Wednesday, July 27, 2016

নরসিংদীতে স্কুল ছাত্র শিশু অয়নকে অপহরনে পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড!

নরসিংদীতে স্কুল ছাত্র শিশু অয়নকে অপহরনে পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড!

তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী ঃ নরসিংদীতে চাঞ্চলকর শিশু অয়ন হত্যা মামলায় ৫ জনকে ফাঁসি’র আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেকে আসামীকে আরো এক লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।  আজ বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শামীম আহাম্মেদ এ আদেশ প্রদান করেন। নিহত স্কুল ছাত্র মো: হাসিবুল হাসান অয়ন (৬) ভেলানগর এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে। সে নরসিংদী ব্রাক্ষন্দী কে কে এম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্র।
সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলো-ইয়াসিন খানের ছেলে সজিব  খাঁন (২২), খোরশেদ আলমের ছেলে শাকীল মিয়া (১৮) হযরত আলীম এর  ছেলে ইমরান (২০), আফতাব উদ্দিন ভ‚ইয়ার ছেলে শাশীম ওসমান (১৯),রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে রুমেল মিয়া (১৮)। আসামীরা সবাই সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ইমরান (২০) পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আদালত সূত্র জানাযায়, ব্রাক্ষন্দী কে কে এম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্র অয়ন ২০১৩ সালের ২৬ মে বিকেলে বাসার সামনে খেলতে বের হয়। এর পর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার একদিন পর রুবেল নাম এক ব্যাক্তি ফোন করে অয়নকে অপহরন করা হয়েছে বলে জানায়। অপহরন কারীরা  মুক্তিপন হিসেবে তার পরিবারের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা দাবী করেন। অন্যথায় তাকে হত্য করা হবে বলেও হুমকি দেয় দুবৃত্তরা । পরে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে সদর মডেল থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন অপহৃত শিশুর পিতা সোহরাব হোসেন। এরই মধ্যে অপহরনের ৪দিন পর ঘোড়াশাল
শীতলক্ষ্যা নদীর ব্রীজের নিচ থেকে শিশু অয়নের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।  র্দীঘ তদর্ন্ত  শেষে পুলিশ ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ১৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহন শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  আইন ২০০০ এর ৮ তৎ ৩০২/২০১/৩৪  ধারা মোতাবেক আসামীদের দোষী সাবস্ত করে ৫ জনকে  মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। এবং প্রত্যেকে আসামীকে আরো এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হয়। আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, মৃত্যু না হওয়া পযর্ন্ত আসামীদের গলায় ফাঁসি দিয়ে যুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।
রাষ্ট পক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবলিক পসিকিউটর (এ পি পি) অলিউল্লাহ,এড. এ কে এম  মনির। আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন শওকত আলী পাঠানা। 
রায় পেয়ে খুশি নিহত স্কুল ছাত্র আয়নের পিতা সোহরাব হেসেন। তিনি বলেন ছেলেকে ফিরে না পেলেও সকলের সহযোগীতায় ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে আমার একটাই দাবী, এসব খুনিদের দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। 

#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী।
২৭-৭-১৬ইং

No comments:

Post a Comment