Sunday, May 7, 2017

নরসিংদীতে যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার


নরসিংদীতে যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
যুবলীগের সম্মেলনের প্রাক্কালে এ মৃত্যু নিয়ে নানা আলোচনা শহর জুড়ে



তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী :- নরসিংদীতে যুবলীগ কর্মী রাহাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার  করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন গনেরগাও এলাকার আব্দুল্লাহ বাজার সংলগ্ন ঈদগাহ হতে তার লাশ উদ্ধার করে মাধবদী থানা পুলিশ। নিহত রাহাত(২৮) নরসিংদীর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী সম্প্রতি। সে যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করতো। নিহত রাহাত নরসিংদী শহরের উত্তর সাটিরপাড়া এলাকার জসিম সরকারের ছেলে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। রাহাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে নরসিংদীতে। র‌্যাবের ক্রসফায়ার, গোয়েন্দা পুলিশের ক্রসফায়ার, প্রতিপক্ষের হাতে মৃত্যু এসব নিয়েই ছিল দিনভর আলোচনা। জেলা যুবলীগের কাউন্সিল শুরু হওয়ার সময় নিহত রাহাতের বোন তার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি আগত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
 
জেলা যুবলীগের কাউন্সিলের প্রাক্কালে লোকমান পরিবার ঘেষা রাহাতের মৃত্যু নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে নরসিংদীতে। যুবলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনায় নামেন তিনি। নিজের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুনও করেন। যুবলীগের সম্মলনের পূর্বের রাতে মোটর সাইকেলে করে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস. এম কাইয়ূম এর রাঙ্গামাটিস্থ বাসায় সশস্ত্র হামলা চালায়। সে ঘটনার সাথে সন্ত্রাসী রাহাত জড়িত এমন একটি গুঞ্জন ছড়িযে পড়ে নরসিংদীতে। এর কযেক ঘন্টা পর গনেরগাও আব্দুল্লাহ বাজার সংলগ্ন নির্জন ঈদগাহে রাহাতের গুলিবিদ্ধ লাশ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে নরসিংদীতে। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, শনিবার দিবাগত রাতে খবর পাই যে, গনেরগাও এলাকায় আব্দুল্লাহ বাজার সংলগ্ন ঈদগাহে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে। তারপর আমরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের মাথায়, বুকে, পেটে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। তার মরদেহের পাশ থেকে ৮ টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আমরা নিহত যুবকের পরিচয় পাইনি। এরপর তার পরিচয় পাওযা যায়। সে নরসিংদী শহরের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারনেই প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হতে পারে। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ও মারামারি সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নিহত রাহাতের বোন সোমা বেগম জানান, তার ভাইকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশ দাফনের পর আমরা মামলা দায়ের করবো। কাউকে এই হত্যার সাথে জড়িত আছে বলে কাউকে সন্দেহ করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সন্দেহ আছে তবে এখন তার নাম বলা যাবেনা।
নিহত রাহাত যুবলীগের কর্মী হউক অথবা সন্ত্রাসী হউক, জেলা যুবলীগের সম্মেলনের প্রাক্কালে রাহাত হত্যা যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে তার উন্মোচন চান সচেতন মহল।


তৌহিদুর রহমান
৭/৫/১৭ ইং

No comments:

Post a Comment