পলাশের সামসুল হক হত্যায়
স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ ৭ জনের ফাসিঁর রায়
দীর্ঘ ৮ বছরেও আসামীরা পলাতক

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলো, মইজ উদ্দিনের ছেলে আলেক মিয়া, তার স্ত্রী রূপবান, দুই ছেলে শরীফ ও আরিফ মিয়া, একই এলাকার মহব্বত আলী মুন্সির ছেলে আব্দুল গাফফার, সিরাজ মিয়ার ছেলে মারফত আলী ও মুল্লুক চাঁনের ছে
লে তোতা মিয়া। অপরদিকে জহিরুল হক কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আব্দুল গাফফার, শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া আবুল হাসেম এর পুত্র ফারুক মিয়া ও আলমাস এর ছেলে মো: বাছির মিয়া কে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত। এই মামলায় সকল আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রাষ্ট পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এম.এ.এন অলিউল্লাহ ও আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শওকত আলী পাঠান।
২০০৯ সালের ৩০ আগষ্ট জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ির পাশে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সামসুল হক কে। এসময় তার ছেলে কেউ হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়, সে ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেচে যায় জহিরুল। এ ঘটনার পরদিন পলাশ থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সামসুল হকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম। তবে ২০০৯ সালে বেচে গেলেও বেচে থাকা আর হয়নি জহিরুল হকের। হত্যা মামলা উঠিয়ে না নেয়ায় উল্লেখিত আসামীরা ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল বৈশাখী মেলা শেষে ছেলে মেয়েকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দ-প্রাপ্ত আসামীগন জহিরুল হক কেও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩১ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে নিহত জহিরুলের স্ত্রী রুজিনা আক্তার পলাশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে দুটি হত্যাকা-ের পর থেকে মামলার আসামীগন পলাতক রয়েছে। তবে এই হত্যাকান্ডে ৭ জনের ফাসিঁর রায় হলেও আসামীরা পলাতক থাকায় খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটায় নিহতদের পরিবারের স্বজনরা। উল্লেখিত একটি বিষয় হলো এত বড় নির্মম ঘটনার আসামীগণ কিভাবে এত দীর্ঘ সময় পলাতক থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২২/৫/১৭ইং
No comments:
Post a Comment