Thursday, July 14, 2016

নরসিংদীতে বাসের হেলপারের পিটুনিতে স্কুল ছাত্র নিহত।

নরসিংদীতে বাসের হেলপারের পিটুনিতে স্কুল ছাত্র নিহত।
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী ঃ নরসিংদীর মনোহরদীতে নয় দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে  না ফেরার দেশে চলে গেলেন অষ্টম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র জিহান (১৪)। আজ বৃহস্প্রতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে জিহানের লাশ বাড়ীতে এনে দাফন করা হয়েছে। জিহান মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী গাছুয়ারকান্দা গ্রামের প্রবাসী মোস্তফা কামাল ও সাবেক ইউপি সদস্যা সেলিনা বেগমের ছোট ছেলে। সে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমীর অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এ করুণ মৃত্যুতে সহপাঠী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  ঈদের দিন আনন্দ উপভোগ করতে বন্ধুদের সাথে ভৈরব ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় বেড়াতে যায় জিসান। বেড়ানো শেষে সেখান থেকে বাসে করে
বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে শিবপুর উপজেলার সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ীর চালক তাদেরকে নামিয়ে দেন। গন্তব্য স্থানে পৌঁছার আগেই গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয়ায় বাসের হেলপারের  সাথে জিহান ও তার বন্ধুদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাসের হেলপার ও স্থানীয় মোহরপাড়া গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে রবিন, রুহুল আমিনের দুই ছেলে হাবিবুল্লাহ ও মেহেদী, নুরুল ইসলামের ছেলে শাকিল ও দোপাত্তর গ্রামের হাসেম গাছের ডাল নিয়ে জিহান ও তার বন্ধুদের ওপর উপর হামলা করে। হামলার সময় জিহানের বন্ধুরা দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও জিহানকে আটকে ফেলে তারা। এসময় সন্ত্রাসীরা জিহানের এলোপাথারী পিটুনি দেয়। গাছের ডালা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজনের জিহানকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ
কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করে মাথায় জরুরি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। পরদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মাথায় অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে আশংকাজনক অবস্থায় জিহানকে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়েছিল। নয় দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে গতকাল সকালে সে মারা যায়। এ দিকে গত রোববার সন্ধ্যায় জিহানের মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে শিবপুর থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সেলিনা বেগম জানান, বিনা কারণে যারা আমার ছেলেকে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শিবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবুল বাশার বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে  গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী।১৪.৭.১৬ইং

No comments:

Post a Comment