নরসিংদীতে নিহত শিশু আবিরের হত্যা রহস্য
উদঘাটন গোয়েন্দা পুলিশের!!
বলাতকার করতে বাধা দেয়ায় শ্বাষরোধ করে হত্যা
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী:- এ যেন ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে প্রচারিত সিরিয়াল এর কাহিনী। ছেলে শিশু বাচ্চাকে বলাৎকার করতে না পেরে গলা টিপে হত্য করার পর মরদেহের সাথে যৌনতা করার চেষ্টা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ দুই দেয়ালের সংকির্ণ স্থানে ফেলে রাখা হয়। এ নৃশংস ন্যাক্কারজন ঘটনা ঘটিয়েছে শাওন(২৩) নামের এক যুবক। সে পশ্চিমকান্দা পাড়া এলকার আজিজুল ইসলাম এর ছেলে ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর সদর উপজেলার পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকায়। । নিহত শিশুর নাম আবির সে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মহিদ মিয়ার ছেলে। তারা নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। ওই এলাকায় ঘটনার ৪৭ দিনের মাথায় হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার। নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম মামলাটির সার্বক্ষনিক তদারকি করেন। এ ঘটনায় নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক শাওন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
গত ১৩ ফেব্র“য়ারী বিকেল হতে রাতে আবিরদের ভাড়া বাসার পাশের বাড়ির শাওন শিশু বাচ্চাটাকে রূমে আটক রেখে বলৎকার করতে চেষ্টা করে। প্রথম পর্যায়ে ব্যার্থ হয়ে শাওন শিশুটির গলাটিপে হত্যা করে। এবং হত্যার পর মৃত আবির কে সম্পুর্ন উলংগ করে বারবার বলাৎকার করার চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার চেষ্টার পর ব্যার্থ হয়ে হস্তমৈথুন করে লাশের উপর বীর্য ফেলে তবেই ক্ষান্ত হয় সে। গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার পুরোদস্তর বর্ণণা দেয় ঘাতক শাওন। আবির কে মারার প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ১০ টার সময় বাড়ির সীমানা ঘেষা দেয়ালের সংকির্নতম স্থানে মরদেহ ফেলে দেয়। এ ঘটনার ৩৪ দিনেও কোন মামলা হয়নি। শিশুটির মা ও খালা ছেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন করার জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক আব্দুর গাফফার এর সরনাপন্ন। বিষয়টি পুলিশ সুপার এর কাছে তুলে ধরলে তিনি উপ-পরিদর্শক আব্দুল আফফার কে হত্যার রহস্য উদঘাটন করার নির্দেশ দেন। হত্যার ঘটনায় নিহত আবিরের মা আছমা বেগম বাদী হয়ে সদও মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে গোয়েন্দা পুলিশ ১ দিনেই হত্যার সাথে জড়িত খুনি শাওনকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করে। গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। অতিরিক্ত যৌনতার ইচ্ছায় এমন টি করেছে বলে জানায় সে।
গতকাল মঙ্গলবার নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ড করা শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২২/৩/১৭ইং
No comments:
Post a Comment