিবপুরে ভেজাল কীটনাশক
তৈরীর কারখানায় গোয়ন্দা পুলিশের অভিযান
ভেজাল কীটনাশক সহ আটক ৩
তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর শিবপুরের ভরতেরকান্দী এলাকায় ভৈজাল কীটনাশক তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ভেজাল কীটনাশক তৈরীর সরঞ্জাম, ৭৫ কার্টুন ভেজাল কীটনাশক ও ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার এ অভিযান চালান। গ্রেফতারকৃতরা হলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গোবরা এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০), ভরতেরকান্দি এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া (১৯) ও একই এলাকার হারিছ মিয়ার ছেলে সোহান মোল্লা (১৯)। গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম এই ভেজাল কীটনাশক কারখানার মালিক। অপর ২ জন কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভরতের কান্দি এলকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল কীটনাশক কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। তারা কৃষি কাজে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত বাসুডিন এর মোড়কে সামান্য বিষ ও ইটের গুড়া মিশিয়ে প্যাকেট করে বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে পাইকারী বিক্রি করতো। বেশী লাভের আশায় দোকানীরা কৃষকদের কাছে এই ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতো। এই ভেজাল কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কাঙ্খিত উৎপাদন হতো না কৃষকের। যার ফলে কৃষি খাতে এর বিরুপ প্রভাব পরতো। যেখানে কৃষকরা তাদের ফসলের নায্য দাম পায়না সেখানে ভেজাল কীটনাশক তাদের কি পরিমাণ ক্ষতি করতো তা সহজেই বুঝা যায়। নামী-দামী কোম্পানীর হুবুহু প্যাকেটের আড়ালে তারা এই ভয়ানক কাজ করতো। ইটের গুড়ার ফলে উল্টো আরও ফসল উৎপাদন কম হতো ও মাটির উর্বর শক্তি কমে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দেশের মূল চালিকা শক্তি কৃষি ও কৃষক। তাদেও সাথে প্রতারণা দেশ এর জন্য বিপজ্জনক। ভেজাল কীটনাশক তৈরী, সরবারহ ও বিক্রির দায়ে গ্রেফতারকৃতদের কিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় বিশেষ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ভেজাল কার্যক্রমের সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৯/১০/১৭ইং
No comments:
Post a Comment