Saturday, October 15, 2016

নরসিংদীতে আরিফ পাঠান ও দুলাল ভান্ডারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোস্তফা অস্ত্রসহ গ্রেফতার।

  নরসিংদীতে আরিফ পাঠান ও দুলাল ভান্ডারী 
হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোস্তফা অস্ত্রসহ গ্রেফতার।

তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী: নরসিংদীর চাঞল্যকর ইউপি সদস্য আরিফ পাঠান ও দুলাল ভান্ডারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোস্তফা (৩৩) কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সে শিবপুর উপজেলার আলতাফ হোসেন মেম্বারের ছেলে। গতকাল দিবাগত রাত ৩ টায় জেলার মাধবদী থানার বিরামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেয়া তথ্যেও ভিত্তিতে আরিফ হত্যায় ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোস্তফা শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরিফ পাঠান ও দুলাল ভান্ডারী হত্যা মামলার এজাহরভুক্ত আসামী। সে এই দুটি হত্যাকান্ডে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি অংশগ্রহন করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হবার পর প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে মোস্তফা জানায়, আরিফ হত্যাকান্ডে সে সরাসরি জড়িত। এই হত্যায় ৪ টি অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রসীরা। এর মধ্যে ২ টি অস্ত্র তার সহযোগী অপর এজাহারভুক্ত আসামী টিটু পাঠান নিয়ে যায় ও অন্য ২ অস্ত্র মাসুদ ও রক্সির কাছে রয়েছে। মোস্তফা তার কাছে একটি অস্ত্র আছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে তা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিবপুর উপজেলার কারারচর এলাকার কাওছার মিয়ার বাড়ি থেকে গুলি সহ অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, মোস্তফা একজন পেশাদার খুনি ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল। অবশেষে আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ এপ্রিল শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় থার্মেক্স গ্র“পের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় ইউপি সদস্য আরিফ পাঠান কে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ জনতা প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম সেখানে উপস্থিত হয়ে আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আসে। মামলা রুজু হবার পর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয় টিটু পাঠান, আনোয়ার, লাডি পলাশ, দেলু বিশ্বাস, মাসুদ ও তার ভাই মাসুম। মাসুম হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই হত্যার সথে জড়িত অপর এক আসামী সাইফুল গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের মুখে ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে পালানোর চেষ্টা করে। এতে তার মৃত্য হয়। অস্ত্র সহ গ্রেফতারের ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় মোস্তফার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন কওে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।

#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
১৫/১০/১৬ইং 

No comments:

Post a Comment