নরসিংদীর পলাশে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী আদিবা হত্যার দায়ে
১ জনের ফাসির রায় দিয়েছে আদালত।
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মাইশা মেহজাবিন আদিবা (১৪) হত্যা মামলায় ১ জনের ফাসির রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপর ১.৩০ মিনিটে নরসিংদীর অতিরিত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহম্মদ শাহীন উদ্দিন এই রায় প্রদান করেন। সেই সাথে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মিজানুর রহমান ওরফে মিজান(২৮)। সে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইয়াপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। কর্মসূত্রে তারা ঘোড়াশাল সার কারখানা কলোনীতে বসবাস করছে। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারী নিজ বাসার ভিতরে গলাকেটে হত্যা করা হয় আদিবাকে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়,
নিহত আদিবার বাবা মাহবুব আলমগীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। সেই সুবাধে তিনি তার পরিবার নিয়ে ঘোড়াশাল সার কারখানা কলোনীতে বসবাস করতেন। মেয়ে আদিবা ঘোড়াশাল সার কারখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। ঘটনার দিন আদিবাকে বাসায় রেখে বাহিরে যায় বাবা-মা। রাতে তার মা সানিয়া আক্তার বাসায় ঢুকে আলমারী দরজা খোলা ও বাথরুমের ভিতর মেয়ের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এই ঘটনায় আদিবার পিতা বাদী হয়ে পলাশ থানায় অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা ও চুরির মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক অবস্থায় এই হত্যার কোন ধরনের মোটিভ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া তৎকালীন পলাশ থানার ও.সি তদন্ত বদরূল আলম ( বর্তমানে ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থানার ও.সি) এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করে গ্রেফতার করেন খুনি মিজানকে। গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয় সে। ও.সি বদরুল আলম জানান, এই হত্যার ঘটনাটি কেন ঘটেছে তার কোন ধরনের মোটিভ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। মাসের পর মাস বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে খুনি মিজানকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করি। কৌশলে বাসার ভিতর ঢুকে আলমারী ভেঙ্গে ¯^র্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে বাধা দিলে আদিবাকে ধাড়ালো অস্ত্র গলাকেটে হত্যা করা হয়। শুধুমাত্র ¯^ণালংকার চুরি করতে গিয়ে এই নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটায় সে। মেয়ের খুনির ফাসির আদেশে আদালত প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা সানিয়া আক্তার। তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অতি দ্রুত রায় কার্যকর করার আহবান জানান।
রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পি.পি এডভোকেট সরকার কাউছার আহমেদ ও আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুল হান্নান।
#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
১৬/৮/১৬ইং
No comments:
Post a Comment