দুটি কোয়েল পাখির ডিমের জন্য প্রাণ গেল কিশোরীর
নরসিংদী রায়পুরায় সত মায়ের হাতে মেয়ের মৃত্যু
আদালতে স্বীকারোক্তি
তৌহিদুর রহমান:- দুটি কোয়েল পাখির ডিমের জন্য প্রাণ গেল ১১ বছরের মিতু নামের এক কিশোরীর। ডিম চুরি করাকে কেন্দ্র করে মারধরের সময় গলায় উড়না দিয়ে চেপে ধরায় শ্বাশরোধ হেয় কিশোরীর মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এর শেওপাড়াপাড়া গ্রামে। নিহত কিশোরী মিতুর বাবার নাম ইমান আলি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রায়পুরাা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সৎ মা ফরজানা (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। আজ দুপুরে নরসিংদীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলা ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়,
গত ১৬ ফেব্র“য়ারী বৃহস্পতিবার সকালে মিতু কে ডিম ক্রয় করে আনতে পার্শ্ববর্তী সিরাজের বাড়িতে পাঠায় সৎ মা ফারজানা। সে বাড়ি থেকে মিতু ২ টি কোয়েলের ডিম চুরি করে নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিতুকে বকাঝকা করে সৎমা ফারজানা। সে দিন স্বন্ধায় এ নিয়ে আবারও মিতুকে মারধর করার সময় গলায় উড়না পেচিয়ে ধরলে শ্বাষরোধে মৃত্যু হয় মিতুর। মৃত্যুর পর মিতুর লাশ প্রথমে বাড়ির রান্নাঘরে এরপর রাতের আধারে পাশ্ববর্তী কলাবাগানে ফেলে রাখে। এদিকে মিতুকে কে খুজে না পেয়ে চারদিতে খুজতে থাকে তারার বাবা ও প্রতিবেশীরা। পরদিন বৃহস্পতিবারও মিতুর কোন সন্ধান পেয়ে রায়পুরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করার প্রক্কালে খবর আসে মিতুর মরদেহ পার্শ¦বর্তী কলাকবাগানে পাওয়া গেছে। খবর পয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পোষ্টমার্টেম এর জন্য মর্গে পাঠায়। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা ইমান উদ্দিন। মামলার পর পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে সৎমা কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, পারি-পার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি আমরা। জিজ্ঞাসাবাদে সে মৃত্যুর ঘটনা পুুলিশ কে জানান। মারধর করার সময় মিতু তার চুলে মুঠি কওে ধরার কারনে বলেই মিতুর গলায় উড়না পেচিয়ে ধরেন । বেশি সময় ধরে চেপে ধরার ফলেই মিতুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় সৎ মা ফারজান। আজ দুপুরে নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রেজমিন সূলতানার খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত ।
#
তৌহিদুর রহমান,নরসিংদী
২২/৩/১৭ইং
No comments:
Post a Comment