Tuesday, July 26, 2016

একই পরিবারের ৩ বোনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক! (অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা)

একই পরিবারের ৩ বোনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক!
(অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা)
অভিনব এই লম্পট নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক!

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদীঃ নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বহু নারীর সর্বনাশ কারী এক ভয়ংকর লম্পট। ফেসবুক ও ফোনের মাধ্যমে মেয়েদের সাথে পরিচিত হয় সে। তারপর নান ছলনায়  দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তার ছবি ও ভিডিও সংরক্ষন করে রাখে। সেই ভিডিও ছবি প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে আসছিল সে। অবশেষে, নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা খেল এই লম্পট। গত রোববার সকালে নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে থেকে তাকে আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আঃ গাফফার। এসময় সে এক মেয়েকে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে তার সাথে পার্কে দেখা করার জন্য এসেছিল। আটককৃত লম্পটের নাম কাইয়ুম (২৬), সে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার খাইলশা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। আটক হওয়ার পর তার ব্যাবহৃত মোবাইল ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বহু নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। প্রেম-ভালবাসার অভিনয় করে প্রতারনা করায় ও দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করায় তার বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন রানী(ছদœনাম) নামের নরসিংদীর এক মেয়ে। 

মামলা ও গোয়েন্দা পুলিশ দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, লম্পট কাইয়ূম ২০০৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় চাকুরী করতো। সেখানে থাকা অবস্থায় সে রানীর(মামলার বাদী) কলেজ পড়–য়া ছোট বোন সামসুন নাহার (ছদœনাম) এর সাথে ফোনে পরিচিত হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক গড়িয়া উঠে। এর ২ বছর পর ২০০৯ সালে সে বাংলাদেশে আসে সে। আসার পর তাকে বিয়ের প্রলোভনে ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। লম্পট কাইয়ূম কৌশলে সেই সময়ের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে সংরক্ষন করে। ছোট বোনর সাথে সম্পর্ক চলাকালীন সে তার বড় বোন মামলার বাদী রানীর সাথেও ফোনে কথা বলা শুরু করে। ফোনে কথাবার্তা চলার এক পর্যায়ে কাইয়ুমের সাথে ঘনিষ্ঠ হয় রানী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন তৈরী হয়। তারপর তারা এক অপরের ঘনিষ্ট হয়। সেই সময়ের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও কৌশলে তুলে নেয় লম্পট কাইয়ূম। এবং তার সাথে সম্পর্ক না রাখলে তার ও তার ছোট বোনের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকী দেয়। এর কিছু দিন পর সে মালয়েশিয়া চলে যায়। সেখানে থাকাকালীন সে রানীকে ফোনে নানা ভাবে বিরক্ত করে মানষিক যন্ত্রণা দিতো বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। গত ৫ জুলাই সে পুনরায় বাংলাদেশে আসে এবং রানীকে তার সাথে মিলিত হবার জন্য বারবার ফোন দিতে থাকে। তা নাহলে সে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার ও তার ছোট বোনের অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সে ফেসবুকে ২ টি ফেক আইডি খুলে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করে। তার হুমকিতে ভীত হয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য রাজী হয় রানী। স্থান নির্ধারন করা হয় নরসিংদীর পাচদোনায় অবস্থিত ড্রীম হলিডে পার্ক। নওমুসলীম স্বামীর সাথে আলোচনা করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আঃ গাফফারের সাথে সব বিষয় তুলে ধরে সাহায্য চায় রানী।  কথামত ২৪ জুলাই সকালে পার্কের সামনে দেখা করে রানী ও লম্পট কাইয়ূম। সেখানে দেখার করার পর রানীকে পার্কের ভিতর যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে কাইয়ূম। এসময় আগে থেকেই উৎ পেতে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের দল তাকে আটক করে। তাকে াটক করার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এসময় তার ব্যবহৃত ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার ব্যবহৃত ২ মোবাইল ফোনটিতে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি পাওয়া যায় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় শুধু রানী ও সামসুন নাহার নয় তাদের আরেক ছোট বোন যে ভৈরবের একটি কলেজে পড়ে তার সাথেও অনুরুপভাবে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়া তার ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার পর্যালোচনা করে বিভিন্ন মেয়ে ও মহিলা এমনকি তার বাড়ির আশেপাশের ভাবিদের সাথেও তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ ধারনা করছে, সে একজন ভয়ংকর নারী লোভী, প্রেম ভালবাসার অভিনয় করে সে বহু নারীর সাথে প্রতারনা করে আসছে। 
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের  উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া অশ্লীল ছবি, ভিডিও তার ফেসবুক থেকে পাওয়া বিভিন্ন ছবি বার্তা থেকে বুজা গেছে, সে একজন সিরিয়াল ধর্ষক ও নারী লোভী লম্পট। তবে সে বিভিন্ন ছল-চাতুরী করে এই কাজ করে আসছিল যার ফলে সে এতদিন পার পেয়ে গেছে। এবার এক মেয়ে নিরুপায় হয়ে আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে বলেই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন্ করেছি। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছ থেকে বহু মেয়ের আপত্তিকর ছবি, ভিডিও এবং কত গুলি মেয়ের সাথে প্রতারনা করেছে তা জানা সম্ভব হতে পারে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৬/৭/১৬ইং   

No comments:

Post a Comment