নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যা ঘটনার
মাস্টার মাইন্ড আপেল গ্রেফতার।
আদালতে স্বীকারোক্তি


নিহত হাজী সেলিম মিয়া নরসিংদী জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ছিলেন। পারিবারিক কলহের কারণে ডা. সেলিমের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ডা. সেলিম দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকেন। দ্বিতীয় সংসারে তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এতে প্রথম সংসারের পুত্ররা তার প্রতি মারাত্মকভাবে অসন্তুষ্ট হয়। হাজি সেলিমের বিশাল সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে যাবে এই মানসিক যন্ত্রনায় হাজি সেলিমের দ্বিতীয় পুত্র আশরাফ অতিরিক্ত সেডিটিভ ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় আশরাফের স্ত্রী রেখা বেগম শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খলিল নামে রেখার এক মামাও হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সবশেষে তার বড় ছেলে ডা. ইফতেখার আলমও পিতার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ব্যাপারে হাজি সেলিমকে দীর্ঘ দিন জেল খাটতে হয়। এসব ব্যাপারে হাজী সেলিমও তার স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধেও মামলা করেন। জেল থেকে বের হবার পর তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ ব্যাপারে তিনি নরসিংদী সদর মডেল থানায় কয়েকটি জিডিও দাখিল করেন। এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে ঘাতকরা তার ব্রাহ্মন্দীস্থ বাড়ির সামনে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
২৭/৯/১৬ইং