নরসিংদীতে প্রাণের শ্রমিক কে গনধর্ষনের দায়ে ৬ জনের ফাসির রায়
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী : নরসিংদীতে প্রানের মহিলা শ্রমিক কে গনধর্ষনের দায়ে ৬ যুবকের ফাসির রায়ে দিয়েছেন আদালত। জোড়পূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অপরাধে ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে গনধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারনের অপরাধে আসামী ইব্রাহীম ও আঃ রহমান কে পর্নগ্রাফী অপরাধে ৬ আসামীকে ৭ বছরের সশ্রম কারদন্ড ও ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপর ৩ টার দিকে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শামীম আহাম্মেদ আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো,
আশিকুর রহমান (২২), পিতা- কুদ্দুছ আলী। ইলিয়াছ ওরফে শফিকুূল (২৩) পিতা-তাজুল ইসলাম, রুমিন মিয়া (২০) পিতা-সিরাজ শেখ, ইব্রাহিম (২২) পিতা-মন্টু মিয়া, রবিন আহম্মেদ (২০), পিতা-হানিফা মিয়া, আঃ রহমান (২৪) পিতা-সাদ্দাম মিয়া। সকলের বাড়ি পলাশ উপজেলার বাগপাড়া গ্রামে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী শ্রমিক প্রান আরএফএল গ্রæপের ফর্নিচার ফ্যাক্টরিতে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার দিন গত ২০১৫ সালের ২৩ মে সে দুপুরের খাবার খেতে কোম্পানীর ভাড়া মেসের উদ্দেশ্যে রিকশায় করে যাচ্ছিল। রিকশাটি জনতা জুটমিল স্কুলের সামনে আসলে। উল্লেখিত আসামীরা রিকশার গতি রোধ করে তাকে মুখ চেপে জোড় পূর্বক স্কুলের পাশের একটি নির্জন দেয়ালের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ৪ আসামী আশিকুর, ইলিয়াছ, রুমিন ও রবিন মেয়েটির মুখ বন্ধ করে পালাক্রমে ধর্ষন করে। অপর আসামী ইব্রাহীম ও আঃ রহমান একাধিক মোবাইলে ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারন করে। ধর্ষনের পর পাষন্ডরা গুরুতর অসুস্থ আবস্থায় মেয়েটিকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এই ঘটনা কাওকে বললে প্রানে মেরে ফেলার হুমিকী দেয়। এরপরর মেয়েটি কান্নাকাটি শূনে এক পথচারী তাকে মেসে ফৌছে দেন। এই ঘটনায় প্রাণ কোম্পানীর এডমিন এ.এস.এম সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে পরের দিন পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত ১২ জন ¯^াক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন ও ভিডিও রেকর্ডের ভিত্তিতে বিচারক এই আলোচিত প্রায় প্রদান করেন।
রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এপিপি এডভোকেট এম,এন অলিউল্লা, এডভোকেট কানিজ ফাতেমা ও আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এম,এ আওয়াল।
#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৩/০৮/১৬ ইং।
No comments:
Post a Comment