Monday, December 25, 2017

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ১ টি বিদেশী পিস্তল সহ সন্ত্রাসী ফালু মিয়া কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে রায়পুরা থানার মরজাল হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়ন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ফালু মিয়া (৩২) রায়পুরা থানার বটিয়ারা গ্রামের তায়েব আলীর ছেলে। উপ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রায়পুরার রাজবাড়ীর আয়েত আলীর পারিবারিক কবরস্থানে এক সন্ত্রাসী অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী ফালু পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া করে বেলাবগামী রাস্তা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে একটি বিদেশী পিস্তল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করার জন্যই অস্ত্র বহন করছিল। তার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। সে ঠিক কি উদ্দেশ্যে অস্ত্র বহন করছিল তা জানার জন্য আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৫/১২/১৭ইং

Sunday, December 24, 2017

১১ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ আটক ১

১১ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ আটক ১


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ১১ লক্ষ টাকার ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকার হাসান সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে ইয়াবাসহ লিটন মিয়া ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ী  লিটন মিয়া (২৯) নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ধানার দাউদপুর এলাকার আলাউদ্দিন এর ছেলে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযান চালায়। 
উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা সমমূল্যের সাড়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ইয়াবার চালান টি মৌলভী বাজার থেকে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে আনা হয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী

Thursday, December 14, 2017

নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সজিব গ্রেফতার

নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন
মামলার অন্যতম আসামী সজিব গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর ভেলানগরে এক তরুনী কে গণধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী সজিব কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভেলানগর এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম সজিব (২৬) নরসিংদী শহরের ভেলানগর মহল্লার সোহরাব খন্দকারের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকতা নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানান। 
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর রাতে সজিব, রাজিব, মাহবুব, শাকিল, শামীম ওই তরুণীকে জোড় করে মাহবুবদের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে সজিব, শাকিল, শামীম ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এসময় তরুনীর ডাক চিৎকার করলে তাকে মারধর করে ধর্ষকরা। তরুনীর ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসতে থাকলে তারা পালিয়ে যায়। রাত গভীর হওয়ায় নির্যাতনের স্বীকার তরুণী একটি বাড়ির সামনে বসে থাকে। ভোর বেলা তরুনী তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে রাজিব ও মাহবুব তাকে মারতে মারতে নির্জন কলাবাগানে নিয়ে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুনী নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যলায়ে নারী সহায়তা কেন্দ্রের সহযোগীতায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই আসামীরা পলাতক ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকতা নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সজিব কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। 

#
১৫/১২/১৭ইং 

Monday, December 11, 2017

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত 
আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার
এক জনের আদালতে স্বীকারোক্তি

 


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন হত্যায় জড়িত আরও ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বেলাব থানার ভাটেরচর গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে হৃদয় (২০) একই থানার দুলালকান্দি গ্রামের সোলমান মিয়ার ছেলে রাকিবুল হাসান শুভ (১৯) ও আওয়াল মিয়ার ছেলে মাহিন (১৯)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হৃদয় আদালতে খুনের সাথ জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মোটর সাইকেল ডাকাতির সময় ২ ডাকাত কে আল আমিন চিনে ফেলায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। গত রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে হৃদয় কে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার। রাকিবুল হাসান শুভ ও মাহিন কে গত সোমবার তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আল আমিন হত্যায় সরাসরি জড়িত। এর আগে ওই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও আদালতে স্বীকারোক্তির সূত্র ধরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আল আমিন হত্যায় তারা ৯ জন জড়িত। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই রায়পুরা ও বেলাব থানায় ডাকাতি করতো। গত ৬ মাসে তারা প্রায় ১৭ টি ডাকাতি করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ডাকাত হৃদয়। এর আগে গ্রেফতার ডাকাত কাওছারের ব্যাবহৃত এনড্রয়েড মোবাইলটিও ডাকাতির বলে জানায় সে। হৃদয়ের জবানবিন্দ রেকর্ডের পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত। অপর দুই ডাকাত শুভ ও মাহিন কে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকতা। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।  




#
১১/১২/১৭ইং




Friday, December 8, 2017

নরসিংদীতে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

নরসিংদীতে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার



তৌহিদুর রহমান:  নরসিংদীর শীলমান্দী থেকে পিস্তল ও বোমাসহ ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলার মধ্য শীলমান্দি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী সদর উপজেলার পাচদোনা এলাকার ফজল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), সদর উপজেলার মাধবদী থানার টাটাপাড়া এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে রক্সি (২৭) ও গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বালিগাও এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে মাহাদী হাসান মামুন (২৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ টি তাজা ককটেল বোমা ও ৪ টি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে। 
উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ হয়ে কোথাও বড় ধরনের ডাকাতি করতে পারে। সে সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে মধ্য শীলমান্দি এলাকায় তাদের আটক করা হয়। ৩ ডাকাত কে গ্রেফতার করতে পারলেও আরও ২ ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে তাদের তল্লাশী করে পিস্তল, গুলি, বোমা ও ধারালো অস্ত্র পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতরা দুধূর্ষ ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।
নরসিংদীর সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতার ডাকাতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র বহন, বিস্ফোরক ও ডাকাতি প্রস্তুতির পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
৮/১২/১৭ইং   

Wednesday, December 6, 2017

রায়পুরায় গরু চুরি করতে গিয়ে বকুল নামের এক যুবক কে খুনের ঘটনায় খুনি ছানাউল্লাহর আদালতে স্বীকারোক্তি

রায়পুরায় গরু চুরি করতে গিয়ে খুন
খুনি ছানাউল্লাহর আদালতে স্বীকারোক্তি



তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী রায়পুরার বাটখোলা গ্রামে গরু চোরের হাতে নিহত হন বকুল নামের এক ব্যাক্তি।  জনতার ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বকুল বাধা দিলে তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে ছানাউল্লাহ। সে আঘাতেই মৃত্যু হয় বকুলের। এভাবেই আদালতে খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয় খুনি ছানাউল্লাহ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুপণ কুমার সরকার এই মামলায় জেল হাজতে থাকা ছানাউল্লাহ রিমান্ড আবেদন করেন। ৪ ডিসেম্বর আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিামান্ডে খুনের সাথে জড়িত মর্মে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয় সে। গত মঙ্গলবার নরসিংদী সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ায়েজ আল করণীর খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। খুনি ছানাউল্লাহ (৩৭) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাটখোলা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। 
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগষ্ট রাতে রায়পুরা বাটখোলা গ্রামে গরু চুরি করতে যায় ছানাইল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এসময় আশেপাশের লোকজন চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। ছানাইল্লাহ যে পথ দিয়ে পালাচ্ছিল সে পথে তাকে বকুল আটক করতে চেষ্টা করে। বকুলের কাছ থেকে ছাড়া পেতে ছানাউল্লাহ তার কোমরে থাকা চাকু দিয়ে বকুলের বুকে ঘাই মেরে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বকুল হত্যা মামলায় রায়পুরা থানা পুলিশ গত ২৬ নভেম্বর ছানাউল্লাহ কে গ্রেফতার করে। সে মামলায় সে জেল হাজতে ছিল। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর বিভিন্ন কৌশলে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলে থাকা ছানাউল্লাহ জড়িত থাকার মতো তথ্য উপাত্ত পাওয়ার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ডে সে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। তার সাথে জড়িত অন্যন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। 

#
৬/১২/১৭ইং


Thursday, November 23, 2017

নরসিংদীতে ভুয়া নারী পুলিশ গ্রেফতার

নরসিংদীতে ভুয়া নারী পুলিশ গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর বেলাব থেকে এক ভুয়া নারী পুলিশ কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলাব উপজেলার হোসেন নগর মধ্যপাড়া হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে পুলিশের পোশাক ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। ভুয়া নারী পুলিশের নাম বিলকিস আক্তার ওরফে রিয়া (৩০)। সে বেলাব থানার হোসেন নগর মধ্যপাড়া এলাকার নান্নু মিয়ার মেয়ে। 
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বিলকিস তার এলাকায় পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিত। সে বিভিন্ন মানুষকে পুলিশে চাকরী দেওয়ার কথা বলে অর্থ আতœসাৎ করতো। পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক আছে বলে প্রচার করে আসছিল। এর ফলে অনেকেই বিশ্বাস করে তাকে চাকুরীর জন্য টাকা দিত। নারায়নগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এক ব্যাক্তিকে পুলিশে চাকুরী দিবে বলে টাকা দাবী করে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। তাকে আটক করার পর সে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ঢাকা কেরানীগঞাজ থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কন্সটেবল বলে পরিচয় দেয়। এসময় তার দেয়া আইডি কার্ডে ভুল থাকায় তাকে ভুয়া পুলিশ হিসেবে সনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর সে পুলিশের পোষাক পরিহিত ছবি দেখিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কর্মস্থল সমন্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে তার সুদুত্তর দিতে ব্যার্থ হয়। তার বসত বাড়ি থেকে পুলিশের পোষাক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার বাদী হয়ে বেলাব থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

#
২৪/১১/১৭ইং 

Saturday, November 18, 2017

মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন কে

মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আল আমিন কে

তৌহিদুর রহমান: মোটর সাইকেল ছিনতাই করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয় ডিপ্লোমী প্রকোশলী আল আমিন কে। আদালতে এমনভাবেই আল আমিন তে হত্যার কথা স্বীকার করেছে খুনি নুরুল আমিন। গত শুক্রবার নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। আল আমিন হত্যার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১৬ আগষ্ট রাতে নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকায় নির্জন স্থানে আল আমিন কে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বেলাব থানা থেকে মমলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়ন্দা পুশিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার কে। মামলা তদন্ত কর্মকতা জানান, আল আমিন হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্তে এই খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দিকে তদন্ত করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর তাদের গতিবিধি ও পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করে ডাকাত নুরুল আমিন গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে কিছু প্রমান দেখানো হয়। এরপর সে নিজেকে খুনের দায় থেকে বাচতে পারবেনা বুজে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অপর খুনি কাউছার কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বেলাব থানার মরিচাকান্দি এলাকার আঃ করিমের ছেলে নুরুল আমিন (২১) ও একই এলাকার মৃত আলকাছ মিয়ার ছেলে কাউছার (২২)।

খুনি নুরুল আমিন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলে, মোটর সাইকেল ছিনতাই এর উদ্দেশ্য নুরুল আমিন, কাউছার সহ অন্যন্যরা ঘটনাস্থল বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার একটি নির্জন রাস্তার কালভার্ট এ অবস্থান নেয়। রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে আল আমিন মোটর সাইকেল নিয়ে উক্ত কালভার্টে আসলে তার চোখে টর্চের আলো ফেলে আটকানো হয়। এসময় খুনি দল তাকে ঝাপটে ধরে। এসময় আল আমিন জোড় করলে তার পায়ে ছুড়ি দিয়ে ঘা মেরে জোড় করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তা থেকে নিচের জমিতে নামায়। এসময় আল আমিন ডাক চিৎকার করলে

খুনি দল তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপাইয়া হত্যা করে। আল আমিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার মরদেহ পাশ্ববর্তী ধইঞ্চা খেতে ফেলে রাখে। এরপর মোটর সাইকেল নিয়ে খুনিরা ভৈরব চলে যায়। এসময় তারা আল আমিনের মোবইলে একজন কে জানায় তারা তাকে মেরে রেখে এসেছে। ভৈরব হাজী আসমত কলেজে বসে তারা ডাকাতির টাকা বন্টন করে এবং আল আমিনের মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আল আমিনের মোটর সাইকেল খুনি রুহুল আমিন রেখে দেয়।  
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম বলেন, বেলাব থানায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিজস্ব কৌশল ও গুপ্তচড়তায় খুনিরা সনাক্ত হয়েছে। শুধু মাত্র মোটর সাইকেল ছিনতাইর এর উদ্দেশ্য থাকলেও আল আমিন বাধা দেয়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ৮ জন মোটর সাইকেল ছিনকাতর উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। এ মধ্যে ২ জন কে গ্রেফতা করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আল আমিনের লুটকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। 

#
১৮/১১/১৭ইং




Wednesday, November 1, 2017

প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে কিশোরী আজিজা নিজেই দোকান থেকে কিনে কেরোসিন

নরসিংদীর কিশোরী আজিজার মুত্যু নিয়ে পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে কিশোরী আজিজা
নিজেই দোকান থেকে কিনে কেরোসিন 


তৌহিদুর রহমান: কিশোরী আজিজা, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে চেষ্টা করায় নিজ বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিল প্রেমিকের কাছে। সে প্রেমিক কৌশলে তাকে শ্লীলতাহানি করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। তারপর তার পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা দাবী করে এবং আজিজার কাছে থেকে নগট টাকা ও মোবাইল রেখে দেয়। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে মনের কষ্টে দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিল কিশোরী আজিজা। তারপর তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। কিশোরী আজিজা হত্যা মামলার তদন্তে বের হয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজিজার সে প্রতারক প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কিশোরী আজিজা আতœহত্যা করেছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আতœহত্যা তা নিশ্চিত করা হয়নি। আজ সকালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আমেনা বেগম। কিশোরী আজিজা, তার প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইলের কল রেকর্ড অবস্থান, তার প্রেমিক ও সহযোগীদের কল রেকর্ড এর সুস্পষ্ট প্রমান রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ি থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, চাচী বিউটি বেগমের মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আজিজা। বাড়ি থেকে বের হয়ে নরসিংদী শহরে প্রেমিক রোমানের সাথে দেখা করার জন্য যায়। সেখানে প্রেমিক রোমান ও তার বন্ধু সুজনের সাথে

Saturday, October 28, 2017

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রাব্বী গ্রেফতার

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তলসহ 
সন্ত্রাসী রাব্বী গ্রেফতার



তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ১ টি বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী রাব্বী কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী শহরের মালাকাড় মোড় হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়ন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রাব্বী (২১) নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী মহল্লার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। 

উপ পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে একটি বিদেশী পিস্তল ও ১ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করার জন্যই অস্ত্র বহন করছিল। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। সে ঠিক কি উদ্দেশ্যে অস্ত্র বহন করছিল তা জানার জন্য আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২৮/১০/১৭ইং

নরসিংদীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউিনিটি পুলিশিং ডে পালিত

নরসিংদীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে
 কমিউিনিটি পুলিশিং ডে পালিত



তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো কমিউিনিটি পুলিশিং ডে ২০১৭। আজ শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলার প্রতিটি থানায় এ দিবসটি উদযাপীত হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। কর্মসূচির প্রথমে মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনার হতে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা মিলনায়তন প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রি লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীর প্রতিক, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: আবু কালাম সিদ্দিক, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুইয়া, নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি অধ্যক্ষ মশিউর রহমান মৃধা, সাধারন সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শফিউর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, নরসিংদীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কমিউনিটি পুলিশের জেলা, থানা, শহর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে কমিউনিটি পুলিশিং এ অবদান রাখা ব্যাক্তিদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।









#
২৮/১০/১৭ইং 


Thursday, October 26, 2017

নরসিংদীতে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ

নরসিংদীতে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে
৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে মাধবদী থানাধীন পাচদোনা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গাড়িটি থেকে এ মাদক উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ব্যারিকেড এর মুখে গাড়ির চালক গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস জানান, একটি জীপ গাড়ি পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে বেপরোয়া ভাবে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটিকে আটকের চেষ্টা করার একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় পাচদোনা গোলচত্বরে গাড়িটিকে আটক করা হয়। এসময় গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গাড়িটি তল্লাশী করে কষ্টেপ দিয়ে মোড়ানো ১৫ টি কার্টন হতে ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাদক উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বেপরোয়া ভাবে চলতে থাকা গাড়িটি তল্লাশী করে ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। ঢাকা ডিবি পুলিশের একটি দল পিছন থেকে গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল। তাদের কাছ থেকে পালানোর জন্য গাড়ির চালক বেপরোয়াভাবে গাড়িটি চালাচ্ছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী


২৬/১০/১৭ইং

 

Friday, October 20, 2017

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তল কাটা রাইফেল ইয়াবাসহ পেশাদার সন্ত্রাসী ফোরকান ও ওহাব গ্রেফতার

নরসিংদীতে বিদেশী পিস্তল কাটা রাইফেল ইয়াবাসহ
পেশাদার সন্ত্রাসী ফোরকান ও ওহাব গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীতে ২ টি বিদেশী পিস্তল, কাটা রাইফেল, ইয়াবাসহ পেশাদার সন্ত্রাসী ফোরকান ও ওহাব কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি কাটা রাইফেল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ২৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নরসিংদী শহরের বিরপুর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ফোরকান(৩২) ও পলাশের ধনাইরচর কালিহাট এলাকার ওহাব (২৯)। এ ঘটনায় বীরপুর এলাকার গোলাপ মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী বিল্লাল পলাতক রয়েছে। 
উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী। এর মধ্যে ফোরকান একজন ভয়ংকর ধরনের অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক সংক্রান্তে বহু মামলা রয়েছে। তাদের গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফোরকানের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল ও ২৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সন্ত্রাসী বিল্লালের বাড়ি হতে ১ টি কাটা রাইফেল ও ওহাবের কাছ থেকে ১ বিদশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ফোরকান নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর আদু ফারুক ও মাহফুজ হত্যা মামলার আসামী। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের
বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পলাশ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২০/১০/১৭ইং

Wednesday, October 18, 2017

নরসিংদীর শিবপুরে ভেজাল কীটনাশক তৈরীর কারখানায় গোয়ন্দা পুলিশের অভিযান ভেজাল কীটনাশক সহ আটক ৩

নরসিংদীর শিবপুরে ভেজাল কীটনাশক
তৈরীর কারখানায় গোয়ন্দা পুলিশের অভিযান
ভেজাল কীটনাশক সহ আটক ৩


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর শিবপুরের ভরতেরকান্দী এলাকায় ভৈজাল কীটনাশক তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ভেজাল কীটনাশক তৈরীর সরঞ্জাম, ৭৫ কার্টুন ভেজাল কীটনাশক ও ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার এ অভিযান চালান। গ্রেফতারকৃতরা হলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গোবরা এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০), ভরতেরকান্দি এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া (১৯) ও একই এলাকার হারিছ মিয়ার ছেলে সোহান মোল্লা (১৯)। গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম এই ভেজাল কীটনাশক কারখানার মালিক। অপর ২ জন কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভরতের কান্দি এলকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল কীটনাশক কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। তারা কৃষি কাজে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত বাসুডিন এর মোড়কে সামান্য বিষ ও ইটের গুড়া মিশিয়ে প্যাকেট করে বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে পাইকারী বিক্রি করতো। বেশী লাভের আশায় দোকানীরা কৃষকদের কাছে এই ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতো। এই ভেজাল কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কাঙ্খিত উৎপাদন হতো না কৃষকের। যার ফলে কৃষি খাতে এর বিরুপ প্রভাব পরতো। যেখানে কৃষকরা তাদের ফসলের নায্য দাম পায়না সেখানে ভেজাল কীটনাশক তাদের কি পরিমাণ ক্ষতি করতো তা সহজেই বুঝা যায়। নামী-দামী কোম্পানীর হুবুহু প্যাকেটের আড়ালে তারা এই ভয়ানক কাজ করতো। ইটের গুড়ার ফলে উল্টো আরও ফসল উৎপাদন কম হতো ও মাটির উর্বর শক্তি কমে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দেশের মূল চালিকা শক্তি কৃষি ও কৃষক। তাদেও সাথে প্রতারণা দেশ এর জন্য বিপজ্জনক। ভেজাল কীটনাশক তৈরী, সরবারহ ও বিক্রির দায়ে গ্রেফতারকৃতদের কিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় বিশেষ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ভেজাল কার্যক্রমের সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৯/১০/১৭ইং  


Tuesday, October 17, 2017

মূল্যবান সুতার গুপ্ত ডাকাত গ্রেফতার নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ সাফল্য


মূল্যবান সুতার গুপ্ত ডাকাত গ্রেফতার
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ সাফল্য


তৌহিদুর রহমান: বস্ত্র খাতের মূল্যবান সুতা ডাকাতীর সাথে জড়িত আতœগোপনে থাকা একদল গুপ্ত ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এই ডাকাতদল মূল্যবান সুতাবাহী কাভার্ড ভ্যান ডাকাতি করতো। তারপর তা বিভিন্ন ধাপে পৌছে যেত বিভিন্ন সাইজিং মিলে। সে সিন্ডিকেট এর অবিচ্ছেদ্য জাল ছিন্ন করা বেশ জটিল। গত ১৭ জুন মাওনা আউটপাস স্পিনিং মিল হতে সুতা বর্তি একটি কাভার্ড ভ্যান মাওনা চৌরাস্তার অদুরে ডাকাতি হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন  জেলা পুলিশ সুপার বরারর সুতা ডাকাতির অভিযোগ ও নরসিংদী সদর মডেল থানার মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মিল মালিক । জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে এর তদন্তভার দেওয়া হয়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার কে। মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর দীর্ঘ ৩ মাস শেষে এই সুতা ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, সুতার ক্রেতা ও বিক্রেতার সন্ধান বের করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার সাতে জড়িত চালক রুবেল, সুতা ক্রয় বিক্রযের সাথে জড়িত আ: মান্নান ও ডাকাত রনি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান,

Sunday, October 15, 2017

নরসিংদীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৬ শত পিস ইয়াবাসহ ১ জন গ্রেফতার

নরসিংদীতে জেলা গোয়েন্দা  পুলিশের অভিযানে
৬ শত পিস ইয়াবাসহ ১ জন গ্রেফতার 


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৬ শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার জেলার বেলাব উপজেলার মরজাল হতে মাদক ব্যবসায়ী নান্নু মিয়াকে (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নান্নু মিয়া বেলাব থানার আমলাব এলাকার মৃত জিয়ার উদ্দিনের ছেলে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশেরা উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার এর নেতেৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করেন। 
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী নান্নু মিয়াকে ৬ শত পিশ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়। সে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবাসহ অন্যন্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।  তার বিরুদ্ধে বেলাব থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৬/১০/১৭ইং  

Thursday, October 12, 2017

সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

সমাজ থেকে মাদক নির্মূল  করতে পুলিশ সদস্যদের
সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে
-ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজ শফিকুল ইসলাম


তৌহিদুর রহমান: সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন ঢকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। পুলিশের জনগনের প্রকৃত বন্ধুর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা পুলিশ লাইনে বার্ষিক পরিদর্শনে আয়োজিত কল্যাণ সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
নরসিংদী জেলা পুলিশের বার্ষিক পরিদর্শন এর জন্য গত বুধবার তিনি নরসিংদী আসেন। এ উপলক্ষে বুধবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম তার বাসভবনে ঢকা রেঞ্জ ডিআইজির সৌজন্যে নৈশ ভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজে জেলা প্রশাসন, জেলা আদালতের বিচারকবৃন্দ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে রেঞ্জ ডিআইজি নরসিংদী পুলিশ লাইন পরিদর্শনে যান। সেখানে তাকে কুচকাওয়াজারে মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়। এরপর তিনি পুলিশ লাইনের দাফতরিক কার্যক্রম পরিদর্শন ও কল্যাণ সভায় যোগ দেন।

#
১২/১০/১৭ইং 


Wednesday, October 11, 2017

গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাসায় চুরি অভিনব এই মহিলা চোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার

গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাসায় চুরি
অভিনব এই মহিলা চোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার 

তৌহিদুর রহমান: প্রথমে অসহায় পরিচয় দিয়ে মানুষের বাসায় বুয়ার কাজ নেয়। তারপর সুযোগ বুজে ওই বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে চম্পট। এমনই এক অভিনব মহিলা চোরকে গ্রেফতার করছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম হালিমা (২০)। গত ৬ অক্টোবর নরসিংদী শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা পল্লি বিদ্যুৎ এ কর্মরত এক ভদ্র মহিলার বাসা থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে নানা কৌশল প্রয়োগ করে ওই অভিনব মহিলা চোর কে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সে মনোহরদী থানার নোয়ানগর এলাকার ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তাকে গ্রেফতারে পর চুরির ৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত মহিলাটি একটি সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। সে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে চুরি করে। সে কোথাও ছদ্মনাম 'রীমা','মিসু','রেশমী' ব্যবহার করে। সে এক এলাকায় দুইবার প্রবেশ করে না। আবাসিক এলাকায় এতিম বেশে কান্নাকাটি করে এতে দরদী হয়ে মালিকগন অসহায় মেয়েটিকে বাসায় একটি কাজ দেয় এবং মেয়েটি বাসায় কাজে নিয়োজিত

Sunday, October 8, 2017

নরসিংদী বাসাইল হতে ২৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ

নরসিংদী বাসাইল হতে ২৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ
স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ


তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর শহরের বাসাইল মহল্লা হতে ২৮০ বোতল ফেন্সিডিল সহ স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বাসা ভাড়া নিয়ে খুব গোপনে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের কান্দাপাড়া এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে মো: শাহজালাল (৩৯) ও তার স্ত্রী অরুণা বেগম (৩০)। গতকাল শনিবার স্বন্ধায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার বিশেষ অভিযান চালিয় তাদের গ্রেফতার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী শহরের বাসাইল মধ্যপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন এর বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতো গ্রেফতারকৃতরা। সেখানে থেকে তারা বড় ধরনের ফেন্সিডিল এর চালান মজুদ করে বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাদের গ্রেফতার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর  রহমান বলেন, মাদক নির্মূল করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফেন্সিডিলসহ এক দম্পত্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পারিবারিক জীবনের আড়ালে খুব গোপনে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল। ২৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতারে ঘটনায় সদর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৮/১০/১৭ইং 

Saturday, October 7, 2017

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদীর মাধবদী থেকে জামাত ইসলামীর ২৬ জন নেতা কর্মী কে আটক করেছে পুলিশ

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদীর মাধবদী থেকে
জামাত ইসলামীর ২৬ জন নেতা কর্মী কে আটক করেছে পুলিশ

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামীর ২৬ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে মাধবদী থানার বিবিরকান্দি এলাকার ইমন গার্ডেন এর নির্মাণাধীন কমিউনিটি সেন্টারে বৈঠক চলাকালীন তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা গোপন বৈঠক করে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতা কর্মকান্ড করার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবী করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কে শনিবার স্ব^ন্ধায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মাধবদী থানার জামায়াতের আমীর মো: আ: জব্বার, নরসিংদী জেলা জামায়াতের সদস্য মো: মোজাম্মেল হক, মো: আ: আজিজ, মো: আ: হান্নান, মো: শফিউদ্দিন, মো: ইব্রাহিম মোল্লা, মো: নজরুল ইসলাম, মো: হানিফ মিয়া, মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো: ইসমাইল, মো: জাফর উল্লাহ, খায়রুল ইসলাম, মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, মো: মোসলেহ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, মো: কামরুজ্জামান, মো: হেলাল উদ্দিন, মো: হাফিজুর রহমান, মো: কবির হোসেন, মো: ইয়াছিন মিয়া, আ: সাত্তার, মো: ওসমান গণি, মো: সাদেকুর রহমান, মো: নজরুল ইসলাম, মো: বেলায়েত ও মো: মহসিন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, গ্রেফতারকৃতরা বিবিরকান্দি এলাকার নির্মানাধীন কমিউনিটি সেন্টারে নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠক করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাদের কে বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলায় অদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

#
৭/১০/১৭ইং 

Wednesday, October 4, 2017

নরসিংদীর শিবপুরে গনধর্ষনের পর হত্যা দায়ে ৩ জনের ফাসির রায় দিয়েছে আদালত

নরসিংদীর শিবপুরে গনধর্ষনের পর হত্যা
৩ জনের ফাসির রায় দিয়েছে আদালত

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর শিবপুরে এক নারী কে গণধর্ষনের পর হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাসির রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো: গোলাম রাব্বানী এই রায় দেন। ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কিসমত আহমদাবাদ(চানপুর) এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার কে গণধর্ষনের পর হত্যা করার অপরাধে এই সাজা দেয়া হয়। এর মধ্যে তিন জনকেই ২০১ ধারায় ৭ বছরে করে সশ্রম কারাদ-, সুলতানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদ- সহ সকলকে ১০হাজার টাকা অংর্থদ-, অনাদায়ে আরো তিনমাস করে কারাদ-ে দ-িত করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো কিশোরগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে সুলতান মিয়া ওরফে জামাই সুলতান (৩৫), একই উপজেলার মধ্যপানান গ্রামের শফিকুল ইসলাম শরীফ(৩২) ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত আ: মোতালিবের ছেলে ওসমান গণি(৩৪)। 
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২রা ফেরুয়ারী নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন কলাগাছিয়া নদীর তীর হতে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান ওই নারীর পরিচয় উদ্ধার ও হত্যার ঘটনা উদ্ধার করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন । আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।  

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৪/১০/১৫ইং

Wednesday, September 20, 2017

শারদীয় দূর্গাৎসব উপলক্ষে নরসিংদী জেলা পুলিশ আয়োজিত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রতিটি পূজা মন্ডপে আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত

শারদীয় দূর্গাৎসব উপলক্ষে নরসিংদী জেলা পুলিশ
আয়োজিত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিটি পূজা মন্ডপে আয়োজকদের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত

তৌহিদুর রহমানঃ শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন থানার পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের সাথে নরসিংদী জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা পুলিশ লাইনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম(বিপিএম)। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) হাসিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোহাম্মদ শফিউর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর, মনোহরদী সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) বেলাল হোসাইন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর সূর্যকান্ত দাস, সাধারন সম্পাদক দীপক কুমার সাহা, নরসিংদীর সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন থানার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।
মত বিনিময় সভায়, দূর্গাৎসব নির্বিঘেœ পালনের লক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোন ধরনের মাদক সেবন করে পূজা মন্ডপে প্রবেশ করা যাবেনা, প্রতিটি পূজা মন্ডপের আয়োজকদের ২৪ ঘন্টা নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেচ্ছাসেবকদের মোবাইল নাম্বারের তালিকা টানানো থাকবে। উচ্চ শব্দে গান বাজানো যাবেনা, পূজা ও ধর্মীয় গান ছাড়া অন্য কোন অপসংস্কৃতির গান বাজানো যাবেনা। আযান ও নামাজের সময়ে ঢাক ঢোল ও গান বাজানো যাবেনা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদেও সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাত ১০ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। দূর্গাৎসব একটি সার্বজনীন উৎসব, এ উৎসব কে ঘিরে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পূজা মন্ডপ সমূহে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়। সভায় উপস্থিত সকলের মতামত অনুযায়ী নিরাপত্তা ও আইন শৃংখলা বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের কৌশলে কাজ করবে জেলা পুলিশ। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২০/৯/১৭ইং   


Friday, August 25, 2017

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করতে কুড়িগ্রামে নরসিংদী জেলা যুবলীগ

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করতে
কুড়িগ্রামে নরসিংদী জেলা যুবলীগ



তৌহিদুর রহমান: উত্তরাঞ্চলে বন্যায় আক্রান্ত অসহায় বানবাসীদের পাশে দাড়াতে ত্রাণ নিয়ে কুড়িগ্রামে গেল নরসিংদী জেলা যুবলীগ। শুক্রবার বাদ জুম্মা নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম হতে ২ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ নিয়ে জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কুিড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ও পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপাতি লে. (অব) কর্ণেল নজরুল ইসলাম এর নির্দেশনায় জেলা যুবলীগ এই ত্রাণ কার্যক্রম করছে। প্রায় ১৮ শত মানুষ কে চাল, চিড়া,  আলু, গুড়, পেয়াজ, শুকনো মরিচ, খাবার স্যালাইন, দেশলাই, মোমবাতি দেয়া হবে ও ৫ শত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সাহায্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী ও সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজের নেতৃত্বে জেলা ও শহর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কুড়িগ্রাম পৌছেছেন। 
জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজ জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা অসহায় বানবাসীদের সাহয্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। সে আহবানে সাড়া দিয়ে পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে.কর্নেল(অব.) নজরুল ইসলাম হীরু ভাইয়ে নির্দেশনায় জেলা যুবলীগ ত্রান সামগ্রী বিতরন করবে। এ ত্রান কার্যক্রমে নরসিংদী জেলা, শহর যুবলীগ ও জেলা শহর ছাত্রলীগ অংশগ্রহন করছে। জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ যার যার সামর্থ নিয়ে বানবাসীদের পাশে দাড়িয়েছে। জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে ১৫ শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্র্থ বিতরণ করা হবে। এ ত্রাণ বহরে নরসিংদী প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেন এর অনুরাগী সংগঠন জনবন্ধু কল্যান সঙ্গ ৫ শত পরিবারের জন্য ত্রান সামগ্রী দিয়েছে। কুড়িগ্রাম যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পানি বন্দি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান রাজনৈতিক ও  সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবতার সেবায় নরসিংদী জেলা যুবলীগ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। 
নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার্তরা কষ্টে রয়েছেন। তাদের পাশে দাড়াতে প্রধান মন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কে বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে বলেছেন। সে লক্ষে  পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লে.কর্নেল(অব.) নজরুল ইসলাম হীরু ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা কুিড়গ্রামে ত্রান বিতরন করতে যাচ্ছি। এই ত্রান কার্যক্রম নরসিংদী জেলার ইতিহাসে একটি মাইলফলত হয়ে থাকবে। এতো ত্রান নিয়ে অন্য কোন জেলায় এর আগে নরসিংদীর কোন সংগঠন বা ব্যাক্তি করেনি। জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ খুব আন্তরিক ভাবে এই মহতি উদ্যেগে অংশগ্রহন করায় তাদের কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

#
২৫/৮/১৭ইং

Saturday, August 19, 2017

নরসিংদীর চিনিশপুরে সুজন হত্যা !! চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিক তামজীদ

নরসিংদীর চিনিশপুরে সুজন হত্যা
চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিক তামজীদ

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদীর চিনিশপুরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার মুল হোতা ধরা পড়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার এক দিনের মাথায় স্ত্রী অদ্বিতার প্রেমিক তামজীদ কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত খূনি তামজীদ (১৮) রাজাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তারা নরসিংদী শহরের ভেলানগর মহল্লায় বাসিন্দা। গ্রেফতারের পর তামজীদ নিজেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতী, রক্তমাখা গেঞ্জী ও মুখ বাধার কাছে ব্যবহৃত কাপড় লুকানো স্থান হতে বের করে গোয়েন্দা পুলিশ কে দেয়। ক্ষোভের বশে স্ত্রীর প্রেমিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আজ বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। এর আগে নিহতের ভাই বাদী হয়ে স্ত্রী অদ্বিতি, তার ভাই ও মাকে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সে মামলায় অদ্বিতি বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।   

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান,  ১৬ তারিখ বুধবার রাত ১১ টার দিকে নরসিংদী চিনিশপুর এলাকায় স্ত্রী সহ শ্বশুড়বাড়ী  যাবার পথে সুজন সাহা কে কুিপয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই পুলিশ সুপার এর নির্দশে ও ওসি ডি বির  নেতৃত্বে ও পরামর্শে ছায়া তদন্ত শুরু কওে গোয়েন্দা পুলিশ । রাজার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা অদ্বিতার একজন মুসলমান প্রেমিকের তথ্য দেয়। এরপর অদ্বিতির মোবাইল কল ও একটি এসএমএস এর সূত্র ধরে তদন্ত চলতে থাকে। সেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও প্রেম এর বিষয়টি জানার পর তামজীদের মোবাইল ফোন রেকর্ড নেয়া হয়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে তার মোবাইলে উপস্থিতি পাওয়া যায়। তারপরই শুক্রবার দিবাগত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুন করার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। তারপর সে নিজে গোয়েন্দা পুলিশ কে ঘটনাস্থলে নিয়ে কিভাবে খুন করেছে তা দেখায়। তারপর সে দগরীয়া এলাকার একটি বাড়ির ঝোপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, রক্তমাখা গেঞ্জী ও মুখ বাধার কাজে ব্যবহৃত কাপড় বের করে দেয়।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, নিহত সুজনের স্ত্রী  ও তামজীদেও সহপাঠী অদ্বিতী সাহার সাথে বিগত প্রায় ৫ বছর যাবৎ তামজিদের প্রেম এর সম্পর্ক ছিল। তারা হিন্দু- মুসলমান হওয়ায় তাদের প্রেম পরিবার মেনে নেয় নি।  মেয়ের অভিভাবক জোড়র্পূবক অদ্বিতি কে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও তামজীদের সাথে যোগাযোগ রাখে অদ্বিতি। নরসিংদী আসলে তামজীদের সাথে দেখা করতো সে। অদ্বিতি শ্বশুড়বাড়ীতে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলে তামজীদের সাথে কথা বলতো।  এক পর্যায়ে কথার্বাতার বিষয়টি ধরা পড়ে এবং সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু সে প্রেমালাপ বন্ধ থাকেনি। একদিন স্বামী সুজন সাহা তামজীদের মোবাইল কল ধরে ফেলে ও তাকে গালি-গালাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় তামজীদ। মেয়েটি তামজদিকে বলে তার ঐ সংসার আর ভালো লাগে না, পারলে কিছু একটা করতে। কিছু একটা করার প্লান করে তামজীদ। নরসিংদীতে বাবার বাড়ীতে মনসা পূজায় অংশগ্রহন করার জন্য স্বামীকে নিয়ে আসবে বলে জানায় অদ্বিতি। এ সুযোগ কাজে লাগায় সে।  ঘটনার দিন মেয়েটি স্বামী সুজন কে নিয়ে আসবে আর তামজদিকে মোবাইলে অবগত করবে। ট্রেন থেকে নামার পর তামজীদের মোবাইলে তাদের আসার বিষয়টি এসএমএস করে জানায় অদ্বিতি। তামজীদ তার বাসা থেকে সাদা গেঞ্জী মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে একটি ঝোপের আড়ালে ওৎ পেতে থাকে। রিকশা ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথেই তামজীদ রিকশার গতি রোধ করে সুজনকে কোপাতে থাকে। ঘাড়ের উপর মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলে পালিয়ে যায় সে। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট মনিষা রায়ের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তামজীদ।  
সুজন হত্যার সাথে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধারের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম, জেলা গোয়েন্দা পুশিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তৎপড়তা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুব দ্রুত এই হত্যার খুনিকে গ্রেফতার ও কারন উদঘাটন করা হয়েছে। প্রেমিকের প্রতি দূর্বলতা ও তার স্বামীর গালি-গালাজে সৃষ্ট ক্ষোভের ফলেই এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। অতি শীঘ্রই এ হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হবে।

#
তৌহিদুর রহমান
১৯/৮/১৭ইং  


Friday, August 18, 2017

জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান আটক নরসিংদীতে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যে ইয়াবা আটক করেছে ডি বি পুলিশ

জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান আটক
নরসিংদীতে ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যে ইয়াবা
 আটক করেছে ডি বি পুলিশ

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী মূল্যের ইয়াবার চালান আটক করছে নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশ। একটি নম্বরবীহিন পিকআপ ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ হাজার পিস নিষিদ্ধ মাদক মরণঘাতী ইয়াবা ট্যাবলেট। যার মূল্য প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির সামনে থেকে এই ইয়াবার চালান আটক করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল এই অভিযান চালায়। 
উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার জানান, নরসিংদীতে বড় ধরনের ইয়বার চালান আসতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা তৎপড়তা চালানো হয়।  বৃহস্পতিবার রাতে শিবপুর উপজেলার ঢাকা সিলেট মাহসড়কের ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির সামনে অবস্থান নেয় আমরা। রাত ১০ টার দিকে একটি নম্বরবীহিন পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপ ভ্যান টি তল্লাশী চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় গাড়ির চালক আঃ গফুর কে আটক করা হয়। আটককৃত গাড়ির চালক কক্সবাজারর জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকার বাসিন্দা। 
ইয়াবার চালান টি টেকনাফ থেকে নরসিংদীতে সরবারহ করার জন্য আনা হয়। গাড়ি ও ইয়াবার মূল চালানের  মালিক এনাম  অভিযানের কিছ পূর্বে গাড়ি থেকে নেমে যায় বলে জানায় চালক। 
প্রায় ৯০ লক্ষা টাকা মূল্যের ইয়াবা চালান আটকের ঘটনা জেলা ইতিহাসে প্রথম। এর আগের প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ হাজার পিস ইয়াবার চালানও আটক করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের এই উপ-পরিদর্শক। 
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, নরসিংদীতে ইয়াবার ব্যবহার বন্ধ করতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিশেষ  ভাবে কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় জেলার সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে জেলায় ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি। এ জন্য উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের কে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইয়াবা  ও গাড়ি  আটকের ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
১৮/৮/১৭  

Thursday, August 10, 2017

নরসিংদী ডি বি পুলিশের কাছে ধরা খেল ভুয়া মেজর

ভুয়া মেজর নরসিংদী ডি বি পুলিশের হাতে গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান: ভুয়া মেজর পরিচয়ধারী জুয়েল নামের এক প্রতারক কে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী  জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নরসিংদী শহরের কাউরিয়া পাড়া মহল্লা থেকে গ্রেফতার করা। উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কৌশলে তাকে অাটক করে। তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে প্রতারনামূলক কাগজপত্র পাওয়া যায়।

উপ-পরিদর্শকক আব্দুল গাফফার জানান,  জুয়েল নিজেকে মেজর বলে পরিচয় দিত। এছাড়া বিভিন্ন পরিচয়ে নিত্যনতুন প্রতারনা করে আসছিল। মেজর, নৌ বাহীনির কমিশন্ড অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ইত্যাদি পরিচয়ে, বিভিন্ন বাহীনিতে চাকুরি দেয়া, ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর নাম করে টাকা পয়সা নিত। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও  চাকুরী প্রার্থি সেজে কৌশলে তাকে আটক করা হয়। তার ঘর তল্লাশী করে অসংখ্য ভুয়া আইডি, কার্ড ইউনিফরম পাওয়া যায় । বিভিন্ন ধরনের সনদ, নিয়োগপত্র সহ নরসিংদী জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সই সিল সংবলিত নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়া যায় তার কাছে। তার যাতায়ত আছে এমন সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ বাড়ীর পাশ্ববর্তী সীমানার লোকজন ও তাকে একজন মেজর হিসেবেই জানে, এই পরিচয়ে বিয়ে করেছে বলে তার স্ত্রী জানায়।
ভুয়া মেজর পরিচয়, প্রতারনা, সরকারী কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করার ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Saturday, August 5, 2017

নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যা বটি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে প্রিতম

নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যা
বটি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে প্রিতম



তৌহিদুর রহমান:  নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর দীপা রানি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরীক্ষা খারাপ দেওয়ায় ছেলে প্রিতম কে গালাগাল করে মা। সে কারনে ক্ষুব্দ হয়ে ধারালো বটি দিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করে ছেলে। হত্যাকান্ড সংগঠতি হওয়ার প্রায় ২৬ দিনের মাথায় এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের বিশষে নির্দেশনায় মামলাটির ছায়াতদন্ত করতে গিয়ে মূল ঘটনার উন্মোচন করেন তিনি। গত শুক্রবার মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্র প্রীতম ভৌমিক। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

জবানবন্দি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের ৮ তারিখ বৃহস্পতিবার নরসিংদী শহরের দেশ প্রিয় রোডে দিন দুপুরে গলা কেটে হত্যা করা হয় গৃহবধূ দীপা রাণী ভৌমিক। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় নরসিংদীসহ সারা দেশে। ঘটনার ইতিবৃত্ত জানতে ও খুনিকে ধরতে ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ডাকাতি, চুরি, শত্রুতা বিভিন্ন বিষয়কে মাথায় রেখে তদন্তে নামে পুলিশ। তবে কোন ধরনের মোটিভেই এই হত্যার রহস্য ধরতে পারা যাচ্ছিলনা। নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার এই হত্যা মামলার ছায়া তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা গোয়েন্দা শাখাকে। এরপর জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ছেলে প্রীতম কে জ্ঞিাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। 
 জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, ছেলে প্রীতম কে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রথমে তার মার রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখানো হয়। এই ছবি দেখে সে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পড়ে কৌশল প্রয়োগ করে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন মাকে হত্যা করেছে। এতে সে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। প্রথমে সে অস্বীকার করলেও একটা সময় সে সব স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। তারপর তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ছেলে প্রীতম বিভিন্ন ধরনের নেশা করতো। যার ফলে সে উগ্র মন-মানসিকতার হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। 
জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, চাঞ্চল্যকর দীপা রাণী হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ছেলে মাকে হত্যা করতে পারে বিষয়টি অভাবনীয়। আমরা অন্যান্য মোটিভ নিয়ে তদন্ত করছিলাম। পরিচিত কিংবা পরিবারের লোকদের দ্বারা এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে প্রতিয়মান হচ্ছিল। সে কারনে আমরা পরিবারের সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলাম। বিভিন্নভাবে তদন্তের এক পর্যায়ে তার ছেলে কে সন্দেহ করি আমরা। তারপর কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। আদালতে সে জবানবন্দি দিয়েছে। 
নরসিংদীতে ঘটে যাওয়া আভাবনীয় এই হত্যাকান্ড যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের সমাজের পারিবারিক অশান্তির ভয়াবহ রুপ দেখিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মনে করেন, পারিবারিক সুদৃড় বন্ধন এর অভাব ও মাদকের প্রভাবের ফলেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেছেন। 


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৫/৮/১৭ইং



Wednesday, August 2, 2017

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ২৫২ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেফতার


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে
২৫২ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান: নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুই অভিযানে ২৫২ পিন এয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলার নরসিংদী শহরের বিলাসদী ও বেলাব উপজেলা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার হুসেন মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া(৩০), সাহেপ্রতাপ এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে সজিব মিয়া( ২২), কান্দাপাড়া মহল্লার সোলাইমান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২২) ও বেলাব উপজেলার ইব্রাহীমপুর এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মিজান মিয়া (২১)। 
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের নিয়মিত অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক আব্দুল সালাম তালুকদার নরসিংদী শহরের বিলাসদী হতে নাইম, সজিব ও সুমন কে ১৭৭ পিস ইয়াবাসহ করেন। পৃথক অভিযানে উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া আলম বেলাব হতে মিজান মিয়াকে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। তাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানা ও বেলাব থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
২/৮/১৭ইং  

Tuesday, July 18, 2017

নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার করায় ২ জন কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের

নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার
২ জন কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের 

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীতে ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি প্রচার করার সাথে জড়িত ২ যুবক কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ভুক্তভোগী মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আজ মঙ্গলবার সকালে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার আখলাকুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান তুষার(২০) ও নরসিংদী শহরের খাটেহারা মহল্লার সায়েদ সরকারের ছেলে জুনায়েদ(১৯)।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে ভুয়া আইডি দিয়ে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন জনৈকা ছাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। পুলিশ সুপার আমেনা বেগম(বিপিএম)বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে অভিযোগের তদন্তভার দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযানে নামে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার শহরের বাসাইল হতে প্রধান অভিযুক্ত তুষার ও পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপর আসামী জুনায়েদ কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বয়সে বড় ওই মেয়েটিকে ২ বছর  আগে প্রেম প্রস্তাব দেয় তুষার। প্রেম প্রস্তাবে ব্যার্থ হয়ে নানা উপায়ে মেয়েটিকে রাজী করানোর চেষ্টা করে তুষার। এ নিয়ে তার অভিভাবকরা তাকে বেশ কয়েকবার শাসনও করে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। এক পর্যায়ে মেয়ের মোবাইল থেকে কৌশলে কিছু আপত্তিকবর ছবি তুষার নিয়ে নেয়। তারপর ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ওই ছবি প্রচার করে সে। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেয়েটি। নিরুপায় হয়ে সে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার মূল হোতা তুষার ও তার সহযোগী জুনায়েদ কে গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটি নরসিংদী সদর মডেল থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় তাদের ৭ দিন রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব ঘটনা জানা যাবে।

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৯/৭/১৭ইং 

Friday, July 14, 2017

নরসিংদীর শিবপুরে ২ বিদেশী পিস্তল ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার সহ এক মহিলা গ্রেফতার


নরসিংদীর শিবপুরে ২ বিদেশী পিস্তল ও ৫০০ গ্রাম
গান পাউডার সহ এক মহিলা গ্রেফতার


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার সহ সুফিয়া নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে শিবুপর উপজেলা ভরতেরকান্দী এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুফিয়া (২৮) শিবপুর উপজেলার ভরতেরকান্দি এলাকার কামরুল মিয়ার স্ত্রী। সুফিয়ার স্বামী কামরুল বিভিন্ন ধরনরে অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভরতেরকান্দি গ্রামের কামরুলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কামরুলের ঘর তল্লাশী করে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, ৬৫০ গ্রাম পারদ, ৩ টি খালি ম্যাগজিন, ২টি পিস্তলে কভার, ১ টি গুলির বক্স, ১ টি পিস্তলের বক্স, পিস্তলে ব্যবহৃত স্টিলের চেইন পাওয়া যায়। এসময় তার স্ত্রী সুফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,  সুফিয়ার স্বামী তাকে পিস্তল ও গান পাউডার গুলো রাখতে দিয়েছিল। সুফিয়াকে পিস্তল সহ গ্রেফতারের পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর, মনোহরদী সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদ বলেন, বিদেশী পিস্তল ও গান পাউডার বড় ধরনের অপরাধী চক্ররা ব্যবহার করে থাকে। নাশকতা, জঙ্গিবাদ, ডাকাতি কিংবা তারা এসবের ব্যবসাও করতে পারে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি। এখন পর্যন্ত সুফিয়ার স্বামী কামরুল ও তার বন্ধু আল-আমিন ওরফে হাবির সংশ্লিষ্টতা জানতে পেরেছি। সুফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।  এ ঘটনায় শিবপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১৪/৭/১৭ইং    

Monday, July 10, 2017

নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর ৪ মাদ্রাসা ছাত্র কে উদ্ধার করলো পুলিশ


নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর
৪ মাদ্রাসা ছাত্র কে উদ্ধার করলো পুলিশ



তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী:  নরসিংদীতে নিখোজের পাচ দিন পর ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধায় শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা থেকে উদ্ধার করে শিবপুর থানা পুলিশ। তারা মনোহরদী উপজেলার চালাকচরের বাঘবের জামিয়া ইসলামিয়া নুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র। উদ্ধারকৃতরা হলো রিদওয়ান রবিন (১৩), মোঃ আশরাফু ইসলাম (১২), জুয়েল (১২), রাকিব (১১)। তারা গত ৭ জুলাই থেকে নিখোজ ছিল। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর, মনোহরদী সার্কেল) রেজওয়ান আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই চালাকচরের বাঘবের জামিয়া ইসলাময়িা নুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৪ ছাত্র মাদ্রাসার কাউকে কিছু না বলে বেলা ১১ টার দিকে বের হয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের আর কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ গত ৯ জুলাই  মনোহরদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। তারপর তাদের খোজে নামে পুলিশ। ৩ দিনের চেষ্টায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ইটাখোলা থেতে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর তাদের কে মনোহরদী থানায় হস্তান্তর করনা সেখান থেকে তাদের কে অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ জানান, চার মাদ্রাসা ছাত্রের নিখোজের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। তাদের কে খুজে বের করার জন্য নানা জায়গায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে শিবপুরের ইটাখোলা থেকে তাদের কে উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসার কঠিন পড়াশোনার চাপেই তারা বের হয়ে যায় বলে জানা গেছে। তাদের কে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।  


#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
১১/৭/১৭ইং

নরসিংদী আড়াইহাজার সীমান্তের পুরিন্দা এলাকা থেকে বন্টন হচ্ছে ইয়াবার চালান


সক্রিয় ৪ ডিলার 
নরসিংদী আড়াইহাজার সীমান্তের
পুরিন্দা এলাকা থেকে বন্টন হচ্ছে ইয়াবার চালান


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীতে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের চোখ এড়াতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। নরসিংদী ও আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা ও সাতগ্রাম এলাকা কে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ইয়াবার চালান লেনদেন করার জন্য। এজন্য সেখানে সক্রিয় রয়েছে ৪ ডিলার ও তাদের অধিনস্থ প্রায় ৩০ জনের উপর খুচরা বিক্রেতা। ইয়াবা চালানের জন্য নরসিংদী জেলার পূর্বের প্রসিদ্ব স্থানসমূহ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ও প্রতিপক্ষের চোখ ফাকি দিয়ে নির্বিঘেœ ইয়াবার ব্যবসা করার জন্যই তারা ওই এলাকা কে বেছে নিয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে ও পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানকার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নরসিংদীর চিহ্নিত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এমদাদুল হক ওরফে এমদা। যাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেব এক নামে চিনে নরসিংদীর মানুষ। যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বহু মাদকের মামলা রয়েছে। সে আগে পলাশ উপজেলার চর্ণগরদী ও সদর উপজেলা চিনিশপুর কে কেন্দ্র করে তার মাদকের ব্যবসা করতো। এইসব এলাকায় বারবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন সে তার স্থান পরিবর্তন করে পুরিন্দা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তার ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে রাতুল আহম্মেদ সুমন নামের আরও এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের কে মূল ইয়াবার চালান দেয় ইয়াবার ডিলার জিন্নত আলী। সে টেকনাফ কেন্দ্রীক ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইয়াবার বড় চালান তার হাত ধরেই আসে এমদা, জি›ন্নত আলী, ও সুমনের কাছে। জিন্নত আলী খুব বুদ্ধিমত্তার সাথেই পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে করছে এই ব্যবসা। কেতাদুরুস্ত পোশাক আর ভারী চাল চলনে নিজেকে আড়াল করে রাখে সে। দামী প্রাইভেটকারে করে সে ইয়াবারন চালান সরবারহ কর থাকে। তাকে এই কাজে সহযোগীতা করে নরসিংদীর অজ্ঞাত এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। জিন্নত আলী নারায়নগঞ্জ, আড়াইহাজার ও

Sunday, July 9, 2017

নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে ফ্যাশন বাজারের যাত্রা শুরু

নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে
ফ্যাশন বাজারের যাত্রা শুরু


তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার নিয়ে নরসিংদীর বৌয়াকুড়ে যাত্র শুরু করলো ফ্যাশন বাজার। গতকাল শনিবার এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ, শহর যুবলীগের আহবায়ক দিদারুল ইসলাম বিপ্লব, যুগ্ম আহবায়ক রায়হান আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুন, যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক খলিল বাবু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব সরকার, তেজাগাও পলিটেকনিক এর ছাত্র নেতা আহমেদম মামুন সহ ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর সবাই কে মিষ্টি মুখ করান ফ্যাশন বাজারের স্বত্বাধিকারী মো: হারুন অর রশিদ। 
গ্রাহকদের চাহিদামত ফ্যাশন, মান ও গুনের বিষয়টি মাথায় রেখে এই পোশাকের দোকানের যাত্র শুরু বলে জানিয়েছেন স্বত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ। ছোট থেকে বড় সব বয়সীদের জন্য পছন্দমতো পোশাক পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৯/৭/১৭ইং 

Wednesday, July 5, 2017

গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত


গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত


তৌহিদুর রহমান: গান শুনিয়ে ইন্ডিয়ার কেরালা রাজ্য মাতালেন বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পি প্রমিত কুমার।  কেরালার পেরুম্বভাবোর জুব্লী পেন্ডেল মিনি স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত ঈদ কনসার্টে গান পারফর্ম করেন তিনি। সান নিসাদ কেরালার আয়োজনে ইদের ২য় দিন এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এবার নিয়ে কেরালা রাজ্যে ২য়বারের মতো পারফর্ম করলেন প্রমিত। ঈদের ২য় দিন রাতে কনসার্টে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন টুনির মা খ্যাত প্রমিত। 
প্রমিত কুমার জানান, টুনির মা গানের পর বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার শ্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাই। পশ্চিম বাংলায় নিয়মিত পারফর্ম করা হচ্ছে। এবার ঈদের কেরালায় শো করার জন্য প্রস্তাব পাই। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যভান মনে করি। এবার নিয়ে দুই বার আমি কেরালায় পারফর্ম করলাম। সেখানে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। কেরালার বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থা সান নিসাদ এর প্রয়োজনায় বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিও বাজারে আসবে। এতে আমার সাথে জুটিবদ্ধ হবেন কেরালার ফিল্মস্টার সিগমা। আগামী সপ্তাহে এর কাজ শুরু করতে কেরালায় যাব। ভক্তদের আশীর্বাদের এতদুর আসতে পেরেছি, আগামীতেও তারা আমার সাথে থাকবে এই প্রত্যাশা করি। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৫/৭/১৭ইং

Tuesday, July 4, 2017

নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের প্রধান ইন্ধনদাতা শাহেদ সরকার গ্রেফতার


নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের
প্রধান ইন্ধনদাতা শাহেদ সরকার গ্রেফতার

তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ির টেটা যুদ্ধের প্রধান ইন্ধন দাতা  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার হাফিজুর রহমান ওরফে শাহেদ সরকার কে গ্রেফতার করেছ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচর এলাকার নিজ বাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত শাহেদ সরকার রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চল বাশগাড়ির রক্তক্ষয়ী টেটাযুদ্ধের প্রধান ইন্ধনদাতা। নিজের আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার ঈশারায় দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে টেটাযুদ্ধ চলে আসছে। এই টেটা যুদ্ধের ফলে ৭ জন ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ সহ আহত হয়েছে বহু মানুষ। তাকে গ্রেফতারের পর কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বাশগাড়িসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
পুলিশ ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বাশগাড়িতে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি শাহেদ সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক এর মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর ফলে এই দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাধ্যে টেটা যুদ্ধ শুরু হয়। নির্বাচনের সময় এই দুই গ্রুপের টেটাযুদ্ধে ১ ব্যাক্তি নিহত হয়। এ্ ঘটনার পর এলাকা থেকে দুরে সরে আসে শাহেদ সরকারের সমর্থকরা। 
গত এপ্রিলে বাশিগাড়িতে অবস্থান নেয়ার জন্য ব্যাপক রণ প্রস্তুতি  নিয়ে সিরাজুল হকের সমর্থকদের সাথে যুদ্ধে নামে। এরপর কয়েক দফা সংঘর্ষে নিহত হয় ৬ জন। এত প্রানহানির পরও ক্ষান্ত হয়নি ক্ষমতালিপ্সুরা। অব্যাহত সংঘর্ষে আতংকের জনপদে পরিণত হয় বাশগাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায় সেখানে। কিন্তু এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি পুলিশ। সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় রায়পুরা থানায় প্রায় ৪১ টি মামলা হয়। পুলিশ এসব মামলার আসামিদের ধরতে গেলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।  এসব মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য রায়পুরা থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালদের হাতে সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ সাহেদ সরকারের লাঠিয়াল সর্দার রূপ মিয়া মেম্বার, আজিজুল, জাকির ও হাবিবুর সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করার পর সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালরা পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। পুলিশ আসামীদেরকে নিয়ে বাঁশগাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে সাহেদ সরকারের লাঠিয়ালরা সেখানে হামলা চালিয়ে কয়েকজন আসামী ও ৩ পুলিশ সদস্যকে অস্ত্রসহ অপহরন করে। পরে গভীর রাতে জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু শালিস বৈঠক করে শাহেদ সরকারকে ৭ লাখ এবং চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে আপোষ মিমাংসা করে দেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মিাংসা হওয়া পরেও শাহেদ সরকার তার আগ্রাসী অবস্থান ধরে রাখে। যার ফলে আবারও সেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে যখন পুরো জেলা জুড়ে আলোচনা শুরু হয়, তখনই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে টেটা যুদ্ধের খলনায়ক শাহেদ সরকার কে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সাইদুর রহমান জানান. জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশনায় বহু মামলার আসামী সরকার হাফিজুর রহমান ওরফে শাহেদ সরকার কে নরসিংদীর বাদুয়ারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে রায়পুরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম জানান, বাশগাড়ির বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হত্যা, বোমাবাজি, লুট, পুলিশের উপর হামলাসহ বহু মামলার আসামী শাহেদ সরকার। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
সোমবার দুপুওে তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

#
তৌহিদুর রহমান, নরসিংদী
৪/৭/১৭ইং