Tuesday, September 27, 2016

নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যা ঘটনার মাস্টার মাইন্ড আপেল গ্রেফতার। আদালতে স্বীকারোক্তি


নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যা ঘটনার
মাস্টার মাইন্ড আপেল গ্রেফতার।
আদালতে স্বীকারোক্তি

তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী: নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর হাজী সেলিম হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড রফিকুল ইসলাম আপেল(২৮) কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাতে তাকে নরসিংদীর পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার। সে সদর উপজেলার পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার হোসেন আলীর ছেলে। নরসিংদীর ড্রাগিষ্ট ও কেমিস্ট সমিতির সভাপতি হাজী সেলিম হত্যার মাস্টার মাইন্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। হাজী সেলিম হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে বলে সে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ায়েজ আল করনীর খাস কামরায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে ঘাতকরা তার ব্রাহ্মন্দীস্থ বাড়ির সামনে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রসীরা। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটির জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। হত্যার সাথে জড়িত থাকায় গ্রেফতার হন তার পুত্রবধূ রেখা বেগমসহ আরো ৪ জন। তারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। পুত্রবধূ রেখা মাত্র তিন লাখ টাকা চুক্তির ভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত হাজী সেলিম মিয়া নরসিংদী জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ছিলেন। পারিবারিক কলহের কারণে ডা. সেলিমের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ডা. সেলিম দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকেন। দ্বিতীয় সংসারে তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এতে প্রথম সংসারের পুত্ররা তার প্রতি মারাত্মকভাবে অসন্তুষ্ট হয়। হাজি সেলিমের বিশাল সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে যাবে এই মানসিক যন্ত্রনায় হাজি সেলিমের দ্বিতীয় পুত্র আশরাফ অতিরিক্ত সেডিটিভ ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় আশরাফের স্ত্রী রেখা বেগম শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খলিল নামে রেখার এক মামাও হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সবশেষে তার বড় ছেলে ডা. ইফতেখার আলমও পিতার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ব্যাপারে হাজি সেলিমকে দীর্ঘ দিন জেল খাটতে হয়। এসব ব্যাপারে হাজী সেলিমও তার স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধেও মামলা করেন। জেল থেকে বের হবার পর তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ ব্যাপারে তিনি নরসিংদী সদর মডেল থানায় কয়েকটি জিডিও দাখিল করেন। এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে ঘাতকরা  তার ব্রাহ্মন্দীস্থ বাড়ির সামনে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
২৭/৯/১৬ইং

No comments:

Post a Comment